। হরিবোল
হরিবোলে আধুনাতে বোল আর বেঁচে নেই-
ওই দ্যাখো রামুকাকা-
মুড়ি দিয়ে ভাজে খই-
ন্যাপার ওই থাবাতে-হরি কাঁদে ব্যাবাকে-
মানুষেতে হুশ নাই-জ্বলে বাতি-
কাঁদাতে-
শ্বশানের মাটি কাঁদে-হিংসার শব লাশে-
দেশে আর বিদেশেতে-যুদ্ধের ঢঙ্কাতে-
বিদ্বেশে প্রাণ মেতে-মানবতা ধানক্ষেতে-
অশান্ত প্রান।
দিকে দিকে চৌদিকে-ছলকলা গল্প-
পুস্পিত রঞ্জিত-
পাবে নাকো স্বল্প।
বিচারের বানী হেথা-য্দু মধু রাম কেতা-
নবাবের অন্যায়ে-ফাঁসি যায়-
হরিচাচা।
প্রলয়ের কিনারাতে-মতিহীন হয় শুনি-
বড় বড় কিতাবেতে-
বলে গেছে মহাঞ্জানী।
অতঃ পথ চেয়ে বসে রই-
হরিবোল বল সই।
মোর ইপ্সিত বাংলা
হানাহানি বিদ্বেষ কবে বল হবে শেষ-হে মোর বাংলাদেশ-
হেথা ধর্মের হানাহানি-মানবতা হয় হানী-
পশুতার সম দ্বেষ।
রাগ ক্রোধ বিদ্বেষ-ক্রোধানল বাস্পেতে-
জীবটা হাঁসফেঁসে-
দুনয়নে বারি।
হে মোর বাংলদেশ-সোনাফলা রং দেশ-
গর্বের সীমানাতে-পরিচয় বিশ্বেতে-
সুজলাং সুফলাং পরিচিতি।
হেথা সাম্যের বাণী কাঁদে-
আধুনাতে শত ফাঁদে-
মৃত্যুর কিনারায়।
হেথা বিচারের বাণী কাঁদে-দেশ ভরা অপরাধে-
শ্বপদের কোকনেদে-
গরলেতে প্রাণ।
অঙ্গান মন মোর-কাঁদে অব্যাক্ত মর্মর-
শত প্রাণ বলিদানে-শত শহীদের পনে-
স্বাধীনতা বাংলার।
এ কি মোর সেই সোনা-কেন বেদনার হায় শোনা-
কান্নায় বাতাসেতে-শত প্রাণ যায় ভেসে-
ডুবন্ত ঠিকানায়।
হে মোর দেশবাসি-বড় ভালবাসি বড় ভালবাসি।
এ কবি ডাকে গানে-উদাত্ত আহ্বানে-
চল সুখি অঙ্গন গড়ি-সাম্যেতে দেশ ভরি-
এ মোর সোনার তরী-
বাংলাদেশ।
পণ
দুদিনের এ জীবন-
কাল স্রোতে ভেসে যেতে হবে একদিন-
তবে কেন দ্বেষ বিদ্বেষ-
এসো রমজান মাসে করি পণ-
হে আল্লাহ রাসুল-
ক্ষমা দাও ক্ষমা দাও-
জীবনেতে অন্যায়-
শত ভুল-
অতিতের ছায়া দুরে-
দীন দ্বেষ দুরে ছুড়ে-চলো খাঁটি ঈমানেতে-
ত্যাগ করি কলুষতা-
রমজানে দেই কথা-
এক পৃথিবীকে।
ছন্দজাদু
যে যা বলে বলুক না-ছন্দ মোরা ছাড়বো না-
ছন্দ মুড়ে কাব্য গুলে-
আধুনতা ধরবো না।
আধুনতা গাইছে যারা-মনের সুখে সাধুক না-
ভাবধারাতে খুবই ভাল-
গুনমানেতে মন্দ না।
তাইবলেতে তালবনেতে-আপনধারা ছাড়বো না-
ভগবানের দানগুলিকে-
গলা চিপে মারবো না।
যে যা বলে বলুক না-ছন্দ মোরা ছাড়বো না-
ছন্দ মুড়ে কাব্য গুলে-
আধুনতা ধরবো না।
চোখপাখিতে সোনার দেশে-সোনার পানে প্রাণ-
ছন্দবুনে কাব্য গুনে-
আনবো সেই সন্মান।
সেই দিনেতে উড়িয়ে দেবো-ছন্দ তেরঙ্গাটা-
বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে-
ছন্দেরই ঘনঘটা।
তাইতো বলি শোন রে ভায়া-ছন্দ জাদু ছাড়িস না-
ছ্ন্দবুনে আনবো গুনে-
সেই আশাটা ছাড়িস না।
যে যা বলে বলুক না-ছন্দ মোরা ছাড়বো না-
ছন্দ মুড়ে কাব্য গুলে-
আধুনতা ধরবো না।
আয় বৃষ্টি ঝেপে
আয় বৃষ্টি ঝেপে-তোর গায়েতে লেপে-
কৃষান যাবে ক্ষেতে-
আনন্দেতে-
নেচে-
ফেলবে চারা গাইবে গান -বৃষ্টিভেজা মধুর তান-
ময়না পাখি ফিঙ্গে টিয়ে –
উড়বে ঘুরে শীস-
বাজিয়ে-
দারুণ সুখে তানপুরাতে-একতারাতে ঐ বেলাতে-
ঘাসের পাতায় খেলবো মোরা-
গাইবো বৃষ্টিভেজা-
গানের ছড়া।
কলকলিয়ে-খলখলিয়ে-ভাষাই তরী কুলকুলিয়ে-
পুতুল গুলির আজকে বিয়ে-
আয়না তুই–ঝরঝরিয়ে-
উলুধ্বনি শঙ্ক দিয়ে-
বরন করে নেব-
তোকে।
আয় বৃষ্টি ঝেপে-তোর গায়েতে লেপে-
কৃষান যাবে ক্ষেতে-
আনন্দেতে-
নেচে-
শ্রদ্ধাঞ্জলি
ভালবাসার তরনীতে-তোমাদেরি সুরধ্বনিতে-
মনটি আমার হাড়িয়ে গেল-
আলোকেরই ঝর্নাধারায়-
নয়নশিখা আবছা হোল-
প্রশান্তিতে প্রাণটি জুড়ায়-দুহাত কর জুড়ি-
হৃদসাগরের সুর লহরে-
দিলেম শ্রদ্ধাঞ্জলি।
তোমাদেরি আলোক ধারায়-আমার প্রাণের নিশান পথ-
দুঃখ ব্যথা এই দুনিয়ায়-ছাড়িয়ে যাবো-
ভবের হাট।
চাঁদের দেশে্র চরকাবুড়ি-আনবো গাঁথা কবিতাতে-
জ্যোৎনা দিয়ে মুড়িয়ে দেব-
তোমাদেরি আর্শীবাদে।
সেদিন ধরা হাসবে সুখে-কল্পলোকের বাণী-
গাইবো মোরা সে সুর ধরে-
প্রভাত আগমনী।