উত্তরে উত্তরে ১৫০ আসরে অধিক ২০০
মানবো না
প্রিয়কবি atam miya র আজ প্রকাশিত "রক্তের হোলি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
মানবো না আর মানবো না আর-ধর্ম যদি বিধান দিল-
মানুষ মেরে বজ্জাতিরি-ছল চাতুরি-
বলটা পেলো।
রক্ত ধারা পাষান বেদী-রক্ত রাঙ্গা হোলির খেলা-
রক্ত দিয়ে ফাগুন মিলে-করবো ধরা-
রঙ্গিন রাঙ্গা।
মায়ের বুকের কান্না দিয়ে-বেঁধে নিলেম বুক-
রক্তরাঙ্গা বোনের লহু-ভায়ের-
শবের মুখ।
শিশু প্রাণের করুণ গতি-পাষান হলেম ধরা-
আয়রে আয় নিপাত নেই-
রক্ত দিব ঝড়া।
মা কালির ওই আস্ত খাঁড়া-রক্ত রাঙ্গা লাল-
রক্ত হোলি ভাসিয়ে দেব-মিটবো-
মনের ঝাল।
মানবো না আর মানবো না আর-ধর্ম যদি বিধান দিল-
মানুষ মেরে বজ্জাতিরি-ছল চাতুরি-
বলটা পেলো।
দিব্য প্রেমের গড়বো ভূবন-রক্তঝড়া হোলির শেষ-
আয়রে তোরা নিপাত তলে-
জালিম অবশেষ।
শেষ বেলাতে শান্তি দেশে-মায়ের কোলে মাথা-
চোখ জুরাবো মন জুরাবো-
শুনবো রুপোকথা।
প্রিয়কবি ক ম ল দাশ গুপ্ত মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মৌমাছি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
মৌমাছি
মরবে না বলছি ভায়া-
একটু জ্বরে কাবু হওয়া-অল্প-
ব্যথায় প্রান।
কিন্তু ভায়া জানলে তুমি-
চাঁকটি মোদের-লক্ষ-
প্রানের গান।
সদাই ভীত রইতে প্রাণ-মধুর তরে লোভ-
হাজার চাঁকের দুঃখ গাঁথা-তাইতো-
মোদের ক্ষোভ।
লক্ষ মানিক মোম পরাগে-গুপ্ত প্রাণের ব্যথা-
নিমেষ মাঝে ধ্বংস সে বাণ-
মধুর কতকথা।
গুঞ্জনেতে অলি পরাগ-কবির মুখের মধুর বুলি-
শূন্য যে হয় গুঞ্জমতি-কান্না শত-
রোল তুলি।
অমন কথা বলবে ভায়া-দুঃখ লাগে প্রাণে-
হুলটি মোরা ফুটাই তোমায়-অনেক-
ব্যথার গানে।
প্রিয়কবি পারমিতা ৫৮(অনুরাধা) মহাশয়ার "প্রেম অগোচরে" কবিতার উত্তরে আজ লেখা কবিতা।
মন্দ বায়ু
প্রেম সে সোহাগ দারুন মতি-গুপ্ত আশার ছল-
ছলনাতেই মধুর সে রস-
মন্দ সুখের বল।
সেই বলেতে মাতলে সে মন-সন্ধি কপট ছলে-
দিনদুনিয়া ঘোর আঁধারে-
জীবন পিছল চলে।
সং সুখেতে মন্দ বায়ু-প্রিয়ার চোখের জল-
ছন্নছাড়া প্রাণের মতি-
কপট বায়ুর বল।
সেই গরলে মন্দমতি-পরম সুখের ঘর-
আখের গুড়ের তুলবে যদি-
প্রবল বায়ু ঝড়-
সেই ঝড়েতে পরানমতি-সুখ সে ধরা নীড়-
ভগ্নহৃদে দুঃখ অনেক-ঘর সে-
প্রিয়া তীর।
ক্ষ্নিক সুখের ছলনাতে-অপার প্রেমের ধারা-
করুণ সুরের কান্না বুকে-
দুঃখ জীবন ধরা।
প্রিয়কবি মনোজ ভৌমিক(দুর্নিবার কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ব্যস্ত সবাই, মন্দি্রে একলা তাই" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(উত্তরে উত্তরে লেখা ১৫০ তম কবিতা,আসরে অধিক ২০০)
মন্দির
মন্দির আছে এক-পুজারো সঘন আয়োজন-
নিত্য বহুলোক সমাগমে-সমাহিত-
মন্দিরো প্রাঙ্গন।
কেউ পুজা দেয় বাসনার তরে-কেউ আরোগ্য কামনায়-
ছল বল কলা ছেড়ে-ধূপ-
জ্বালে দূর্জনায়।
নিত্য প্রভাতে শুচিত মন্দিরে-চলে সুভারতি-
সাঁজের বেলাতে ঊলু শাঁক ধ্বনীসনে-
সন্ধারতি।
ভক্তের দল প্রত্যহ হেথা মুক্ত হস্তে করে দান-
মন্দিরো সমীপে ভিখারীনি বৃদ্ধা কতেক-
হাত পেতে দিনমান।
টাকা রেজগীতে ভক্তরা-দান করে যায় সে হাতে-
প্রসাদ দেয় বা কেহ-সে দানে-
জীবনো বাঁচে।
আমি কবি প্রভাতে প্রত্যহ-করি সে অনুধাবন-
প্রফুল্ল অন্তরে-ভক্তরে করি-
সে প্রণাম।
হৃদমনে আনমনে-ওঠে প্রশ্নের ঢেউ-
বেদনাতে মন কাঁদে-ভগবানে-
শুধোই-
যে জন দীনে দেয় সেবা প্রভাতে মন্দিরে-
পরক্ষণে মাতে কেন-ছলা-
কলা ফন্দিরে।
মন্দিরে শুচি প্রানোমতি-হে ঈশ্বর-
দীনজনে দেহ সে শুদ্ধমতি-
দিবা কিবা রাত-
নিরন্তর।
কবিতা ঈদ প্রিয়কবি ডাঃ জি এম শাহিদুল ইসলাম উত্তরে কমেন্ট বক্সে আজলেখা।
ঈদের চাঁদে
খুব সুন্দর হল লেখা-
বাঁকা চাদের-
স্বপ্ন দেখা-
ঈদের চাঁদে উড়ান ভাসা-
পায়েস সেমাই স্বপ্ন-
দেখা-
ধনী গরীব মিটবে-
রেখা।
প্রিয়কবি আলমগীর সরকার লিট্ন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "রোদপুড়া" র উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা
রোদ্দুর
উঁচু নিচু ভাবনাতে-প্রতি রাতে প্রতি প্রাতে-জীবনের আঙ্গিনায়-
কত সুখ আসে ঘন-ধারা বহে-
দরিয়ায়।
সুখ যেন ধরা প্রাখি-বসন্ত মাখামাখি-কুঁজনেতে কঁজনেতে-
জোরা আঁখি মাতামাতি-আলো ধরা-
কিনারায়।
বসন্ত বয়ে যায়-ঝড়া পাতা আঙ্গিনায়-বেদনাতে কাঁদে প্রাণ-
সুখোস্মৃতি ব্যথা গান-রক্তের ধারা বয়-
অন্তর-
ঘূর্ণনে বহে কাল-কালো ফিকে ফিকে লাল-
পূবাকাশে চোখ ধায়-কিরনেতে-
একফালি-
ধিরে ধিরে আলা হয়-প্রেমসুধা প্রাণ বয়-
উল্লাসে মন মাতি-ভালবাসা-
রোদ্দুর।