। কুচক্রী
আজ আড্ডাতে লেখা
তরঙ্গো লহরেতে অসুখের বারতা-ধেয়ে ধেয়ে ধেয়ে এলো-
পাহাড়ের কোলটা।
রাশি রাশি কুচক্রী কদর্য কুমনেতে-ব্যাপারীর মননেতে
ধ্বংসের সাঁজে মাতে।
পাহাড়ের সরলতা বনোলতা মন কাঁদে-কুচক্রী কামনাতে কদাকার
শত ফাঁদে।
হিংসার বারুদেতে-বিভেদের ছলাকলা-গতি প্রাণ শতধায়-
বিষাক্ত লহুঝড়া।
বিভেদের ভাবনাতে-শত ফনা লকলকে-গরলের নদী বহে-
পাহাড়ের গিরিখাতে।
ঝর্ণাতে ফেনায়িতো-ধবলের প্রাণ কাঁদে-সূদুরের বাণী নাই-
গরলের বিভেদেতে।
আকাশটা কেঁদে ফেরে-কুয়াসায় কুহেলিতে-দেখিবারে নাই কেহ
ঝলকেতে ঝলকেতে।
শত প্রাণ কান্নায় আবদ্ধ ঘরে শোকে-দিকে দিকে চৌদিকে-
হিংসার বহ্নিতে।
খাদ্যের ভাঁরারেতে শূন্যতা বোল তালে-ব্যাপারির তহবিল-
শূন্যেতে মাথা তোলে।
পাহাড়ের দৃষ্টিতে বিভেদতা বাণী নাই-নিরীহ সে প্রাণগুলি-
হিংসার বুলি নাই।
কতিপয় বাহুবলী কদর্য আহ্বাণ-পেশীবল মাথা তোলে-
অসহায় জনগন।
অদুরেতে সমতলে-পাহাড়ের প্রাণগুলি-শান্তির আবহেতে-
ভেদাভেদ জাত ভুলি-
ভাই ভাই সম্পৃতি-হিংসার অবশেষ-বিভেদের বাণী নাই-
ভালোবাসা অর্নিমেষ।
দুস্কৃতি কিছু প্রাণ-লুন্ঠণে মেতে ওঠে-শাখা জরা বিস্তৃত দেশ
হতে বিদেশেতে।
ভাংচূর বাসনাতে-হীনমন দাবী তোলে-আগুনেতে বিদ্বেশে-
পাহাড়ের কোলে কোলে।
অস্ত্রের ঝঙ্কারে পাহাড়ের ভীত প্রাণ-অসহায় শত ভীত-
প্রাণবারি শঙ্কায়-
গতি নাই সাথ দিতে-মিছিলেতে যেতে হয়-নিরবেতে আঁখি ঝড়ে-
অব্যাক্ত কান্নায়।
রাজনীতি দলাদলি কাঁটাঘায়ে নুন দেয়-কলকাতা দিল্লি-
বিভেদটা জেগে রয়।
বঙ্গের মাটি কাঁদে-হাহাকার ধ্বনি তায়-দিকে দিকে দশদিকে-
উষ্মায় উষ্মায়।
পাহাড়ের শত প্রাণ-ধ্বনি তোল অন্যায়-এক দেশ বঙ্গের-
ঐক্যের ভাবনায়।
বিভেদের বাণী নয়-ধ্বনী তোল বঙ্গ-ভাবনায় শুদ্ধতা-
বলো মাতে বঙ্গো।
লহমাতে দূরাপ্রাণ দুস্কৃতি হবে শেষ-পাহাড়টা ঝলমলে-
দিলেম সন্দেশ।
উত্তরে লেখা ছাড়াও কারগিল যুদ্ধের সময়ে লেখা কবিতাটি প্রকাশ দিলাম।
জওয়ান
বিজয়কেতন উড়িয়ে দে রে-উচ্চে করি শীর-
মাতৃভূমি উদ্ধারেতে-লড়ছে
শত বীর।
মুশকো ভ্যালি কারগিলেতে-মুষ্টি ধরি প্রাণ-
লড়ছে দ্যাখো মারছে কত-শহীদ হচ্ছে
রে জওয়ান।
প্রাণের মায়া নেইকো মোটে-দেশের তরে ভাই-
দেশের তরে দশের তরে-তাদের প্রাণের
মায়া নাই।
অর্থ নিয়ে স্বার্থভরে আমরা লড়াই করি-
ওরা দেখো প্রাণটি দিয়ে-বাঁচায়
মাতৃভূমি।
শত্রুবধে হিংসারোধে বাঁধলো যে কোমর-
যমের মুখে ছাইটি দিয়ে-ওরা হচ্ছে
যে অমর।
মুশকো ভ্যালি কারগিলেতে-মুষ্টি ধরি প্রাণ-
লড়ছে দ্যাখো মারছে কত-শহীদ হচ্ছে
রে জওয়ান।
প্রিয়কবি অনিরুদ্ধ বুলবুল মহাশয়ের আজ প্রকাশিত নতজানু শ্রাবণ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
যুদ্ধ
শরৎ কালে আগমনী গান ঢ্যান কুরাকুর বাজবে যে ঢাক
ডাকের সাঁজে মা দূর্গা-মর্ত্যে অসুর পরবে বিপাক।
মহালয়ায় বোধন হবে মহীষাশুর মর্দিনী গান-
অশ্ব বা গজে কিবা নৌকা নিয়ে অবতরন।
লক্ষী এবং সরস্বতী মা-গনেশ বাবা কার্তিক-
ময়ুরবাহন নীল সে রং-গনেশ আসেন সস্ত্রীক।
কলাবউ সাথ ছাড়েনা-কৃষ্ণ রাধা প্রেমের জোর
মন্ত্র পুরুত লাল বসনা-মন্ত্র পড়েন করজোর।
আকাশ বাতাস শিউলি সুবাস-একশো আট নীলকমল
শঙ্খ ঢাক ঊলুধ্বনী-রাবন বধের জোর আয়োজন।
দশটি দিন যুদ্ধ চলে ঢাল তলোবার ত্রিশুল জোর
পাড়ায় পাড়ায় দিন কিবা রাত-যুদ্ধ দেখার তোরজোর।
মহীষ রুপ ধরলে অসুর এক কোপেতে ঘচাৎ ঘাত
মহীষাশুর বেড়িয়ে পরে-মা দূর্গার পায়ে নিপাত।
এক খোঁচাতে ত্রিশুল বুকে গাঁথিয়ে দেয় দূর্গা মা যে-
অসুর বধে শান্তি এনে-যান চলে যান-
বির্ষজনে নদীর মাঝে।
প্রিয়কবি কে কে বিশ্বজিত মহাশয়ের আজ প্রকাশিত বন্দি বাঘ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ক?
(বানান ও শব্দবিকৃতি ইচ্ছাকৃত)
(আধুনিক গদ্যছন্দ প্রয়াস-৩2)
হায়রে হায়! কি দুখের ক্থা।শুন মদনা শুন-
খাদ্যই হইলো গিয়ে-আসল চাহিদা-
সে তুই মানুষ ই ক কি
বনে্র সিংঘ!
জদিও মানুষের থানে ব্যাপারটা একটু ভিন্ন জেমন কি না-
কিসু মাইনসের খাদ্য খাবার লাহে কম-
অগো হইলো গিয়া-
ধনে্র চাহিদা-ছলে বলে কৌশলে-ধন সম্পত্তি-
এইগুলান হইলো গিয়া
ভাবনা।
লাভটা কি হয়-শ্যাসকালে নার্সিং হোমের
আই সি ইউ।
হেলায় ব্যাটা মইরা ভূত-তাও ছাড়ন দেয় না হেলার বডি-
অই ব্যাটাই হেলায় খাদ্য হইয়া জায় অগো।
চুইস্যা মুইস্যা তবে ছাড়ন দেহে।
হেলার পো সারাটা জীবন ভর-
কিসের লইগ্যা ধন কামাইলি-
ক?
প্রিয়কবি পি কে বিক্রম মহাশয়ের আজ প্রকাশিত ভালোবাসার বীণ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
তোমায় অনেক
ভালোবাসি।
খেললো হাওয়া ভালোবাসা-
হৃদয় দোলে-পাচ্ছি সে তান।
সারা জীবন বাঁজতে সে চাই
অমন মধুর বীণের গান।
সূর্যমুখী হাওয়ায় দোলে-
পাখির কূজণ বইছে প্রাণে-
দীপ্ত রবি দিচ্ছে আলো-
রাত্রি কালে জ্যোছনা ভুমে।
একতারাতে বাজায় বাউল
ভালোবাসার মধুর ধ্বনী-
বাজছে মধুর নুপূর পায়ের
পাচ্ছি সে তার প্রতিধ্বনী।
বইছে নদী স্নিগ্ধ দুকূল
কুলুকুলু শান্ত সে রব-
হৃদয় আমার প্রেমের গানে
করছে শুভ কলরব।
দৃষ্টি তোমার আমার পানে
উড়ছি আমি মিলছি ডানা-
সিঁদুর মেঘের ওই কিনারে
নেইকো যেতে নেইকো মানা।
ওষ্ট কমল মধুর ছোঁয়া
চুম্বনেতে পরাণ ভাসি-
মুগ্ধ আমি মুগ্ধ প্রিয়া-
তোমায় অনেক
ভালোবাসি।
প্রিয়কবি বৃষ্টি মন্ডল মহাশয়ার আজ প্রকাশিত দেশের অবস্থা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
নয়নমনি
গরীর যখন বাড়ছে দেশে-রাজায় বলেন হদ্দ কথা-
দেশের লোকের আয় বেড়েছে-এটাই হলো
মোদ্দা কথা।
গরীব দীন দুঃখী নাই-ঘ্যানর প্যানর কান্না নাই-
সাবসিডি আর গল্প কেন-বাড়াও গ্যাসের
দাম রে ভাই।
আইওয়াসে ক্যামন দিলাম-শূন্য ব্যালান্স খাতাগুলি-
কোটি কোটি টাকার ঝুলি-তুললো
ফসল ব্যাঙ্কগুলি।
দেশ বিদেশে লম্বা রম্ভা ভাষণ তেজ দীপ্ত বুলি-
হদ্দ গাধা জনগনের-আমিই হলাম
নয়নমনি।
প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত মাছের মার পুত্রশোক-(বঙ্গ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
চাঁরা
আহা! পরাণ গেল ভরিয়া-
ভাবছি বঁড়শি ফেলবো এবার-
কাব্যগীতি ছাড়িয়া।
কত্তা কন সহজ উপায় ধন লভিবার অভিপ্রায়ে-
অই মদনা বানা চারা-গরীর
ধরার অভিযানে।
পুলিশ আমার মদন মামা-গোঁফে লাগায় ত্যাল-
আর দেরী নায় মদনা খেলি-
ভানুমতির খেল।
চুটকি বাজাই তাল শালিসি-কোর্ট কাঁচারি গল্প ছল-
লক্ষ লক্ষ কামাই ট্যাহা-পরলে ধরা ধরায় দিব-
দুই চারটা বান্ডল।
কি বলেন কত্তা।
প্রিয়কবি পিনাকী অধিকারী মহাশয়ের লেড়কি যদি মধ্যরাতে কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
বানান ও শব্দবিকৃতি ইচ্ছাকৃত
শূল
আই মদনা গেলিরে কই-কইসে কি জা তা-
চাবুক টাবুট মার না অকে-
ভালো কইরা ব্যতা-
মোর রাজেতে সাহস এমন-ক্যামনি কইরা পায়-
চামরা খানি খুইল্যা দে রে-
জুতায় জুতায়।
হেই কামটা আগত কর-ক্যামন চাবুক বুলি-
হেলায় ব্যাটা পদ্য বানায়-ধার দ্যাওয়া
শূল তুলি।
লেরকি লইয়া ব্যঙ্গো কইরা-শূল জে বিঁধে বুক-
শাস্তি অরে আজই দে রে-কাইরা ল
অর সুখ।