প্রিয়কবি খসা হক মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বাসনা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আগমনী
কালে কালে যুগে যুগে এসেছিল বারে বারে-
বহু ঋণ ধরা আছে-এ ভূবনে
দ্বারে দ্বারে।
তারা এসেছিল ভালবেসেছিল-প্রেম সে ভূবন ভরিয়ে দিতে-
অন্ধ চোখে মানবতার আলোক ধারা
বন্যা দিতে।
অন্ধ জাতি ক্রন্দনেতে দিশাবিহীন স্থবির জাত-
তমস কালো সংস্কারেতে রক্তঝড়া
গভীর ক্ষত।
সে ক্ষত জ্বালা মিটিয়ে সে প্রাণ-গরল আপন গলায় ধরি-
ক্রুশ কাঁটাতে বিদ্ধ জীবন-মাথায় কাঁটার
মুকুট পরি।
কালে কালে যুগে যুগে এসেছিল বারে বারে-
বহু ঋণ ধরা আছে-এ ভূবনে
দ্বারে দ্বারে।
তারা এসেছিল প্রাণ সে ধারা বইয়ে দিতে-
ঊষার আলোক স্নিগ্ধ ছায়ে দিকবিদিকে
ছড়িয়ে দিতে।
বুদ্ধ রাজা ভিক্ষু হলেন-শান্তি সোপান গড়তে ধরা-
দিব্য প্রেমের বীণার সে তান-মানব প্রেমের
দিব্য ধারা।
কলিঙ্গের ওই বধ্যভুমি-ঊলুধ্বনী বাজলো শাখ-
দিকবিদিকে ছড়িয়ে শোভা-মানবতার
আশোক সাঁজ।
ইতিহাসের পাতায় পাতায় সোনার জলে লেখা রয়-
শান্তি সুবাস শীতল হাওয়ায়-প্রশান্তিরই
আলোক বয়।
এখন ধরা তপ্ত অতি-মানবতার হচ্ছে বলি-
ধ্বংস গানে রুদ্রবীনা-আকাশ বাতাস
হচ্ছে ভারি।
দংস দহন গভীর সে ক্ষত-রুদ্রবীনায় প্রলয় গান-
লক্ষ ফনা লকলকিয়ে-ধরছে ধরায়
ধ্বংস তান।
মানবতার ধ্বজাধারী-বুদ্ধ সে প্রাণ প্রেম পূজারি-
আসতে ধরা করতে শীতল-শুনছি
তোমার আগমনী।
ওই সে রথ আসছে নেমে-দিব্য জ্যোতি আলোক সনে-
লাগতে পালের হাওয়ায় দিশা-দূর হবে
সেই অমানীশা-
অমোঘ বাণী
শুনি।
(যুগে যুগে কালে কালে তারা এসেছিল। তাহলে কি আমরা আশা করতে পারি না-তারা আবার আসবে আবার শান্ত শীতল হবে ধরা। হয়তোবা সে কাল উপস্থিত!)
প্রিয়কবি শরীফ আহমাদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "চিরমঙ্গল" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
প্রতিক্ষালয়
প্রতিক্ষালয় এ ঘর ভাবি-আমিতো ভবি-
ভবের সাগর ঘাটে-
দুঃখ শোকের কলার ভেলায়-
সংসারের ওই
পাটে।
আমিতো ভবি ভবের সাগর-লীলার খেলাঘর-
আতুরঘরের কান্না বুকে-
সাগর পারাবার।
উছল ঢেউ এর শৃঙ্গে উঠি-পুলক জাগে প্রাণে-
ঝমঝমাঝম তরিৎ বেগে-নিচের
দিকে টানে।
আমিতো ভবি-ভবের হাটে-লহরে কদম চলি-
কান্না হাসি পান্না মোতি-উছল
কথা বুলি।
আমিতো ভবি ভবসাগরে-চলছি স্রোতের টানে-
উজান গাঙ্গে বইছে চলে-
সৈকতেরই পানে।
যেদিন যোনি মিলবে সাগর ওইপারের ওই ডাক-
খেলাঘরের মায়া মোহ-সাঙ্গো
হবে ভাব।
পুলক মনে বইছি চলে-নিশান ধরা রাহে-
জটিল বাঁকে ঘূর্ণীপাঁকে-ডাইনে
এবং বাঁয়ে।
আমিতো ভবি ভবের সাগর-লীলার খেলাঘর-
আতুরঘরের কান্না বুকে-
সাগর পারাবার।
প্রিয়কবি ফয়েজ উল্লাহ রবি (পারিজাত কবি) "ধর্ষক থেকে শিশু নিরাপদ নয়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
অস্ত্র হাতে নেই
অব্যাক্ত ক্রন্দনে ভরে যায় বুক-
শিশু কচি ব্যথা জ্বালা-
দুরে যায় সুখ।
চলো কবি পণ ধরি-অস্ত্রটা হাতে নেই-
যেইখানে যন্ত্রণা-সেইখানে
বারি দেই।
দুঃখটা বুকে ধরে-আর রাখা ভাল নয়-
রক্তের খেলা খেলি-মুছে
দিতে অন্যায়।
প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মাটি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
পণ
যাবিরে তুই মাটির কোলে-দম্ভ এমন করিস ক্যানে-
দ্বেষ বিদ্বেষ মারিস মানুষ-আগুন
খেলিস গনগনে।
তুই তো পশু মানুষ নহে-পাপ করলি অনেক জমা-
আমার কথা না হয় বাপু-বলছে তোর
ওই গর্ভ মা।
পাষান বেদী করিস খেলা-রক্ত খেলিস আবির হোলী-
বছর ভর বারুদ উড়াস-খেলতে
অকাল দিপাবলী।
নাইরে মোদের দুঃখ খানিক-রক্ত আগুন জ্বালে-
আসছি তেড়ে মুষ্টি ধরে-আসছি
মাটির ছেলে।
ছাল ছাড়াবো জিন্দা তোদের-কাবাব কিমা পিস-
রক্ত কৃপাণ করবো বলি-ছাড়বো
নারে পিছ।
ভাবিস নারে গল্পবুলি-শক্ত কঠোর পণ-
জাগতে ধরা একটু দাড়া-
হতচ্ছাড়া দল।
প্রিয়কবি লক্ষ্ণন ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বাতাসে ভাসে বারুদের গন্ধ" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আত্মাহুতি
মহামানবের কোনো দরকার নাই-আমরা সবাই-
যদি ঝাপাই-ওই অশ্রু সাগর নীড়ে-
যদি অস্ত্র উঠাই কুড়াল কৃপাণ-
প্রাণ বেদনার তীরে-
ঝাপ দেই ওই হিংসা ভূমি-করাল যেথা ছায়-
মানবতার বলি দিয়ে-
দানব অতিকায়।
পল্টনেতে তৈরী যদি-শতেক দেশের আমি তুমি-
ঝাপ দিয়ে ওই রক্তসাগর-শিশুবধের
কালো ভুমি।
দেশ দুনিয়া এক হয়ে যাও-আমরা দেব প্রাণ-
জ্বলছে আগুণ-আত্মাহুতি-গাইছে রে
সে গান।
রাজনীতির ওই উব্ধে উঠে-মানুষ জাতি জাগো-
আমি তুমি অগনিত-বলছি
ধরা মাগো।
প্রিয়কবি রীনা তালুকদার মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "ইলিশ বর্ষা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
লালসা
রুই কাতলার দুঃখ বড় পোলাপান ও ছাড়ে না-
ওই তো দ্যাখো ইলিশগুলি-ওদের পোনা
মারে না।
রাজার রাজা ইলিশ রে তুই-থাকতে সাগর জলে-
আসতে তোকে হয় রে কেন-মিষ্টি
নদীর জলে।
আসলি তো রে তাওরে ভাল-রাজনীতি ধরিস ক্যানে-
সারাটা বছর আমরা চালাই-সারা বছর
সবাই কেনে।
তুই আসলে হইচই-মন্ত্রী রাজা নাচে-
জল ঘোলা হয় অনেক খানি-
ভারত বাংলাদেশে।
মাছ তো ভাই-সাগর ভরা-দেশটা তোদের অনেক বড়-
মারলে পোনা হারিয়ে যাবি-ওরা
ভয়েই জরসর।
আসল কথা শোনরে ভাই-লোভী মনের কল্পনা-
সকাল বিকেল ইলিশ ভাপা-সর্সে
বাঁটার জল্পণা।
এই লালসায় তোদের নিয়ে এমন বাড়াবাড়ি-
মন্ত্রী নেতা বাবু কেতা-করে
কড়াকড়ি।
প্রিয়কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মন" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
প্রত্যয়
তারপরে খানখান মন ওই ভেঙ্গে যায়-
ঘন কালো মেঝ যবে বিদ্যুত চমকায়।
জীবনটা থেমে যায় দুঃখের অবশেষ
অবশেষে বারিধারা-দুঃখের দিন শেষ।
তারপরে নীল নীল আকাশের দিশা
জীবনের টুকরিতে করি মাজা ঘষা।
আলাদিন প্রদীপটা-কেন যেন পাই নাই
দুখ ভরা জীবনেতে-কষ্টের সীমা নাই।
তবু বয়ে বয়ে চলে জীবনের গতিধারা
মিলেমিশে কাজ করি-হাতে হাত হাত ধরা।
কর্মেই জীবনেতে সুখ সারি বন্যা-
পণ ভাই মুছে দেব সমাজের কান্না।
প্রিয়কবি অনীক মজুমদার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত জামাই আদর কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
উল্টাকাহন
জগাই মাধাই শুনসো তো কইলো কবি কি-
মেহেরপুরের জামাই আদর-
এক্কেবারে খাঁটি-
জেল জরিমান পয়সা ট্যাহা-ঝগড়া ঝাটি-
নাই রে বিরাম ক্ষণ-
দিন মানত ওই কান ফুসলান-
রাত্তিকালে উল্টাকাহন।
জগাই জা তুই অই দ্যাশেতে-একটা মাইয়া ধর-
ফুসলাইয়া মাইয়াডারে এইখানে
পাড় কর।
মাধাই শুন কইসি তোরে-অর লগত তুই জাবি-
দ্যাহাশুনা তুই অর কাকা-বিহাটা
তুই দিবি।
মাইয়া আইলে মাও আইবো-বাপটাও তো পাব-
রসিত বাইনধা মন মর্জি-
ছালটা ছাড়াইবো।
হেই কবিটার দাদার দুঃখ-সুদ আসলে উঠাই লই-
জগাই মাধাই অহন তোগো মা দুর্গা
বিদায় কই।