প্রিয়কবি গোলাম রহমান মহাশয়ের কবিতা অনাসৃষ্টির জন্য সৃষ্টি কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
। বিদ্রোহ
মানুষে মানুষে আজ বিভেদের ছায়া-হানাহানি বিদ্বেষ-
রগে রগে শপঠতা-
ধ্বংসের সঙ্কেত।
শান্তির বাণী কাঁদে-লালায়িত রসনাতে-
আমি তুমি বহুদুরে--আদম আর-
ইভ কাঁদে-
আমি কবি লিখে যাই শান্তির বাণী দিতে-
দিকে দিকে শাণ দেয়-শ্বাসনালি-
কেঁটে দিতে।
ধর্মের গোরামিতে-শত শত প্রাণ বলি-
শঠতাতে মন মিলে-
কপততা অঞ্জলি।
ব্রমহার প্রাণে মেতে-অস্ত্রের ঝলকানি-
ব্রমহাতে মন মেতে-ধ্বংসের-
হাতছানি।
নররুপে নারায়ন-পথে ঘাটে জীর্ণ-
ধর্ষণে প্রাণে মেতে-
হৃদয়টা চূর্ণ।
শত শত প্রাণ কাঁদে-অভুক্ত কিনারেতে-
শত প্রাণ উল্লাস-মিনারেতে-
মিনারেতে।
চলো কবি পথে নামি-কলমটা থাক পিছে-
বন্দুকে শান দেই-শত ব্যথা-
মুছে দিতে।
প্রিয়কবি শ্রীপর্ণ মহাশয়ের কবিতা "যোগ করো যোগ হবে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
অমৃত
যোগ করো মন মাতো-যোগ ধরা ফল মেতে-
জীবনেতে প্রতি খাতে-
আনন্দে মন-
মেতে।
যোগ ধরা সঙ্গীতে-দেহ মন পুষ্টি-
রোগ ভোগ দুরে রবে-
রাবনের গুষ্টি।
যোগ মানে শান্তি-সোহাগেতে ভরে মন-
বলিষ্ঠ দেহমনে-ঈশ্বরে-
আরাধন।
যোগ কলা বিদ্যা-জীবনেতে আনে সুখ-
মজ্জাতে মজ্জাতে-দুরে রয়-
দুরাসুখ।
তাই ভাই আজি হতে-ধরো যোগ সাধনা-
দেহমনে পুষ্টিতে-জ্বালো আজি-
ধূপধুনা।
প্রিয়কবি পল্লব চোধুরী মহাশয়ের অনুকল্পা ১০ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা
ইতিকথা
পাতা বিহীন বৃক্ষ নাই-বৃক্ষ নাই-তো ফুল কোথা-
মিষ্টি সুবাস অনেক দুরে-
ফুলেল ঘ্রণের-
ইতিকথা।
পাতা বিহীন বৃক্ষ নাই-তো ফুল পাবে কোথা-
ভ্রমর অলি গুঞ্জনেতে-
ব্যার্থ পরাগ রেনু-
কথা।
সবুজ পাতা সূর্যালোকে-আকাশ মেলি প্রাণ-
গাছের তরে খাদ্য বানায়-
রসদ অফুরান।
মুল দেয় যে জলের যোগান-রুক্ষ কঠিন ভুমি-
ঘ্রাণেন ফুলের ইতিকথা-
কান পেতে ভাই-
শুনি।
পাতা বিহীন বৃক্ষ নাই-তো ফুল পাবে কোথা-
মুল বৃক্ষ সবুজ পাতা-
ফুলের ইতিকথা।
তাই তো জনক তরে সদাই-ভক্তি মিলে দাও-
ফুলেল ঘ্রাণের সজীবতা-সুবাস-
যদি চাও।
আমার লেখা অষ্টাদশ উত্তরে উত্তরে কবিতায় প্রিয়কবি মৌটুসী মিত্র গুহ মহাশয়ার উত্তরে কমেন্ট বক্সে আজ লেখা কবিতা।
অভিলাশ
কাঁদছি আমি আয় মামনি-দেখবি যদি আয়-
বুড়ো খোকা কাঁদছে যে দ্যাখ-
দুচোখ বেয়ে যায়।
কান্না ফসল ভাবের হাটে-জীবন ধারা বয়-
শূন্য মনের দারগোরেতে-
আর না কিছু রয়।
ঠাকূর আমায় মনটি দিলেন-দৃষ্টি দিলেন আলো-
দুনিয়াদারির আঁকতে ছবি-
এই সমাজের কালো।
সেই দরিয়ায় মনটি ভাসাই-অথই অকূল জলে-
দুচোখ ধারা কান্না বয়-
সোনার তরী চলে।
দেখবি খোকন দেখবি আয়-কাঁদছে বুড়ো খোকা-
প্রেমসুধা বাক্য যে দেয়-যায় না-
সে জল রোখা।
জল তো নয় দেখরে খোকন-ঝরছে হীরে মোতি-
নয়ন তারায় সুখের ঝিলিক-
উড়ছে সুখে পাখি।
এই ধরাতে দুঃখ দিনের করবো অবশান-
হিংসা দ্বেশ জর্জরিত-
গাইবো সুখের গান।
সেই গানেতে সুরের দেশে-হিংসা সবাই ভুলে-
পদ্ম শালুক জুই চামেলি-
তুলবে হৃদয় ভুলে।
সেই দিশাতে গান গেয়ে যাই-কান্না ঝড়াই চোখে-
আয়না খোকন আয় মামনি-
দেখবি তো আয় ছুটে।
প্রিয়কবি পি কে বিক্রম মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "এসো নীলাম্বরী" কবিতার উত্তরে লেখা কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
যন্ত্র
হই হই রব-নিদ্রা ভাঙ্গে-হটাৎ হোল কি-
জগৎ মাঝে আনলো মুনি-
মাপার যন্ত্রখানি।
কি আর এ এমন কথা-হতচ্ছারা কই-
দেখলি না তুই ঘুমোচ্ছিলাম-
ভাতঘুমেতে ওই।
যন্ত্র পরম সাধের বুলি-কইতে যদি বাপু-
সবুর ধরে একটুখানি-
ঘুমে ছিলেম কাবু।
যন্ত্র ভরা দেশ দুনিয়া-যন্ত্র মাঝে প্রাণ-
আকাশ নীলে যন্ত্রঘোরা-
দিচ্ছে রবে শান।
দুর গগনে মহাকাশে-যন্ত্র দিল পাড়ি-
যন্ত্র নিয়ে করিস কেন-
এমন বাড়াবাড়ি।
ঘর ভুঁই তে যন্ত্র ভরা-হাত পকেটে রয়-
অনেক দুরের দুনিয়া দেখি-
মোবাইলে হয়।
বলতো দেখি বলেই ফেল যন্ত্রখানা কি-
বুবাই বলে আসো মামা-
তোমার ভালবাসা-
মাপি।
প্রিয়কবি মাহমুদ সোহেল(মায়া নদীর মন মাঝি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "আমি প্রতিবাদী মন বলছি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
বিষবাণ
নতজানু হই নাই-রক্তের আঙ্গিনায়-
বারুদটা শুষে নেব-
কচুকাটা অন্যায়।
বিদ্বেষ বীষানলে-বিষাক্ত হব আমি-
গরলেতে গরলেতে-ধ্বংসের-
বীজ বুনি।
শোন তোরা দুরাপ্রাণ-চেয়ে দ্যাখ এইদিকে-
আকন্ঠ বি্ষপাণে-অপমানে আপামরে-
ধেয়ে আসে চৌদিকে-
বিষঢালা কামরেতে-হিংসাটা মেরে দিতে-
মাতরম মাতরম-দিকে দিকে-
দিকে দিকে।
উষাভোরে সেইদিন-প্রাণভরে শ্বাস নেব-
হিংসার অবশানে-দেশে-
প্রাণ ভালবাসা-
দেব।