প্রিয়কবি Dr Pritish Chowdhury মহাশয়ের আজ প্রকাশিত পিতৃ দিবসে অনুভব কবিতায় উত্তর দিতে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
। বৃক্ষ
মাতা জননী মমতার বানী পিতা কর্কশো রুক্ষ-
কখনোকি রেখেছো চোখ সে আলিন্দ-
সে কক্ষ।
ফুল সুবাসিত দৃষ্টিনন্দন-মধুরিমা ছড়ায় দিকে দিকে-
কন্টকময় বৃক্ষরাজী সদা সৈনীকসম দৃষ্টি-
তারি দিকে-
মুল আহোরিতে জল-কঠিনো রুক্ষ সে ভুমি-
সজল নয়নে দেখেছো কি-
কখনো তাহারে-
তুমি-
পাতারো সবুজে আলোজল মিশে-খাদ্য প্রানেরো ইন্ধন-
দেখেছো কি সে ভীষন দাবদাহে-
বেঁধেছো কি অন্তরো-
বন্ধন-
কর্কশ কন্টকময় বৃক্ষরাজীরো দেহ-
ফুল কি কখনো ভাবিয়াছে মনে-
সে বৃক্ষ ভক্তিরো ভুম-
পরমো আপনো।
উত্তরে উত্তরে(দশম) ভাগে কমেন্টের উত্তর দিতে দিতে লেখা। বেশ কয়েকজন কবির কমেন্ট বক্সে একটু একটু করে সৃষ্টি হয়েছে কবিতাটি।
(প্রিয়কবি এ এম মতিন-প্রিয়কবি আতাম মিঞ-প্রিয়কবি গোলাম রহমান-প্রিয়কবি সুবোধ কুমার শীঠ-প্রিয়কবি স্বপন গায়েন(উদয়ন কবি)-প্রিয়কবি ডাঃ প্রীতিশ চৌধুরী-প্রিয়কবি দিব্যেন্দু সরকার-প্রিয়কবি রীনা বিশ্বাস-প্রিয়কবি সুমন ঘোষ মহাশয়)
শ্রদ্ধাঞ্জলী
আপনাদের আর্শীবাদ আনন্দ অশ্রুতে-পলে পলে বর্ষিত-
অনুভবে ঈশ্বরে প্রতি পলে প্রতি ক্ষনে-
হৃদমাঝে বিকশিত-
সেই কঁরি মঞ্জুরি কবিতার অঞ্জলি-সুরোগান প্রেম তুলি-
দিকে দিকে ছুটে যায়-মাধুরিত গীতি হয়-
প্রেমসুধা কাব্য।
কভু বসন্তে মন মিলি-আলোরং ঝিলিমিলি-আলোকেরি বন্যাতে-
আলোসুধা প্রাণ মেতে-সোনাফলা ধানক্ষেতে-
সোনারং গায়ে মেখে-
গল্প।
লাঞ্ছিত গঞ্জিত-শত প্রাণ নীপিরিত-হৃদপ্রাণে ঝড় তোলে-
ক্রোধান্ল বহ্নিতে-লহু ঝরা বাণী লিখে-
কাব্য।
কভু অনন্তে প্রাণ মিলি-ঈশ্বর কথাবুলি-জীবনের ভুলভুলি-
ক্রন্দনে ঝড় তুলি-রং তুলি-
স্বল্প।
কভু বিহঙ্গ মতি প্রাণ-কভু অঙ্গান-সমাজের কোনে কোনে-
ঘূণধরা ক্রন্দনে-তীক্ষ্ণ সে ফলা তুলি-
মসি বাণ রং তুলি-
নিক্ষেপ।
পঙ্কেতে পঙ্কেতে আধুনাতে ধরাতলে-শত শত ফনা তোলে সর্প-
বিষাক্ত সে নিশ্বাসে-গরলেতে গরলেতে-
শতবলি নরনারী-শিশুপ্রাণ আঁখি ভরি-
অশ্রুতে।
মনোবীনা ছুটে যায়-কবিতায় কবিতায়-
মন প্রাণ যায় ভেসে-
অন্তর।
বেদনাতে মন কাঁদে-হৃদমনে ঝড় ওঠে-প্রশ্নেতে প্রশ্নেতে-
কবিতাতে যায় ভেসে-
কুড়ালিতে গোরামিতে-কোপ দিতে গোড়ামুলে-
কবিতার অস্ত্র।
তিক্ষ্ণ সে ফনাবুলি-উড়ে ঘুরে যায় চলি-
দিকে দিকে দিকে দিকে-
হরনেতে বস্ত্র।
নারীপ্রাণ মুক্তিতে-দেবমাতা ভক্তিতে-প্রনামেতে প্রনামেতে-
ভরে প্রাণ অন্তর-
দিবাকরে সাধনাতে-দিবা কিবা প্রাতে রাতে-
নিরন্তর।
জোরকর হাত তুলি-নতমাথা অঞ্জলি-
অধমের।
প্রিয়কবি রীনা বিশ্বাস (হাসি) মহাশয়ার আজ প্রকাশিত কবিতা "ছলনা-হীন মিলন" কবিতার উত্তর দিতে কমেন্ট বক্স লেখা কবিতা
অগ্নিবীণা
যদি হই অগ্নিবীণা ওই রাতেতে-
পারবে কি সই মিলে যেতে-
সেই সুরেতে।
যদি হই চোখের তারা দীপ্ত নয়ন নীল আকাশে-
পারবে কি সই-মনভুলিয়ে-
সেই আকাশে ভেসে-
যেতে-
রুপটি তোমার হৃদয় ভোলায়-মন আকাশের স্বপ্ন দেশে-
পারবে কি সই সেই দেশেতে-
লাল আগুনে মাতিয়ে-
দিতে।
ফাগুন রং এর লাল আগুনে-ওষ্টযুগল পরশমনি-
ওরে ওই-সই রে আমার-
সেই আশাতে দিন যে-
গুনি।
পরশমনির আগুন ছোয়াচ তন ধারা সেই প্রাণ কায়েতে-
নবীন বরন প্রাণ যে আমারে-
চায় যে সদাই হারিয়ে-
যেতে।
যদি হই আগ্নিবীণা ওই রাতেতে-
পারবে কি সই মিলে যেতে -
সেই সুরেতে।
“যে নারীকে তুমি জানতে ভালোবাসতে” কবিতা কবি বিকাশ দাস-কমেন্ট বক্স লেখা কবিতা
ছলনাময়ী
সতত প্রবাহিত ছলনাময়ী নারীত্ব বহমান-
কাঞ্চনোমতি রজত ভানু-
অপনাম-
শোভিত কুন্তল প্রেম সুধা বিমোহন-
অনন্ত দেবদাস প্রান মতিকায়-
আহরন।
দীব্যদুতিকায়া পারিজাত শোভা আকুন্ঠ নন্দন কানন-
রতিময় সদাঘন হিল্লোল-
মৃদু পদস্খলন।
ঘনময় আবেশীত আভোরনো প্রানোকাশ নন্দন-
ঝঙ্কারে বীনা টুটে-বিরোহীত-
বিমোহন।
প্রেমোসাধন ভুমি চারনাতে-
গরলো মন্থিত মনো কায়া-
আবরন।
প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের লেখা তবুও (ব্যঙ্গ)কবিতা উত্তরে লেখা কবিতা।
বিন্যাস।
গেল গেল গেল গেল-রসা ধরাতলে গেল-
ধরাতল রসাতলে-রসায়নে-
বিন্যাস।
একে ধরে ওকে ধরে-বার বারে থাবা মারে-
দুরাচারে হুঙ্কারে-শততল-
বিন্যাস।
ওপরেতে ধরা রাশি-চিকরাশি চিকরাশি-
তারি নিচে তোষামুদি ঘষাঘষি-
পরিনয়।
এঁকেবেঁকে এঁকেবেঁকে-সর্পিল গতিপথে-আমলাতে গামলাতে-
ঘাম ছোটে সামলাতে-
সাধারন।
আম ওই আদমিতে-দুখ সুখ ধরা দিতে-
পালকিতে পালকিতে-
আগমন।
আগমণী গানে মেতে-পাথরেতে পাথরেতে-
উদ্বোধন।
শত ব্যথা দুখ সয়ে-পাথরটা যায় ক্ষয়ে-
অবগমন।
দুখ নাই দুখ নাই-আরো নীচে গতি নাই-
চোলাই এর কারখানা-
মতি প্রাণ বিন্যাস-
প্রনাম।