হঠাৎ একদিন দূর গগন থেকে ভেসে আসল এক শব্দ,
তৈরী হও সবাই! সময় নেই,আমরা এখন ব্যস্ত।
সময়ের আঙিনায় বৃহত উদ্দেশ্য যখন মিলেমিশে একাকার,
যুদ্ধের দামামা বেজে গেছে, এখন শুধুই চারিদিকে হাহাকার।
নানান অস্ত্র, নানান সরঞ্জাম আর নানান আভরণ,
দুই পক্ষের মাঝে যুদ্ধ শুরু, অবশেষে কাওকে তো করতে হবে সমর্পণ।
যুদ্ধে হারার পর একপক্ষকে ছাড়তে হবে জমি,
পরাজিত পক্ষের বীর যোদ্ধারা বীরেত্বর সাথে যুদ্ধ করে প্রাপ্ত হয় যেন বীরগতি ধর্মী।
সম্মানিত সেই যোদ্ধারা যারা লড়াই চালিয়ে গেছে প্রাণপণ,
কালের ইতিহাস পেরিয়ে তাদের যেন করা হবে চিরস্মরণ ।


যুদ্ধ শেষ হবার পালা, দুই পক্ষের মধ্যে হবে কী সন্ধি ?
বীর যোদ্ধারা পরস্পরের মুখোমুখি, পার করতে পারবে কী কালসীমানার গণ্ডী।
যুদ্ধের অন্তিম পরিণতি কী হবে বলতে পারেনা কেউ।
একপক্ষ হারবে, আরেকপক্ষ জিতবে,সবকিছু বিধির বিধানের ঢেউ।
ধরণীর গাত্র রক্তে ধৌত, নিয়েছে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ,
মৃতের আত্মীয়সজনের মতো ধরিত্রীও কাদে, যুদ্ধের প্রকৃত উদ্দেশ্য যেন হয়ে গেছে ম্লান।
কেন এত হিংসা, কেন এত রক্তপাত, যুদ্ধে এত প্রাণ নেওয়া কী আবশ্যক ?
কেন হয় এত মায়ের কোলহারা, কেন পরিবারের লোকেরা হয় সজনহারা, যুদ্ধের প্রকৃত কারণ যেন অনাবশ্যক।
হিংস্র, বর্বর সভ্যতা কখন বুঝবে যখন বিনাদোষে হয় এত আত্মহরণ ;
ভূভাগের পরিধি বাড়ানো কী শেষ কথা, যখন যুদ্ধের কারণ হয়ে দাড়ায় এই অহংকারের লালাস্থলণ।


তারপর হঠাৎ একদিন বেজে উঠল দামামা,
                    তবে এটা যুদ্ধের নয়, স্বজনহারানোদের স্বজনদের চিতার।
বিধির বিধানের ফল এই তো এটা,
              যুদ্ধ তো শুধু একটা কারণ হলো।
হায়রে মানবজাতি! মানব হয়ে মানবের রক্তে হও তোমরা খুশী;
সভ্যতার গতির ধারা যত এগোচ্ছে তত ক্রুরতার শেষ সীমানায় পৌছে গেছি, মোরা বহুরূপী।
যুদ্ধ করে আমরা কী পাই যখন এটার অন্তিম পরিণতি হয় অর্থহীন ক্রন্দন,
লোভের বশবর্তী হয়ে আমরা করি যে কাজ এটার কাজ শুধুই হরণ।
উন্নত মস্তিস্ক, সভ্য জগতের বাসিন্দা হয়েও আমরা কীভাবে করি এই কাজ?
বিবেক কেন উতলা হয়না যখন আমরা দেখি আমাদেরই ভাইদের লাশ।
ভাবের সাগরে তলিয়ে গেছে আমাদের আত্মীয়ের বন্ধন,
যুদ্ধই কী শেষ কথা যখন আমরা করি মৃত্যুকে আলিঙ্গন ?