একাদশে উত্তরে উত্তরে


পিতৃদিবসে প্রিরকবি রীনা বিশ্বাস(হাসি)মহাশয়ার লেখা কবিতা "পিতৃ দিবসে"র কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা


।                       অনুতাপ


           বাবা-আমি এখন তোমার দেশে-
                   ছোট্ট খোকা নই-
              বাবা-সত্য বুঝি ব্যথায় ভাসি-
                   দুখের বারি বই।
           বাবা-দুঃখ শত দিলেম তোমায়-
                   অবুঝ প্রাণের মতি-
             বাবা-পাথর চাপা কষ্টে আমি-
                   আমার প্রানোভাতি।
           বাবা-চরন ছুয়ে চাইবো তোমার-
                    চরণ পাব কোথা-
           বাবা-তাইতো নয়ন ভাষাই জলে-
                   তোমার কতকথা।
           বাবা-জীবন তোমার দেশের তরে
                  পাহাড় বনে জঙ্গলে-
            বাবা-সারা জীবন কাঁটিয়ে দিলে-
                  দেশের সাধন তরে।
            বাবা-তখন ছিলেম-যুবক আমি-
                   ছিল না সংসার-
            বাবা-কেমন করে বুঝবো তখন-
                  তোমার কথার সার।
             বাবা-এখন আমি অনেক বড়-
                   অনেক বড় বাবা-
            বাবা-এখন আমি বুঝতে পারি-
                 তাইতো নয়ন ডোবা-
            বাবা-ভুল করেছি ভুল বুঝেছি-
                  দুঃখ দিলেম কত-
           বাবা-মাফ করে দাও আর্শীবাদে-
                   শ্রদ্ধায় মাথা নত।


প্রিয়কবি  এ এস এম আব্দুল্লাহ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত নারীর শোক গাঁথা কবিতায় উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


                        অবতার


           নারী নির্যাতন-এ প্রবাহমান ধারা-
              পৃথীবির কোনায় কোনায়-
                বয়ে যায় যুগ হতে যুগান্ত-
                    কাল হতে কাল-
                         অনন্ত।


              নারী অবলা নারী শক্তিহীন-
               কালের গহ্বর হতে পতিত-
                       নারী পন্য!


         তাই বন্যেরা আদিম হিংস্র খেলায় মাতে
                    অবিরাম-জঘন্য।


              যুগ হতে যুগ-কাল হতে কাল।


       সৃষ্টিকারিনী নারী দেবী দুর্গা-অসুরনাসিনী ধর রুপ-
            মহীষাসুরগনে রক্ত ত্রিশুলে বিদ্ধ করিতে-
                 চর্ম আবরনো দলিতে মলিতে-
                  মুল উচ্ছেদ করিতে বিনাশ-


         ধমনীতে ধরনীতে-শঙ্খনীনাদে-হানিতে সর্বনাশ-
                         হও অবতার।


প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের লেখা রোজনামচা (ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে লেখা কবিতা


                         রোজনামচা


       কবির কথা পরান ছুঁলো-নয়নতারা ঝাপসা হোল-
             একটু সুখের তর-রোজনামচা ঝরঝাপটা-
                     নাইরে সুখের ঘর।


      সেই সকালে নির্ঘুমেতে-সিক্ত ঘামে দম দুমেতে-
          রাস্তা দিল পাড়ি-বাসের চালক বেচাল বড়-
                      বড্ড বাড়াবাড়ি।


          অর্থ কামাই অর্ধ কামাই-জি ডি পি রই গল্প-
                ছল চাতুরি জীবন মাঝে-
                   নাইকো কোন অন্ত।


        ফেরার বেলায় বিকাল বেলায়-সুর্য ডোবার ক্ষণে-
                  মর্মরে প্রাণ রাস্তাডোবায়-
                      প্রমাদ প্রাণে গোনে।


          এই যদি হয় রোজনামচা-দেশের লোকের আম-
                  খুব দেরী নেই-প্রমাদ গোনো-
                        সরকার শয়তান।


প্রিয়কবি খসা হক মহাশয়ের আজ লেখা কবিতা"জীবন এক শ্রাবন মাস" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


                           আগমনী


             শ্রাবনের বারিধারা-উল্লাসে মন মেতে-
                     ঘন মেঘ ঘন মেঘ-
                       কৃষকের হাসি-
                          ফোটে-


              অন্তর বন্যা বাদলের চোখেতে-
                 মুক্তার বারি ঝরে-ধানক্ষেতে-
                        ধানক্ষেতে।


          আগমনী পরশেতে মন ভাসে আবেগেতে-
                    যেন গতি প্রাণ পায়-
                      মেঘোলোকে যায়
                          ভেসে-


           আলোছায়ে বন্যাতে-মন মাতে মন মাতে।


           লুকুচুরি আলোছায়া করে যেন মন চুরি-
                 মুক্তার বরিষণে-মাঝে মাঝে-
                          শীলাগুড়ি।


         মেঘোলোকে কালোক্ষেতে রবিআলো ঝিলিকেতে-
                দীপ্তির প্রকাশেতে-উল্লাসে মন মাতে-
                         আগমণী গান।


           জীবনেতে সঙ্গীতে বহু কালো ধেয়ে আসে-
               অশনীতে সঙ্কেতে-সুখ দুখ আলো মেতে-
                       সেই ভরা শ্রাবনেতে-
                      বাতায়নে আলো ভাসে-
                          গতিময় প্রাণ।


               শ্রাবনের ধারা সনে-বসন্ত সুখোগানে-
                             আগমন।


প্রিয়কবি রিঙ্কু রায়ের আজ লেখা "ইষ্টদেবতা " কবিতায় উত্তর দিতে গিয়ে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


                          প্রার্থনা


          জয় দুর্গা মা দুর্গতিনাশিনী-অধমেতে দেহ দয়া-
                দিকে দিকে অসুরেরা মর্ত্যে-
                    করিতেছে খেলা।


            বাসে খেলে ট্রামে-ট্রেনগাড়িতেও-
                 নাশিতে সে অসুরেতে-
                   পারিছে না কেহ।


           শত শত নির্ভয়া-দুঃখেতে ফেলে শ্বাস
                 জয় মা দুর্গা-হেন
                     অভিশাপ-


        অশ্রুমোচনে কাল পরাজিত-দুহাত জুরি মা-
               তব মহিমাতে কর-
                     বিদুরিত।