প্রিয়কবি খসা হক মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
। চক্ষুফাঁদ
একা বৃদ্ধ হসপিটালে-দেখবার নাহি কেহ-
ক্ষীনকায় শীর্ণ শুস্ক-
দূর্বল নিস্তেজ দেহ।
স্বজনে দেখিবার তরেতে বৃদ্ধ পথপানে রহে চাহি-
দুপুর হতে বিকাল গড়ালো
আঁধার আসিলো ছায়ি।
সজল নয়নে চাহি তারি পানে-স্মরনে আসিল পিতা-
রুধিল শ্বাস আকাশ বাতাস-
কেন কেন বিধাতা?
বিধান কি নাই কিছু তোর-অশক্ত পিতামাতা পরে-
জনমে জনমে বহু ব্যথা জমে-
এ ধরাতে ঘরে ঘরে।
কিছু আহারাদি কিনিয়া দোকানে-বৃদ্ধের সম্মুখে যাই-
অঝোরেতে সে কেঁদে ওঠে-
প্রকাশের ভাষা নাই।
সেই রাতে হল গত হল-বৃদ্ধের দুখী প্রান-
ঘটা সমারোহ সকলে দেখিনু-
হাজির সবে আপনো জন।
কেই ছলো ছলো-কেউ চিৎকার করে কাঁদে-
হায়রে বিধাতা-মন ভুলিলাম-
স্বজনো চক্ষু ফাঁদে।
প্রিয়কবি পি কে বিক্রম মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "অপেক্ষা তোমারি"র উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
নীলাম্বরী
নীলাম্বরী ত্বরা ত্বরা করো-সময় যায় যে বয়ে
নীলাম্বরী ত্বরা করো ত্বরা করো-
নীলাভ অন্তর সাথে লয়ে।
হেথা সাগরের বায়ু চপলামতী-লহরো চমকিত প্রাণ-
সহস্র নাগিনী উঠায়েছে ফনা-
অঙ্গান।
তরিত চকিত বাসনাতে মনো সুধাবারী-
উছলিত নয়নো তপ্ত কায়া-
নীলাম্বরী।
তব আগমনে সুশীতন বায়ু-সুরো তরঙ্গ প্রবাহন-
লহমাতে তপ্ত মেদিনী সুখোধারা-
আহরন।
রসনাতে অমৃত সুধা বরিষনে প্রান-
তপ্ত লহু শুস্ক মরুভুম-
ক্ষনিকেই সুশীতল-ছায়াঘেরা-
অঙ্গন।
রাত নির্ঝুম বিগলিত প্রাণ নীলাম্বরী-
ত্বরা করো ত্বরা করো-সময় যায় যে বয়ে-
নীলাম্বরী ত্বরা করো ত্বরা করো-
এসো নীলাভ অন্তর-
সাথে লয়ে।
প্রিয়কবি সোমালীনিরঝরা(মৃনালিনী) মহাশয়ার "যাত্রাবেলায় প্রেমের খেলা"কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
তবুও
যেতে হবে তবুও-মায়ার বন্দন-
যে কদিন আয়ু-বেঁধে দিল-
ভগবান।
আশ দিল ভাষ দিল-দিল মায়া মোহ-
কামসুধা মন দিল-ভুলিবে কি-
কেহ?
রতিমন প্রান দিল-হৃদে ভালোবাসা দিল-
দ্বেষ বিদ্বেষ-জরামতি তাও দিল-
ব্যথা দেহ প্রাণ ।
যেতে হবে জানি-বিধাতারে মানি-
তার চেয়ে বেশী মানি-
স্ংসার।
গ্লানি নাই গ্লানি নাই-
কহিবার।
যবে প্রাণ বিন্দুতে-মিলে যাবে সিন্ধুতে-
ভবলোক পারাবার-
নব নব অঙ্কুরে-স্মৃতি লবে-
বারেবার।
তারি লাগি প্রাণ হেরি-
আসয়েতে মন মিলি-
দুস্তর দুর্বার।
ধন মান তারি লাগি-সন্মান তারি লাগি-
খুজে করি-দরবার।
প্রিয়কবি গণেশ চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "দুই বাংলা এক" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
কাঁটাতার
এক দেশ এক বুলি একই দেহ আত্মা-
কাঁটাতার বিঁধে বুকে-
মাঝে পরমাত্মা।
পিতামহ পদধুলি সে দেশেতে বুকেতে-
প্রাণ ভাবি ভাল থাক-
সে দেশটা সুখেতে।
চাঁদ তারা দেশে দেখি দুঃখের বারি-
বিষাদের ঘনঘোর কাঁটাতার-
তারি।
শতপ্রান ধেয়ে এল এদেশেতে ঢল-
দেশভাগ সকরুন-
হিংসারি ফল।
ভরাক্ষেত সোনাফল- বসন্ত অহরহ-
নদী খাল সাগরতে-
শান্তির সমারোহ-
সে দেশটা ভরে যাক সোনালী রোদ্দুরে-
দুই প্রাণ ভালবাসা-কাঁটাতার-
থাক দুরে।
আমার লেখা পঞ্চদশে উত্তরে উত্তরে প্রিয়কবি এম এ মতিন মহাশয়ের মন্তব্যের উত্তরে আজ কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
প্রত্যহ ভাবি মনে এ প্রতিভা আমায়- বুঝি ছেড়ে গেল -
ঈশ্বর ধরা সে দান-গহন গহীন শূন্য মাঝে-
যেন বিলীন হল।
আশাহত হই-অশ্রুতে তারি দ্বারে-
ঈশ্বরে মন মিলি-সুতীব্র-
চিৎকারে।
শূন্য এ ধরামাঝে সংসারে মন মেতে-একাকি একেলা-
মোর ছায়ে বেঁচে রয়-
গুটিকয় অবলা।
কাজকাম যদি ভুলি কাব্যেরি ব্যাকারনে-
সে প্রাণ ভেসে যাবে-সে দারুনো-
সমীরনে।
দুস্তর দূর্বার ভবহাট পারাবার-বিষাক্ত নিশ্বাসে-
পলে পলে ভীত রই-নিশান-
হারাবার-
তাই মোরে দিল মতি-লহমাতে ধরি পাখি-
সুখ দুখ ছবি আঁকি-পল লয় গল্প-
সংসারে মন মেতে-
সময়েতে স্বল্প।
তাই সদা ভীত রই-ঈশ্বর মোর সই -ছাড়ে যদি সঙ্গ-
ভাবে ডুবে তারি সনে-
খেলা হবে সাঙ্গ।
এইক্ষ্নে ভাবি মনে-ডুবে যাই পরক্ষনে-
কি ভীষন ফন্দি-
ঈশ্বর আমাতে-এই ধরা-
সন্ধি।