প্রিয়কবি সোমালীনিরঝরা (মৃনালিনী) মহাশয়ার আজ প্রকাশিত অনুভবের ছোঁয়া কবিতার উত্তরে লেখা কবিতা।
। অনুভব
অনুভব অনুভুতি আবেশেই তো-জীবন বহমান-প্রেম প্রীতি-
ভাতৃত্য বন্ধন।
জীবনের গিরিখাত বেয়ে-সুরোগীত সমাহিত-
মন
অনুমনে প্রকাশিত ভাব-
তরঙ্গ তটিনী-
অনুভব।
অশান্ত ঝর্ণার বারিধারা কুন্ডল-
দুখ সমাহিত প্রাণ-
অনুভবে ক্রন্দন।
ধবলীত শ্বেত শুভ্র প্রশান্ত সমীরণ-তরঙ্গে তরঙ্গে-
প্রবাহন-
উচ্ছল সুরোগীতি আহরণ-অনুভবে অনুভবে-
আনন্দম।
বিরহিত প্রান মন উচাটন-বিয়গো স্বজন সমীপে আপন-
সিন্ধুতে প্রানবারি-নয়নো বিগলন-
অনুভবে অনুভবে-
বিলোপন।
অনুভব অনুভুতি আবেশেই তো-জীবন বহমান-প্রেম প্রীতি-
ভাতৃত্য বন্ধন।
জীবনের গিরিখাত বেয়ে-সুরোগীত সমাহিত-
মন
প্রিয়কবি আতাম মিঞ্ আজ প্রকাশিত "কবিবন্ধু" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আকিঞ্চন
মন মনোহর যবে দেবে দেহকে ফাঁকি-
রঙ্গিন অন্তর তুলোমন-
দেহ খাঁচাপাখি-
দীপ্তিরো প্রকাশে আলোকলোকে-
সে মন অন্তর-
রাখি-
সখা প্রিয়জন-নাই নাই নাই গ্লানি নাই-
অহমিকা অহমিকা নাই নাই-
শুচি প্রাণ অন্তর।
এসো গো সখা সুহৃদ বরনো-ঘন ধুসরিত তমস গহনো আভরনো-
ধুলি সে উড়ায়ে-তমস জুড়ায়ে-
দীপ্ত আলয়ে-সুখেরই বলয়ে-জ্বালি বন্ধনো-
প্রীতি প্রদীপখানি-
আলোক হৃদয়ে সুবাসো ছড়ায়ে-প্রীতি সখ্যতা-
গাহি আগমনী।
শঙ্খ নিনাদে ঊলুধ্বনী ররে-সে সুর সুরধ্বনী ছড়াবো ধরাতে-
প্রেম ভালবাসা প্রীতি বন্ধন-
জাগ্রত করিতে-যাব সে দ্বারেতে-সতত যেথা বহে-
ক্রন্দন গীতিরোল.
হিংসা বহ্নিতে কোন্দল প্রানে মেতে-
ব্যথা তোলে অবিরল।
গরলো সে সিন্ধুতে-বিন্দুতে বিন্দুতে-
পেমসুধা বিতরন-
অনুভবে প্রান মিলি-চলো প্রাণ অঞ্জলি-
অশ্রুমোচন।
এসো গো সখা সুহৃদ বরনো-ঘন ধুসরিত তমস গহনো আভরনো-
ধুলি সে উড়ায়ে-তমস জুড়ায়ে-
দীপ্ত আলয়ে-সুখেরই বলয়ে-জ্বালি বন্ধনো-
প্রীতি প্রদীপখানি-
আলোক হৃদয়ে সুবাসো ছড়ায়ে-প্রীতি সখ্যতা-
গাহি আগমনী।
প্রিয়কবি যাদব চৌধুরী মহাশয়ের কবিতা আমতলা কবিতার উত্তরে আজ কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
পণ
হিংসায় প্রাণ নাই-
কলতান ধরে-
তাই-
গাছে গাছে উড়ে যায়-
ফল মধু সোনা-
খায়।
ঝাকে ঝাকে খাকে ভাই-
মারামারি দ্বেশ-
নাই।
আকাশের উঁচুতে-ঘুলঘুলি বাসাতে-
মন সুখ প্রাণ মেতে
নীড় বাধে-
গাছেতে।
ছানাপোনা কল্প-ঠোটে করে স্বল্প-
খাবারের দানাতে-ভালবাসা-
গল্প।
ঠোটে ঢেলে খাবারেতে-
দেখে মন প্রাণ-
মাতে।
সুরোপ্রাণ সকালেতে-
যায় সবে গানে-
মেতে।
সাঁজ বেলা নীড়ে ফেরা-
গোধূলীতে প্রাণ-
মেলা।
ওই প্রাণে দৃষ্টি-
করো সবে-
পুষ্টি।
পাখিপ্রাণ সাদরেতে-
ওইভাবে মিলে-
দিতে।
পণ করো ধরা দিতে-
পাখিপ্রাণ মেনে-
নিতে।
দ্বেষ জ্বালা বিদ্বেষ-
ছুড়ে ফেলে-
প্রানদেশ।
শান্তিতে প্রাণ মিলি
ভালবাসা ঘর-
গড়ি।
প্রিয়কবি সৌরভ পাল মহাশয়ের লেখা অকারনে-০৪ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে আজ লেখা কবিতা।
ভ্রম
ভবহাটে সবই মায়ার ভ্রম-
ভ্রমটাকে ভ্রম করি-
ভাবি পরমো-
আপন।
ভ্রমপিছে কাঁদি ফিরি-বাসনাতে লিপ্ত-
আসয়েতে বিষয়েতে-
মন পরিতৃপ্ত।
সেই ধরা অঞ্জলি-প্রাণপন শত মিলি-
রামধেনু পানে চাই-অবিরত ক্ষুদা-
ভাই-
আকাশের চাঁদটাকে-নিতে চাই ধরে নিতে-
কেঁদে ওঠে ধরনীতে-
নাপাওয়া সে ধন-
ভ্রম-ভ্রম-সারাক্ষণ।
ভ্রমটাকে ভ্রম করি-ভাবি পরমো-
আপন।
সেইদিন বুঝি নাই-শ্বশানেতে গতি নাই-
একরত্তি গল্প-চাঁদ তারা বাড়ি গাড়ি-
যাবেনাকো স্বল্প।
প্রিয়কবি মৌটুসি মিত্র গুহ(কেতকী) মহাশয়ার আজ প্রকাশিত কবিতা "বুঝিনি তো আগে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
উত্তরণ
অন্তরো প্রাণ মন হিল্লোলে-
ধরা দিয়ে যায়-
প্রেম-
শুচি ভাবনায় পলে পলে-
লয়ে লয়ে আদি-
অকৃত্তিম।
মনোকায় বৈশাখী কাল ঝড়ে-
মর্মরে মর্মরে ঝড়া-
পাতা অন্তরে।
কাছে ছিলে বুঝি নাই দুরে গেলে-
প্রাণ ধরা দিল-
প্রেম দীন।
প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বিক্রিত যতো-(ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ফসল
জীবন জরা দুঃখ ভাই-রামধনুতে মন মিলে তাই-
দুঃখ যতেক ব্যার্থ প্রান-
কর্ম যেমন তেমন-
ফল।
জীবন মেলে যৌবনেতে-সোনার ফসল ধানক্ষেতে ওই-
বীজটি রোপন-শুদ্ধমতি-
প্রানধারাতে সবুজ গতি-
নইল ভস্ম-
ছাই।
বীজটি বপন জলটি সেচন-দিনমানেতে নিত্য বেলা-
প্রাণটি ভরে দুঃখ বপন-
করলে বাপু-
অবহেলা।
বলছি বাপু শুদ্ধকায়ে-ইচ্ছেডানায় মনটি মিলো-
যৌবনেতে প্রাণ ক্ষেতেতে-
জীবন প্রিয়-ফসল-
তোল।
আমার লেখা উত্তরে উত্তরে ষষ্টভাগ কবিতায় প্রিয়কবি মৌটুসি মিত্র গুহ (কেতকী) মহাশয়ার কমেন্টের উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা। (উত্তরে উত্তরে রচিত ১০০ তম কবিতা)
জন্ম আমার
জন্ম আমার কবিতায়-ছন্দ আমার বুলি-
ঠাকুর সদা হৃদয় মাঝে-
তার ভাষাতেই বলি।
আকাশ আমায় শক্তি সাহস-বাতাস আমার প্রাণ-
পাহাড় সাগর ঝর্ণা আমায়-
ডাকে অবিরাম।
পাখি আমার কন্ঠে রয়-সুরটি সদাই তোলে-
আপন মাঝে জগত ভুলি-
দুঃখ সুখ ভুলে।
ভাবের হাটি হারিয়ে গিয়ে-স্বপ্নগাঁথা বুনি-
দুচোখ মুদে জোর করেতে-
তাহার সুর ই শুনি-
সেই সুরেতে শব্দ চয়ন-কবিতার ওই শৃঙ্খলে-
তাহার বাণী ই গল্প বোনেন-আমার
নামের আবডালে।
আমায় প্রভু দিলেন কতো-আর্শীবাদের বারি-
রইতে জীবন-প্রভুর সে গান-
ভুলতে যেন নারি।