প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশি "সিংহর্প্রমান পত্র (ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
অস্ত্রবিহীন
শক্তি সাহস শৌয্য বল-হৃদয়-প্রাণ সে বয়-
আগুন দিয়ে ভাবনা মনে-সেই আগুনে
কথা কয়।
গান্ধি ছিল অস্ত্রবিহীন-চরকা ছিল হাতে-
স্বদেশীতে আগুন জ্বেলে-বুলেট
প্রতিঘাতে।
প্রাণ ছিল সে মাতরম-মিষ্টি মধুর কলি-
প্রাণ সে দিশা জাগলো জাতি-ভ্রমর
খেলে অলি।
অলি গলি বাজলো সে সুর-বাজলো দামামা-
রাজ বিদেশী চমকে ওঠে-বুলেট
হলো কানা।
লেজ গুটিয়ে দুম সে ভাগে-বিদেশ দিলো পাড়ি-
স্বাধীনতার সূর্য ওঠে-
ইংরেজ সে
দাড়ি।
প্রিয়কবি খসা হক মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আয় ফিরে আয়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ফিরে আয়
তৃপ্ত পরম কোকিল কূজন আয়রে সুজন আয়-
তোর রাহেতে বিছায় আঁখি-আয়রে
ফিরে আয়।
এই গাঁয়েতেই স্বপ্নসাগর সাতমহলায় ভাসতি তুই-
এই গাঁয়েতেই সকাল সাঁজে-হাস্নেহানা
গোলাই জুই।
রন্ধে রন্ধে বইছে হেথায়-তোর ওই সাধের চরণ ধুলি-
আয় ফিরে আয় ডাকছে সে গায়-সপ্তশিখায়
সুরটি তুলি।
তোর বিহনে বইছে নদী-করুণ কলতান-
তোর বিহনে কুঞ্জবনে-দুখের
আলোরণ।
গায় যে পাখি গানটি করুন-একতারাতে হারায় সুর-
তোর বিহনে-আকাশ কাঁদে-
শ্রাবণ ভাঁদুর।
তৃপ্ত পরম কোকিল কূজন আয়রে সুজন আয়-
তোর রাহেতে বিছায় আঁখি-আয়রে
খোকন আয়।
প্রিয়কবি মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ফিরে এসো মৌমিতা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আধুনিক গদ্যছন্দ প্র্যয়াস ১৯
সবক
সে ফিরে আসবে আবার-
আবার সুবাসিত হবে কাননের সমস্ত কলি-
চাঁদ জ্যোছনার আলোক ছড়িয়ে-
সে আবার আসবে ফিরে।
সে কি পারে আমায় ছেড়ে থাকতে-
যে আমায় ভালবেসেছে।
সে কি পারে-সে কি পারে!
হয়তোবা অশ্রু বির্ষজনে ভূবণ ভরানো প্রাণে-
বুকে পাথর চেপে-
আমাকে সবক দিতে!
জানি সে পারবেনা-জানি সে পারবেনা-
বিধাতা তো তার জন্যে-আমাকেই সে
বাগানের মালি হিসেবে
পাঠিয়েছেন।
সে ফিরে আসবে-সে ফিরে আসবে।
চাঁদ জ্যোছনার আলোক ছড়িয়ে-
সে আমায় ভালবাসবে।
প্রিয়কবি বৃষ্টি মন্ডলের আজ প্রকাশিত "মায়ের আগমন" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আগমণী
দূর্গাপূজা হইহুল্লোর আকাশ আলো করা-
স্বর্গ থেকে উমা মা-নেমে
এলেন ধরা।
দশটি দিন কি মজা ভাই-ছুটির আমেজ বয়-
শীতল বাতাস শিউলি সুবাস-আমেজ
ধরে রয়।
রং চন্দণ প্রাণ উজাগর-নতুন নতুন বস্ত্র-
বাজার দোকান সব হাসিমুখ-
বিকিকিনি ত্রস্ত্র।
মহালয়া ভোর সকালে-আগমণী সুর-
প্রাণ উজালা-নদীর ঘাটে-দুঃখ হয়
সে দুর।
পাড়ায় পাড়ায় প্যান্ডেলেতে-রং বরং-এর সাঁজ-
গরীব মানুষ ওরাও খুশী-মিলছে
অনেক কাজ।
দশটি দিন হইহুল্লোর-প্রাণ মিতালী গান-
দশদিকেতে উমা মায়ের-
আগমণী গান।
পাড়ায় পাড়ায় অনেক ঘোরা-দিন কিবা ওই রাত-
আমার মা কোমর ব্যথা-
গিটে গিটে বাত।
তাই গাড়িতে যাই যে মোরা-অনেক রাতে যাই-
অনেক রাতে রাতবেরাতে-রাস্তা
ফাঁকা পাই।
আর তো কদিন মাতবো মোরা-রক্ত জাগে সুখ-
উমা মা আসছে ধরা-বধ
হবে অসুর।
প্রিয়কবি রণজিৎ মাইতি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "প্রকৃতির কাছে গেলে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
অরন্যক
অরন্যক এ পৃথীবি-গাহি আমি জীবনের জয়োগান-
এ বাতাস উদার-এ আকাশ
ব্যাপ্ত বহমান।
সাগরো লহরো তরঙ্গো সুর মাতলো ভূবন-
এ পাহাড় উদাত্ত-গাহি আমি
জীবনেই জয়োগান।
নদী বহমান স্নিগ্ধ কুলুকুলু সুর-হৃদয় শান্ত নীড়-
পাখির কূজনে হই আনজান-ধরি সে
প্রাণ রঙ্গীন।
আকাশ সূর্য প্রভাত ও সাঁজে-রঙ্গীন আলোক ধরা-রাত
জ্যোছনা আকাশ উদার-প্রাণ সে
উজার করা।
দিব্য আলোক বন্দনা গাহি আকাশ পাহার ভূমি-
প্রাণ সে দিলে উজান গাঙ্গে-বন্দণা গাহিতে-
হে বিধাতা-তোমায়
আকাশ চুমি।
প্রিয়কবি গৌরাঙ্গ সুন্দর পাত্র মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "হৃদয় ভাসেনি জলে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ধারাপাত
প্রেমের ধারাপাত হয়নি বুঝি ফাগুনে-
তাই তো বউ কথা কও আগুনে।
প্রিয়কবি মনোজ ভৌমিক (দুর্নিবার কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "এ প্রেম শ্বাশত" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
টুনি পাখনা মিলেছে
হায়রে হায় এমন কেন-জাগনা শুভ তাড়াতাড়ি-
করলে দেরী বলছে টুনি-
চলেই যাবে বাপের
বাড়ি।
তুই কেনে রে বলতে গেলি-পাক্কা বারো মাস-
দিলিই কথা এখন কেনে-
হোস রে
উদাস।
খেলতে তোকে হবেই এখন-নাচবি টুনি তুই-
জরিয়ে ধরে আদর করে-
চাইছে রে তোর
সই।
ভাবনা কেনে বাপ তো তোর লক্ষ কোটিপতি-
কাজটা কি করবি রে তুই-
হোক না এমন
মতি।
তোর মনেতে অন্য কিছু-খোট নেই তো ভাই-
ভাবছি মোরা আসর জুরে-
সবাই অবাক
তাই।
সাত দিনেতে মিটেই গেলে-প্রেম মতি সে ভাব-
কৃষ্ণ রাধা যুগ যুগেতে-
কেমন ধরে
সাঁজ।
বলছি রে ভাই এই বেলাতে-মনটা মেলে দে
রাত দিনেতে ভাবনা কি আর-
টুনি পাকনা
মিলেছে।