প্রিয়কবি মোঃ আব্দু হাফিজ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বৃষ্টি ভেজা আহ্বাণ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা গান।
নিশান
কি হবে জীবনে হিসেব কষে-কি হবে বিহনে-
দুখিরো বেশে-কি হবে যাচনা-
কি হবে কলহ-
কি হবে বিষয়ো-প্রাণ সে পঙ্ক-
মন্দ মোহ।
ভালবাসো যদি ভালবাসো হৃদ প্রাণ অন্তর-
ভালবাসো যদি জীব প্রেম দয়া ধরো
নিরন্তর।
যদি ভালবাস-ভালবাসো-দুঃখি প্রাণের আত্মা ধর-
সেই প্রাণেতে উজল ধারা প্রদীপ জ্বাল-
প্রদীপ জ্বালো প্রদীপ জ্বালো
প্রদীপ জ্বালো-
ভাতৃপ্রতীম সুহৃদ বরন আলোক ধরো-
দীব্যজ্যোতির সেই আলোকে-
আকাশ নীলে পাখনা
মেলো-
ভরিয়ে ভূবন জরিয়ে কালোয়-আলোক নিশান পথের দীশা-
জাগিয়ে তোল-
জাগিয়ে তোল তোলো জাগিয়ে
তোলো।
কি হবে জীবনে হিসেব কষে-কি হবে বিহনে-
দুখিরো বেশে-কি হবে যাচনা-
কি হবে কলহ-
কি হবে বিষয়ো-প্রাণ সে পঙ্ক-
মন্দ মোহ।
আজিকে ধরায় কাঁদিছে কত-প্রাণের আগুন দুঃখ শত-
মানবতার হত্যালীলা-সংঘটি্ত
হচ্ছে কত-
আগুনঝরা হিংসা ক্রোধে-বহ্নিশিখা জ্বালিয়ে সে প্রাণ-
মারছে শত।
আগুন জ্বাল আগুন জ্বালো আগুন জ্বালো-
ভালবাসায় ভরিয়ে ভূবন-হৃদপ্রাণেতে
আগুন জ্বালো-
আগুন জ্বাল আগুন জ্বালো
আগুন জ্বালো।
জাগরণের সেই আগুনে-শান্তিনীলে ধ্বজা তোলো-
ধ্বজা তোলো-ধ্বজা তোলো
ধ্বজা তোলো
হিংসা দ্বেষের সাতমহলায়-আঘাত হানো-
চুর্ন মহল মাটির দীশায়
মারিয়ে দলো-
কদম কদম সেই দীশাতে এগিয়ে চলো-
এগিয়ে চলো এগিয়ে চলো
এগিয়ে চলো।
ভাতৃপ্রতীম বিশ্ব গড়া-পণ সে মোদের-
দীক্ষা নেই-
তোমার প্রাণের দুয়ার খোল-
চাইছি কবি ভিক্ষা
নেই-
গাইছি কবি গানটি আমার-ভাবনা নেই-
দেশের তরে প্রাণটি দেব-
শিক্ষা নেই।
প্রিয়কবি ড.প্রীতিশ চৌধুরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "পুনরাবৃত্তি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ভো কাট্টা ঘুড়ির দেশে
ভো কাট্টা ঘুড়ির দেশে-লম্বা সুতায় টান-
হুকোমুখো বাবুর্চিটা দিচ্ছে
গাঁজার টান।
হরিবোলের কারখানাতে-ঘোড়ার ডিমের ফল-
চালিয়ে দিয়ে সে কল ঘোড়া-
স্বপ্ন অবিরল।
হাকিমখুড়ো বাদ্যি বাজায়-পুলিশ বাজায় ড্রাম-
ফানুস ওরে রংবেরং এর-
জোরাতালির কাম।
একটুও নাই চিন্তা মাগো-করছি বি এ পাশ-
করতালেতে খোরতালেতে
এইপাস ওইপাস।
একটা চেয়ার লক্ষ লোকের-যুজুধানের ভীর-
টপকে মাগো চিন্তা কোনো-
মাখবো আবির।
দাদার দাদা মহাদাদা-ভীমের গদা আছে-
তাইতো বোম পটকা উড়াই-
নিত্য ওদের কাজে।
ভো কাট্টা ঘুড়ি দেশে-লম্বা সুতায় টান-
হুকোমুখো বাবুর্চিটা দিচ্ছে
গাঁজার টান।
হরিবোলের কারখানাতে-ঘোড়ার ডিমের ফল-
চালিয়ে দিয়ে সে কল ঘোড়া-
স্বপ্ন অবিরল।
বুঝলেন-বুঝলেন তো
মশায়।
প্রিয়কবি যাদব চৌধুরী মহাশয়ের প্রকাশিত কবিতা "হাডূডু হাডুডু ডু" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
হাডুডু
হাডুডু হাডুডু ডু ঊঊঊঊঊ যাকে পাবি তাকে ছু-
মন গেল ভরে-বিচারের বাণী থাক
সুদূরের ঘরে।
দশ বিশ বৎসর-হালে পানি পানি নাই-
বিচারের বাণী কাঁদে-কোন ঘানি
টানা নাই-
দুই এক মাধবের-জেল জারি যন্ত্রনা-
বলে সব অনুগামী-সব
মিছে মন্ত্রনা।
রাজনীতি ঘেলাঘর-কাঁদা মাখামাখি তাই-
হাডুডু খেলা ছাড়া-কোন গতি-
গতি নাই।
গরীবের মন পেতে-নাটকের শেষ নাই-
হাডুডু হাডুডু-জমে গেছে
খেল ভাই-
দশ কুরি বৎসর গোঁফে তেল মার ভাই-
তারপর সুর তুল-হাডুডুর
সাজা চাই।
প্রিয়কবি জিম মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত "বিচার" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে গতকাল লেখা কবিতা।
ক্ষমা চাহি
কেহ নাহি কেহ নাহি বিষাদঘন তিমিরো রজনীতে-
কেহ নাহি কেহ নাহি-সেইক্ষণে
ধরা দিতে।
অন্ধ যাত্রী ঘন কুয়াসারি আভোরন-
যেথা ক্ষুদিত পাষান ক্ষনে ক্ষনে
কেড়ে নিতে চায়
প্রাণ-
মনোবীণা ঝঙ্কারে-সে করুণো সুর বাজে-
জল বায়ু বিদ্যৎ-অসনীত ধরা
সাজে।
প্রাণোবায়ু চঞ্চলো-অস্থিরো মতি মন-
চৌদিকে বহ্নিতে লকলকে
গনগন।
যেন প্রাণ কান্নায়-লহু ঝরা প্রাণোভাতি-
খল বল দিকে দিকে-আনন্দে
মনো মাতি।
কেহ নাহি কেহ নাহি বিষাদঘন তিমিরো রজনীতে-
কেহ নাহি কেহ নাহি-সেইক্ষণে
ধরা দিতে।
প্রাণাতিত তুহি সখী-ধরিলি যে সে হাত-
বুঝি নাই বুঝি নাই-দিয়েছি তোহে
কতনা অভিসম্পাত।
গরলো সে প্রাণোবায়ু-চাবুকেতে দেয় কষা-
হৃদপ্রাণ উদ্বেল-ক্ষমা চাহি-হে মম
প্রাণোসখা।
প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মহাসাগর" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ক্ষমা নাই
ক্ষমা নাই ক্ষমা নাই ক্রুর মানুষের দল-
অঙ্গারে ভরে দিলি হওয়া
বায়ু জল।
ভূগর্ভে বোমাবাজী-পরমানু বোম-
এদেশেতে ওদেশেতে-কার
কত দম!
বাহুবল পেশী কলা-নখ আদি দন্ত-
দীশা নাই দীশা নাই
গতি পথভ্রন্ত।
আকাশটা ভরে দিলি-ক্লুরোফ্লুরো কার্বনে-
ওজোনের স্তর ভেঙ্গে-অসুখের
জ্বাল বোনে।
রাজনীতি লুটেরা-কাঁদা ছোড়াছুড়ি করে-
জলবায়ু বৈঠক-হাসি মজা
তালি মারে।
পরমানু সম্ভার-ভাল কাজে দীশা নাই-
অস্ত্রের ঝলকানি-আরো আরো
আরো চাই।
মেদিনীর আগুনেতে গলা জল হিমবাহ-
সমুদ্র মাথা তোলে-প্রলয়ের
কাল এলো।
আমি কবি দেখি ছবি-একে একে ডুবে যায়-
নগরেতে নগরেতে সাগরের
বারি বয়।
লবনের ভান্ডার একে একে শুষে নিল-
স্থলভাগ সীমানায়-আয়তনে
ছোট হোল।
পরমানু চুল্লিতে-চুল্লিতে ঘন ধরা বিষ্ফোট-
বিষাক্ত বিকিরণে-মানবের
কাঁপে ঠোট।
বিলুপ্তি কাগারেতে-এলো সেই দিনক্ষণ-
আমি কবি বলে যাই-
হাতে হাতে দিন
গোন।
পিয়কবি আতাম মিঞ (আ কার হচ্ছে না) র আজ প্রকাশিত তে জী জ ল (ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
লজ্জাবতি
মায়ের দেওয়া মোটা সুতি-এখন অনেক দাম রে ভাই-
পলেস্টার আর টেরিকটন-বিদেশী অনেক
সস্তা পাই।
গোচোনা মহার্ঘ রে-কোকোকলা হাতের মুঠোয়-
ওসব জিনিস ধরতে গেলে-পকেট আমায়
অনেক গুতোয়।
একটা জামা এদিক ওদিক দুই চারটা পাতি-
খাঁদির জামার দামটি দেখে-চক্ষু
যায়রে ফাঁটি।
বাবু সাবু কেতা নেতা-মায়ের দানের পরে-
আমরা কি ভাই ওসব জিনিস-
আনবো কেমন করে।
মায়ের দানের যতযাবতি-লজ্জাবতি বোল তোলে-
চায়না বাজার গেলে পরে-
দুই পয়সা কথা বলে।
কেমন করে গো চোনাতে-প্রাণটি রবে বলো-
কোকোকলা আম আদমি-তাই যে
অনেক ভালো।
প্রিয়কবি এম, এ, সালাম মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "দেনার ভার" কবিতার উত্তরে লেখা কবিতা।
জবর দখল
বাবু কহিলেন তোর দুঃখে ছিলেম সাথে-
দিয়েছিলেম ট্যাহা-
অহন ব্যাটা ছল করিলি-
কহিলি পকেট
ফাঁকা।
কোন কথাই শুনুম না তোর-
আজই মোক লাগে-
হিসাব কইরা কইস রে তুই-
কথা বাড়াস না রে
আগে।
ওই পেয়াদা মুই আনিনু-
করবি রে তুই ছল-
মুই চলিনু পেয়াদা ভাই-
করবি জবর
দখল।