আজ প্রকাশিত প্রিয়কবি লক্ষণ ভান্ডারী মহাশয়ের "শ্মশানে কাঁদে ভালবাসা"কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
, ভুলেই যাই
শ্বশান ভুমি সার্বজনীন-শ্বাশত চিরন্তন-
ওই শ্বশানে সবার গতি-
তাও কেন অঙ্গাণ।
ভবের হাটে এই দরিয়ায়-বজ্র তুফান আধিঁ-
উচ্চগ্রামে সুর তুলে ভাই-
জীবন সারা কাঁদি।
বিষয় আসয় প্রাণ যে-সদাই-অনেক পেতে চাই-
দারুন ব্যথায় বুক ভরে যায়-
সত্যি বলি ভাই।
আপন পরে তফাৎ গড়ি-শতেক যোজন দুর-
জীবন তমস কালোছায়ে-
দুর হয় রোদ্দুর।
চাহিদারই সীমানাতে-আকাশ পানে ভাই-
আকাশ গড়া রামধেনুটা-
কেড়ে নিতে চাই।
না পাওয়ারি বেদনাতে-চিত্ত দুখি হয়-
বিষয় আসয় সম্পদেতে-
গরল বাতাস বয়।
ঝুট ঝঞ্ঝাট বিষবাস্পে শ্বাপদ চরণ মেলি-
কপটতা ছলে মেতে-
ছলচাতুরি খেলি।
দিব্য প্রেমের সুধাবারি-হাঃ হাঃ হাঃ-
অনেক দুরের গল্প-
ভক্তি মতি প্রাণ ধারা ভাই-
নাই রাখি ভাই-
স্বল্প।
দুনিয়াদারির সেই খেলাতে-বজ্র তুফান গতি-
ভুলেই যাই ওই শ্বশানে-
আমার সদগতি।
আমার লেখ উত্তরে উত্তরে অষ্টাদশ কবিতার উত্তরে প্রিয়কবি খসা হক ও সোমালীনিরঝরা(মৃনালীনি) এই দুজনার কমেন্টের উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
শ্রদ্ধাঞ্জলী
তোমাদেরই পাশে পেয়ে জীবন আমার ধন্য হোল-
দুঃখ শোক জীবনমাঝে-প্রশান্তিরই-
স্নিগ্ধ আলো।
চাঁদ জ্যোছনা রাত মায়াবী-ঢেউ তোলে প্রাণ মনে ওই-
পরান খুলে কাব্যগাঁথায়-পাখির সুরে-
কথা কই।
উড়তি ফিরান বিহঙ্গেতে-মন মাতিয়ে দোল টি উড়ি-
সুর লহরি প্রাণটি মেতে-কবিতাতে
ঘোরাঘুরি।
সেই মদীরায় স্বপ্নগাথা-ঈশ্বরেতে প্রাণ মাতি-
আবির রং এ মন মাতিয়ে-লাল ফাগুনে-
দিন ভাতি।
তোমাদের ওই স্বপ্নবুলি-হৃদসাগরের পান্না মোতি-
আর্শীবাদের রাখবো সে মান-কবিতাতে-
হৃদয় মাতি।
সেই দিনেতে সোনার দেশে-ভিরবে দশের সোনার তরী-
সেই তটেতে বুক ভাসিয়ে-দেব সবার-
মনটি ভরি।
তোমাদেরই পাশে পেয়ে জীবন আমার ধন্য হোল-
দুঃখ শোক জীবনমাঝে-প্রশান্তিরই-
স্নিগ্ধ আলো।
প্রিয়কবি যাদব চৌধুরীর গতকাল প্রকাশিত "যৌবন" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
বয়স ষোল
বয়স ষোল মনের দরোজা খোল-অপরুপ নয়নযুগল-
দিকে দিকে দেখি আলো-বয়স ষোল-
বয়স ষোল।
এ বয়স মানে না ধরা-শাসন শ্বাশত-
এ বয়স জানে না বাধন-
এ বয়স উন্মুক্ত।
চাঁদ তারা এলোকেশী-ধুমপানে মন-
এ বয়স মানে না-মানে না-
কোনো বারন।
এ বয়সে জাগে প্রেম-ওই পানে দৃষ্টি-
ভাবে মন বিধাতার-
কি অপূর্ব-
সৃষ্টি।
দিনমান রাত কিবা-জ্যোছনা কি বৃষ্টি-
ভালবাসা মন মেতে-
প্রতিমায় দৃষ্টি।
ধুমঝড়া প্রাণ মেতে-আলু চপ ফুচকা-
অলিগলি আলোছায়ে-এককা-
দোককা।
জীবনেতে এই ক্ষণ-আলোকেরি বন্যা-
আলোছায়ে আশহত-প্রেম-
নিবেদনে কান্না।
সময়ের কালস্রোতে-সময়টা যায় ভেসে-
মনপ্রাণ অবশেষে-তারুন্যে-
এসে ঠেকে।
সংসার ভাবনাতে-সংসারে স্ং মেতে-
মনে পরে কবিতায়-কথা দিয়ে
পর হোল-কত শত-
সবিতায়।
প্রিয়কবি পিনাকী অধিকারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "গ্রামের বর্ষা" কবিতার উত্তরে লেখা কবিতা।
বর্ষা
বৃষ্টি কাঁদা অনেক কাঁদায়-জল আবধি বাঢ়-
আছার খাওয়া গল্প অনেক-
জলকাঁদা ঘরবার।
মেঠোপথে কাঁদায় কাঁদায় ছলাৎ ছলাৎ রর-
ঘ্যাঙ্গর ঘ্যাঙ্গর ধ্বনী তুলে-
আকাশ কলরব।
ঝির ঝির ঝির বাদলধারা- ক্ষনিক বিরাম নাই-
মন ভুলো হই পাগলপারা-
হচ্ছি রে ভাই তাই।
বুবাই টুবাই পম্পা তুলি-খালধারে ওই খেলে-
নৌকা ভাসায় ডোবার জলে-
আত্মভোলা মন হারিয়ে-
কাগজটাকে মিলে।
আকাশ কালো মিসমিসে রং-শ্রাবন বরিষনে-
ওই দুরে ওই নৌকা চলে-
ভাটিয়ালী গানে।
কৃষান ভায়া বৃষ্টি গায়ে-সোনার বীজ বোনে-
চম্পাকলি সই যে তারি-
বৃষ্টি আগমনে।
বৃষ্টি সুরে অনেক দুরে-দুচোখ মেলে চাই-
সোনার ফসল ঢেউ খেলে যায়-
দেখতে যেন পাই।
ঐ বর্ষা রাগ করিস নে-আমরা না হয় ভুগি-
জোর হাতেতে বলছি ওরে-
বাজাস না ডুগডুগি।
তুই না হলে-ধানের সোনা-ফলবে না রে সই-
দুহাত জুরে প্রনাম করি-
ঝড় ঝড় ঝড় তুই।
আমার লেখা অষ্টাদশে উত্তরে উত্তরে কবিতায় প্রিয়কবি রেজুয়ান চৌধুরীর কমেন্টের উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা।
ঈদ শুভেচ্ছা
শুভ ঈদ রমজান মাসে মন প্রাণ অন্তর-
ভরে যাক শুভ সদা মঙ্গলময়-
মহম্মদ রাসুল এর-
কৃপাদৃষ্টিতে-
অনাবিল আনন্দে ধরা হয়ে উঠুক প্রাণবন্ত-
খাঁটি ঈমানেতে সমগ্র জাতি-
জেগে উঠূক-
রোজা মন দৃষ্টিতে দান খয়রাতিতে গরিব দুঃখী প্রাণে-
আসুক জীবনের-
জোয়ার-
ঈদের নতুন বস্ত্র সেমাইতে মন মেতে-
ঈদের চাঁদ ধরা দিক প্রত্যেক-
প্রাণে-
সমস্ত কলুশতা হোক মুক্ত-ঈদ মোবারক বন্ধু-
মনপ্রাণ হোক-
পবিত্র।
প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত "আছে তবু নাই-(ব্যঙ্গো) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
সদগতি
গেল গেল গেল রব-হই হই চিৎকারে-
বাতি গেল বাতিবেলা সুরুৎ-
ফুতকারে-
নিত্য যে গরমেতে-করে প্রান নৃত্য-
বাবু কাঁদে প্রিয়া কাঁদে কাঁদে-
বুড়ি ভৃত্য।
অসনীর সংকেতে চাল ডাল চিনি কাঁদে-
লবনের বস্তাটা-কেঁদে কেঁদে-
জলে ভাসে।
যন্তরে মন্তরে দাম বারে দিন দিন-
নিত্য কি দুইবেলা-চলে ভাই-
ঘোড়া ডিম?
বাবুদের আপিসেতে বড়ো বড়ো করে লেখা-
ঠকে গেলে ফুত করে-
দিয়ে যাও বড়-
লেখা।
শাসনের বুলি তার অন্ধ যে যষ্টি-
দয়া করো জীবনেতে ওমা-
ষোল ষষ্টি।
গাড়ি আছে বাড়ি আছে-আপিসেতে বারোমাস-
সময়ের দীশা নাই-ওমা ম'ল-
মলমাস।
পকেতেটে কাঁটা আছে-গিন্নির হুংকার-
দুই বেলা নিত্য-বিরিয়ানি-
লাগে তার।
মামনির বই খাতা-বিস্তর কান্ড-
ইংরেজী স্কুল এতে-
বড় বড়-
ভান্ড।
বাছা কয় বাইকেতে-ডোবাজলে কাঁদা বয়-
রাস্তার ডোবগুলি আঁকেবাঁকে-
বড় ভয়।
চারচাকা লাগে মোর তারাতারি ট্যহা দাও-
উপরিতে উপরিতে-সবাইকে-
শুষে নাও।
বিধিভাম অঙ্গাণ হরিপ্রাণ মতি-
তাড়াতাড়ি প্রভু মোর-
করো সদগতি।