(প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাষয়ের আজকের আসরের "অসতের জয়-(ব্যঙ্গ)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে আজ লেখা কবিতা)
। জাগরণ
হেথায় ফেনাইলো দুঃখের বারি-নয়নো বরোষণে-
পন্ডিতো হেথা চরণোতলে-
চামুন্ডা সিংঘাসনে-
শিক্ষারো তরী ডুবিল পঙ্কে-মলীন ভুষনো প্রান-
টকবগে টকবগে শীরায় রক্ত-
চোরেতে বহমান।
হেথা বড় দালানেতে রয়-দুরামতি নষ্টের নীশাদল-
মানবতা হেথা সদাই কাঁদে-
ভয়ার্ত কম্পমান।
হেথা বিষ বাস্পেতে-লকলক করে সহস্র বিষাক্ত সর্প-
বারুদেতে ধরি হিংসাবহ্নি-
দুরাপ্রাণ করে দর্প।
হেথায় মানবের রুপে রয়-সহস্র দানবো রতিকাম-
নারীরো ভুষন ভুলুন্ঠিত-কান্নারো সুর সদাই-
বাতাসে বহমান।
রাম রহিমের দেশে-হেথায় শঙ্খ নিনাধ ধ্বনি-
শোন রে দুরাচারী-হেথা শুরু হল-
আজি জন জাগরণী-
গগনেতে প্রাণ ধরিয়া মুষ্টি-গান শোন ওই আগমণী।
তৃষিত রক্তে মারিব বক্ষে-
ধরাতল ধুম ধরাশায়ী-
দিকে দিকে দিকে দিকে-দেব আলোপ্রভা-
মুক্ত প্রানেরো দেবাঙ্গন-
সাম্যের বাণী লেখা।
(শৈশবটা হারিয়ে গেল প্রিয়কবি অনিমেষ দন্ডপাঠ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা)
শোক পালন
এখন জীবন পাল্টে গেছে-রপকথার ওই দেশ-
পাবে নাকো শতেক খুজেও-
ব্যর্থ অবশেষ।
আধবুলিটি ফুটলে পরেই-আটকিলো সেই কেজি-
শিশুর চেয়েও ব্যাগের ওজন-
মাপলে তাই বুঝি।
নার্সারিতে আটখানা বই-কেজিতে গেলে বারো-
বিলেতের ভাষা ভাই-
চাই যে বেশি আ]রও।
হোম ওয়ার্ক গাদা গাদা-নইলে যে রবে গাধা-
ওরে সোনা ফাস্ট হবি-
ওইটা চাই বাধা।
বাবা করে ফায়ারিং-মা বসে ওয়েটিং-
রাস্তার কিনারেতে-গল্পেতে মজে গিয়ে-
দলে দলে ঝাকে ঝাকে-বকে চলে-
ফায়ারিং।
স্কুলফেরা বাড়ি গেলে-খাতা বই চেক আপ-
ডায়েরিতে কেন বাবু-দিল তোকে-
লাল দাগ।
খানাপিনা নাকঘুম-চল খোকা ওঠ ফট-
প্রাইভেটে যেতে হবে-
রেডি হও চটপট।
ফাঁকে ফাঁকে ধরা থাকে-কার্টুনের টুনটুন-
দিবারাত এভাবেই-
মরে যায় কুমকুম।
ওই খেলা মাঠ ভায়া সেকেলের গল্প-
লাঠি গুলি ডাংগুলি-
সেলফিতে কত্তো।
চলো ভাই দুই ফোঁটা-জল মুছি চোখেতে-
দু মিনিট নিরবতা-
করি সেই শোকেতে।
(আমার লেখা "মা" কবিতায় প্রিয়কবি "শপথ" মহাশয়ের কমেন্টেএর উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।)
মাহি
মাহি দেব মাহি দেবী মাহি আল্লাহ ঈশ্বর-
মাহি প্রেম মাহি প্রীতি-
মাহি অবিনশ্বর।
মা মা মা-
জীবনের খাতা খোলে-মা ডাকে তারি কোলে-
প্রসব যন্ত্রনায়-হাসিমুখে শত সয়ে-
বেদনায় বেদনায়।
স্বপ্নেতে ঘেরা দেশে-শৈশবে বাল্যেতে-
স্নেহ আর মমতায়-
মমতায় মমতায়-সুখ দুখে বুকে টেনে-
অভয়ের বাণী কানে-মা মা মা মা-
মা মানে মমতা।
শিক্ষা যে তারি দান-শিস্টতা ভরা প্রাণ-
শালিনতা মার্জনা-যত গুণ যায় গোনা-
সবই তারি হাতে বোনা-
মা।
মা মানে মার্জনা-দয়া প্রেম কাহিনী-
মাহি দেব মাহি দেবী মাহি-
আল্লাহ ঈশ্বর-
বাণী।
(আমার লেখা উত্তরে উত্তরে চতুর্থ ভাগ কবিতায় প্রিয়কবি "বালুচর" মহাষয়েয় মন্তব্যে উত্তরে আজ লেখা কবিতা)
বারে বারে যাবো সেথা-যদি হয় কতকথা-
জেগে ওঠে মন
সে ভরা ফাল্গুনে ফল্গুর ধারা সনে-
নয়নেতে প্রাণ।
কথা দিনু এইক্ষনে-নয়নের বরিষনে
হৃদয়ের আঙ্গিনায়-
হেথা বুক ভরা বেদনাতে-কত শত আশা ভাসে-
আশাহত ব্যথা শত-
বাধা সেই দরিয়ায়।
সংগামে জীবনেতে-দুখ ভরা ভবহাটে-
বেদনাতে বেদনাতে-
লেখা শত দুঃখ-
হেথা মন প্রাণ মেতে-কবিতার আঙ্গিনাতে-
উত্তরে উত্তরে-
সুখ ধারা সখ্য।
হেথা সুখপাখি সুললিত সুরোগাণ-
জেগে অঠে অন্তর-
সে দারুন সন্মোহন-
জাদুকরা সেই দেশ-ভুলে যাই ভুলে যাই-
বেদনার অবশেষ-
ঈশ্বরে প্রাণ।
কথা দিনু এইক্ষনে-নয়নের বরিষনে-
প্রনাম।
প্রিয়কবি রীনা হিশ্বাস(হাসি) মহাশয়ার লেখা কবিতা "অনন্ত 'ওদের' প্রকাশে এসো কবিতায় উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা)
ঘরে ঘরে ব্রহ্মা
যদি হই যদি হই যদি হই ধ্রুবতারা-
পূব ওই আকাশেতে-
স্থির প্রাণে মিলে যাব-
ব্রহ্মলোকে।
যদি হই যদি হই সুর লহরিত সাগরেতে
প্রাণঢেউ আসে যাবে
লহরেতে বারে বারে।
ঘরে ঘরে ব্রহ্মা-পাবে এই ঘাটেতে-
আলো দিয়ে ধরে নিতে-
সেই বাধাতে।
অবুঝ প্রাণে যোজন দুরে খোজ খাজানায়-
সীমার মাঝে অসীম বাঁধা-
এই দরিয়ায়।
হীরের খনি হৃদয় মাঝে-ওরে ওই ও সুর বাজে-
মিছে পাণ খোজ খাজানায়-
ধরা প্রাণ মিছে কাজে।
সেই মনে দীপ জ্বালি ধুপ আলো অঞ্জলি-
হেথা ধরা সীমানাতে-
অসীমেরই জ্বাল বুনি।
(আমার উত্তরে উত্তরে(চতুর্থ ভাগ) কবিতাতে প্রিয়কবি সোমালীনির্ঝরা(মৃনালীনি) মহাশয়ার মন্তব্যের উত্তরে কমেন্ট বক্সে আজ লেখা কবিতা)
শ্রদ্ধাঞ্জলি
হৃদয়টা ভেসে গেল-নয়নেতে জল এল-
বরষার-করজুড়ি ভক্তিতে-
নমি নত মস্তকে-
বারে বার।
অয়ি স্বর্গ অয়ি স্বর্ণকমলসুধারঞ্জিত
সুরোভিত সুরোধ্বনি-
লোচন মুদিল সুরভিত সুবাসেতে-
সিঞ্চিত জল ধারা-
ভুমি।
গগনো মাতিল ওঙ্কার ধ্বনি ধারা-
সমীরণ মৃদু হিল্লোল-
কাকলিত মুখরিত-কলরবে মাতিলো-
বিহঙ্গ কূল দল।
মস্তকো হোল অবনত-সজলো ধারা কিরনেতে-
সহস্র দল হোল পুস্পিত-
হৃদয় কিনারাতে।
অয়ি বাণী অয়ি বল-সম্বল ধরনী তলে-
উছলিত সে বাণী-কাব্য কাহিনীতে-
মিলে দেব ডানা-
মিলে।