(মধ্যপ্রদেশ, জেলা মনসৌরে ইংরেজী দু'হাজার সতের, ছ'জুনে ছয়জন কৃষান প্রাণ হাড়ান গুলির আঘাতে ফসলের ন্যায্য দাম আদায়ে আন্দোলনে। প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয় ব্যাথিত হৃদয়ে কবিতা লেখেন আজ"উঁচু উড়ান" সেই কবিতায় মন্তব্যে উত্তর দিতে কমেন্ট বক্সে আজ লেখা কবিতা)


।                           বিদ্রোহ


               হৃদয়বিদারক ঘটনা হে প্রভু-
                      কেন এ যাচনা-
                        শুধাই ঈশ্বরে-


            এ ধরণীর তলে-কেন বারে বারে-
                    শত প্রাণ ধরাতলে-
        কিষান ও মজদুরে-কেন আসে ঘুরে ফিরে-
                      শত প্রাণ দুঃখ।
           বুলেটের আঘাতে কেন লেখা ললাটে-
                      ধরাতলে দুঃখ।


         প্রভু তব বাণী কাঁদে-সে তীব্র আর্তনাদে-
        সে ধ্বনী আকাশেতে-সে ধ্বনী বাতাসেতে-
                কেঁদে কেঁদে বলে ওঠে-
                         অন্যায়।


        প্রভু তোর পায়ে ঠূকি-হৃদয়টা তোকে সঁপি-
                   নাহি লাগে প্রাণ মোর-
                   যেথা অন্যায়- ঘন ঘোর-
                     কান্নায় প্রাণ মোর-
                     সে বিষাদিত দৃশ্য।


(আমার লেখা উত্তরে উত্তরে কবিতায় প্রিয়কবি  এম,এ, মতিন মহাশয়ের মন্তব্যের উত্তরে আজ কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা)


                           সন্ধান


                  আপনার মহানুভবতা-
       হৃদয়ক্ষরণে হোল সিক্ত-দুনয়নে ধারা এল-
                     প্রাণ মন রিক্ত।


         শূন্য এ হৃদমাঝে-ওঙ্কার ধ্বনি বাজে-
                 অনুভবে মনে প্রাণে-
                দিকে দিকে শুনি গানে-
                     সুললিত কাব্য।


      সে কাব্যে লেখা আছে-সুর লয় তাল সাঁজে-
                 প্রানসুধা গানো গীতি-
                    চৌদিকে সম্পৃতি-
                        সম্পদ।


         আধুনাতে ধরাতলে-বিষাক্ত নিশাদলে-
                    বারুদেরি বাস্প-
        হৃদয়টা কেঁদে ফেরে-যেন লহু দরবারে-
               দহনেতে দংশিত ওষ্ট।


        মুর্হুমুহু কেঁপে উঠি-ধ্বংসের সেই গীতি-
                   অহরহ ক্রন্দনে-
                     অশান্ত গান।


      তাই আমি কাঁদি ফিরি-ভবহাটে গলা ছাড়ি
                  আহরণে সম্পৃতি-
               দিকে দিকে প্রেম প্রীতি
                        বন্ধন.


(আমার লেখা উত্তরে উত্তরে কবিতায় প্রিয়কবি মৌটুসি মিত্র (কতকী) মহাশয়ার আজ কমেন্ট ছিল এইরকম "Just excellent!awesome!Ki kore paren ato!!!Obak hoi bhebe!!Onek subheccha rekhe gelam!" আর আমার উত্তর হোল)


                    কবিতার পাঁক প্রনালী


         ঐ তো মজা তিলের খাজা-চিন্তাগুলি একটু ভাজা-
                   বুদ্ধিজিরা ফোঁরন দিয়ে-


       দুচার পাঁকে তাল মাখিয়ে-হল্লাবোলে সেই ঝাপিয়ে-
                 জয় মা কালি নামটি নিয়ে-
                  আগরবাতি ধুপ জ্বালিয়ে-


        কলম দিয়ে দুচার ঘষা-হালকা আঁচে কষা কষা.
                  লঙ্কা হলুদ আদা বাটা-
                  ধৈনাপাতা দিয়ে ঘাটা-


    তার পরেতে হালকা আঁচে-মিনিট দশেক সেই আঁচিয়ে-
                  হালকা গরম ফোরন দিয়ে-
                  হৃদমাঝারে একটু মোচর-
                     ঘ্যাচ ঘ্যাচা ঘ্যাচ-
                       পেনের আঁচর-


            পেন নাই তো মাউস দিয়ে তাই-
               কি বোর্ডে হালকা আঁচাই-


    চোখটি মিলে সামনে স্কিনে-বানান সতীন ভাবনা মনে-
                জয় দুর্গা নামটি নিলেই-
                   হল্লা বলে কবিতা।


(উত্তরে উত্তরে কবিতাতে নাম ভুল করে যাদব চৌধুরির জায়গায় লিখে ফেলেছিলাম যোগেশ চৌধুরি। আমাদের মিলিটারি ভাই প্রিয়কবি অনিমেষ দন্ডপাঠ মহাশয় সেই ভুলটা আমায় ধরিয়ে দেয়। তার উত্তরে আজ লেখা)


                      এলঝাইমার্স


   ঠিক আছে ঠিক দিচ্ছি করে-ভুল কেন হয় বারে বারে-
              ভাবছি অনেক বয়স হলো-
              মন কি তাই এলোমেলো-


  কি যেন ভাই রোগটা ওই-এলঝাইমার্স-তাই তো কই-
             লাগলো নাকি হাওয়া তারি-
                ধরবো নাকি ডাক্তারি-


    শুধাই ভায়া-বলবে নাকি-নাকি শুধুই দেবে ফাঁকি-
             যেই কথাটা মনে আঁকি-
             লেখার সময় আঁকিবুকি-


  যাদব কেন যোগেস হোল-ভাবনাগুলি এলোমেলো-
            এই গরমে কাঁঠাল পাকা-
            তাই কি ভাই হোল বাঁকা-


   উচ্ছে বেগুন পট্ল মুলো-এই গরমে ভুলোভুলো-
       তাই কি ভাই-নয় তো যাই-ডাক্তারিতে-
          ডাকঘরের ওই পাশ গলিতে-


             দুচার ছেঁকা কারেন্ট দিয়ে-
     মনগোরাতে ভুলভুলিয়ে-মাত্রা সঠিক করি-
              তারপরেতে নাহয় আবার-
               শুদ্ধ হাতে কলম ধরি।


কবি জাহিদুল ইসলাম আমার লেখা বেকার ছেলের চাকরিওয়ালা বউ এর চৌদ্দকাহনে মন্তব্যে এই বলেছিলেন (চাকুরী করা বউএর স্বামীর এই দশা হলে - ঘর জামাইএর কি দশা , একটু বর্ননা করবেন কি ? ) আমাকে সেই পলে লিখতে হোল


                    "ঘরজামাই"


     ঘর জামাই একটু বেশী-সদাই মাথা নত-
              শাশুমার দাস তিনি-
            ওঠাবসা তারি কথামত।


             সব কিছুতেই লঙ্কাবাঁটা-
          কথায় কথায়-খান যে খোঁটা-
               খান্তি কামাই নাই।


            বাজার থেকে বাঁটনা বাঁটা-
                নিত্য কাম তার-
           পান থেকে চুন খসল যদি-
                বাদ নাই প্রহার।


  এই তো সেদিন রানীর মা-সেই কি দিল মার-
           দুই গানেতে টপাস টপাস-
              সেই যে দিল ঝাড়।


     ব্যপার এমন কিছুই নয়-নাইট ক্লাব পার্টি-
            একটু ফোঁষ করেছিল-
               স্ত্রী রানীর প্রতি।


     ক্ষুব্ধ শাস ঘারটা ধরে -দিতই করে বার-
             হাত পা ধরে বেঁচে গেল-
              নাকক্ষত তিন বার।


    আর কি কিছু শুনতে চান-শোনার কিছু বাকি-
             মন ভরলে এবার তালে–
               কলমটাকে রাখি।