প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "নয় কাম্য (ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন কবির লেখাতে অস্থির বাংলাদেশের বর্তমান আবহ চিত্র দেখতে পাই। খুন ধর্ষণ রাহাজানী রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি। লক্ষ লক্ষ শহীদের আত্ম্ববলিদানে অর্জিত স্বাধীনতা। বিভিন্ন লেখায় অনেক কবিপ্রাণের আর্তনাদ শুনি-এই কি স্বাধীনতা-এইরকম বাংলাদেশই কি চেয়েছিলেন সেই মহাপ্রানেরা। সেই পরিপেক্ষিতে সেই বেদনা ভাবনাতেই আমার এ লেখা। এ লেখা সমগ্র বাংলাদেশের শান্তিকামী মানুষকে আমি উৎসর্গ করিলাম)
ছোবল
হানরে আঘাত শিকড় মূলে-উৎপ্রীরনের কেন্দ্র বল-
চলরে চল কুঠার ওঠা-
মারতে বারি সৎ
ছোবল।
মাতৃভুমি উদ্ধারেতে-প্রাণ দিল যেই লক্ষ্যে তারা-
ক্রন্দনেতে ক্রন্দোনেতে-অধীর প্রবল
চক্ষুহারা।
মা বোনেদের চোখের জলে-অতল গহীন বইছে ধারা-
দিনদুপুরে পুকুর চুরি-খুন জখম
আর রক্তধারা।
প্রাণ লহুতে বইছে প্রবল-শক্ত চোয়াল আগুন ঝরা-
চলরে চল কুঠার ওঠা-
আর দেরী নয়-কর
রে ত্বরা।
জীবন জারন যন্ত্রণা ওই-আজিকে হবে বির্ষজন-
স্বাধীনতার ফিরবে সুবাস-শান্তি
সুখের অবগাহন।
প্রিয়কবি এম, আব্দুল গফুর মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অন্তিম ঘর" কবিতার উত্তরে আজ কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
শান্তিসদন
ঐ সে ঘর শান্তিসদন.........।
লিখতে চলেছিলাম কিন্তু হটাৎ এক নব
ভাবনার বশে থামতে হলো।
কেউ কি দেখেছে সে ঘর-
কি করে জানবো সে ঘর শান্তিতে ভরা?
কি করে! কি করে!
প্রচলিত কল্পিত ধারণা আছে-
স্বর্গ ও নরক।
স্বর্গ সে ঘর সুখ শান্তিতে ভরা কিন্তু নরক-
সে তো অগ্নিকুন্ড।
এই ধারণাই যদি সত্য বলে মানি তবে-
তবে আমে স্বর্গে যেতে চাই-
নরক নৈব নৈব
চ!
তাহলে স্বর্গে যাবার উপায়-
চিত্রগুপ্ত।
কেউ আমায় বলনা তাই-স্বর্গে আমি কেমন করে-
যাবার উপায় বলনা
ভাই।
শুনি সেথায় সুখের বারি-স্বপ্নসুখে রাজ্যটাই-
পারিজাতের সেই কাননে-
মন যে আমায় আমোখ টানে-
সুখের বাঢ়ের সীমা
নাই।
চিত্রগুপ্ত-গুপ্ত সেই রাজটা বল-রাস্তা আমায় দেখাও আলো-
সুখের সীমা নাই-
হেথায় ধরায় হিংসা দ্বেষে-
প্রাণ সীমা সে খাদের দেশে-
দুখের সীমা
নাই-
সংসারেতে সং সেজে ওই-কান্না অনেক উড়ছে খই-
মন বেদনায় খাচ্চি খাঁবি-
সুখের দেখা
নাই।
চিত্রগুপ্ত-চিত্রগুপ্ত-গুপ্ত সেই রাজটা বল-
রাস্তা আমায় দেখাও আলো-
সুখের সীমা
নাই।
চিত্রগুপ্তঃ
কান্না ধরে লাভ কিছু নাই-জীবন তোলা নাপ হবে ভাই-
পাল্লা মেপে মেপে-
স্বর্গ সেথায় প্রবেশ নিষেধ-হিংসা দ্বেষের ভাবনা বিশেষ-
কঠিন কঠোর প্রভুর আদেশ-
ক্ষমার দিশা নাই।
দয়াল সুধা প্রাণটি ধরো-হিংসা দ্বেষ ঝরিয়ে কালো-
অলক সীমানায়-দীন অগতির নিত্য বলো-
মন্দির নয় বস্তি চলো-
প্রাণ সে দরিয়ায়।
স্বর্গ নরক তোমার ধরা-কানবে না ভাই আকুল করা-
এবার বিদায়
যাই।
পিয়কবি সংহিতা মহাশয়ের একটু আগেই প্রকাশিত "ধার্মিক হতে গেলে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
দুর্বিত্ত
হিন্দু নয় মুশলিম নয়-মন্দির ভাঙ্গে দুর্বিত্ত্-
দুরাপ্রাণ শয়তান সেই জনে-
নেই কোন
ধর্ম।
হিন্দু নয় মুশলিম নয়-মসজিদ ভাঙ্গে দুর্বিত্ত্-
ধর্মের সাথে কোরোনা অধর্ম-
কোরোনা তাদের
যুক্ত।
আমি কবি বলে যাই-শুন ধার্মীক জন-
যে জন মন্দির ভাঙ্গে মজজিদ ভাঙ্গে-
সে জন শয়তান।
নিখিলো বিশ্ব আঙ্গুল তুলনা হিন্দু মুসলমান-
যে জনে ধরার ত্রাস রচিয়াছে-খবরদার
কোরোনা ধর্মের
অপমান।
কোরানেতে বাইবেলে কিবা হিন্দুরই ধর্মেতে-
খুজে পেতে বলে যাও-কোথা হিংসার
বাণী আছে!
তবে কেন হিন্দু কিবা বল মুশলিম-
জঙ্গীর কারবারি-ধর্মেতে
সঙ্গীন।
নাই নাই নাই নাই-ধর্মটা ওরা মেকি-
ধর্মের দোষ নাই-ধর্মটা জেনো
খাঁটি।
প্রিয়কবি বৃষ্টি মন্ডলের আজ প্রকাশিত "নদীর পথ চলা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
বন্দনা
এঁকেবেঁকে এঁকেবেঁকে সদা নিঁচুপানে অঞ্চল-
নদী তোহে সিঞ্চনে-মনপ্রাণ
চঞ্চল।
আমি শুধু চাহি উঁচু-গতিধায় প্রাণ-
দুখ ব্যথা গরলেতে-
অস্থির মন।
কুলুকুলু তোর গতি-দারুনো সে শৃঙ্খল-
আমি চলি দীশাহীন-মতি
উৎশৃঙ্খল।
উদাসীন হই যবে-ব্যথা জ্বালা অন্তর-
নদী তোহে কূলে বসি-শান্তি
সে প্রান্তর।
দুখ জ্বালা প্রশমিত-কুলুকুলু রবে মাতি-
মন মানে জেগে ওঠে-ভাব ধারা
সম্পৃতি।
চলা পথে কত দান-বিলায়ে সে দিলি তুই-
আমি প্রাণ হিংস্রক-ছিনে নিতে
মাতি সই।
দিকে দিকে পূজাপাঠ-বন্দনা করে তোহে-
ধিক্কারে ধিক্কারে-সবে মোরে
মন ভরে।
ঈশ্বর দয়া ধরো-নদী হতে চাহি-
যদি দাও আশিষেতে-বন্দনা
তব গাহি।
প্রিয়কবি সিজু নাসিমুল মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "চেতনা" কবিতার উত্তরে আজ কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
উপলব্ধি
ভাবনায় ডুবে গেনু-মনো মন্দিরো তলে-
সহসা চোখেতে আঁধার দেখিনু-
অসনীত বিদ্যুৎ বলে।
জীবনো গরলো করিনু যাপন-শত কত ছলা কলা-
অন্ত নাহিরে বিবরণে তায়-
পূর্ণ ষোরশ কলা।
চকিতে শীহরণো জাগিলো প্রাণেতে-অস্থিরো ধরা মতি-
ভাবিনু সে প্রাণেতে দীনতা-
সে করুনো পরিনতি।
অগতির গতি নারায়ণো তুহি-সে বল প্রণতি মাগি-
জাগিতে প্রাণেতে প্রভু-দেহো মোরে-
জীব দয়া সম্পৃতি।
প্রিয়কবি মো; আনোয়ার সাদাত পাটোয়ারী রিপন (মঞ্জুবাক কবি) মহাশয়ের একটু আগে প্রকাশিত "চরকির মত" কবিতার উত্তরে লেখা কবিতা।
ভেংচি
দেখছিতো দেখছিই-
হাসছিতো
হাসছিই-
ভাবছিতো ভাবছিই-
খাচ্ছি তো
খাচ্ছিই-
হাচ্চি তো হাচ্চিই-
পাচ্ছি তো
পাচ্ছিই-
গিলছিতো গিলছিই-
করছিতো
করছিই-
লিখছিতো লিখছিই-
দেখছিতো
দেখছিই-
ভেংচিতো ভেংচিই-
কাটছিতো
কাটছিই।