হঠাট দেখতে পাই পিওন কাকুর ডাকা সেই আশাভরা হাত,
আমি যেন আজ খুব উৎফুল্ল, হয়তো এসে গেছে তোমার ডাক।
মিলনের আকাঙ্ক্ষায় কতদিন যে আমি করেছি তীব্র আর্তনাদ,
জানলা দিয়ে আসা ভোরের ঝাপসা আলোয় তুমি সৃষ্টি করেছ মিলনহীন ফাদ।
আশার আলোয় ব্যাঘাত ঘটেনি মোদের মিলনের প্রাণ ,
দূরত্বর আঙিনায় খামতি হয়নি মোদের হারিয়ে যাওয়া সেই স্তবগান।
হয়ত আর কোনোদিন দেখা হবে না,
তাই তোমার প্রহরে গুনছি দিন;
পূর্ণিমার চাঁদেও আছে কলঙ্ক,
যা তোমার অপেক্ষায় লাগছে ক্ষীণ।
বিরহের বাশি যেন ছড়িয়েছে চাদর,তোমাতে আর আমাতে লীন
সময়ের দাম না চোকানোর মাশুল গুনছি এখন,
আমার উপর রয়েছে তোমার ঋণ ।


তোমার কেশের ঝাপটা যেন গঙ্গা পদ্মার দুই রূপ
সাচির মতো হয়ে গিয়েছে মোদের সম্পর্ক,
এখন পরে রয়েছে শুধুই স্তূপ।
বিরহের বন্যায় কাতর মোর প্রাণ,
ভূলে গেছি তোমার চিরাচরিত স্বভাব
বাস্তবের মাটিতে পা দিয়েছি, তাই বুঝছি তোমার অভাব ।
অন্তরের বাসনা ছিল যে তোমাকে পাব আবার প্রাণভরে
কিন্তু অন্তরালের ধাধায় ধুলিস্যাত মোদের মুহুর্ত,
পাবো কী তোমায় রাস উৎসবে ?
তোমার চোখ দুটি ছিল কালো মেঘের গোলকধাধা ,
যেন স্বপ্নতে ভেজাতো মোর বক্ষ
কিন্তু বাস্তবে আসা সেই চিঠি করে দিয়েছে মোদের,
সোনার সংসারকে দুই পক্ষ ।
বিরোধের আভাস কানে আসছে, তুমি সত্যি কী আমার ছিলে ?
তোমার চিঠির লেখাতে কর্ণপাত করি,
তুমি কী সত্যি আমাকে গিয়েছ ভূলে ?


মিথ্যের আশ্রয় নেইনা আমি, এখন পরে রয়েছি দোটানায়,
আমি আর তুমি যেন নদীর দুইদিকে রয়েছি মোহনায়।
তুমি যেন লাবণ্যময়ী, যৌবনের প্রারম্ভে আমাকে,
গ্রাস করেছিলে একরাশি
এখন শুধু তোমার চাওয়ায় সদরে বসে রয়েছি চুপিচুপি ।
স্বপ্নর দূত হয়ে এসেছিল চিঠি,
বুঝেছিলাম মোদের হবে পুনরায় মিলন
তোমার লেখার ক্রূরতা ছিল এমন যেন হোচোট খেয়ে,
ভেঙে গেল মোর মন।
শুধুমাত্র একটা চিঠি কী করে দিতে পারে মোদের পর ?
ইতিহাসের পাতায় স্বাক্ষ হয়ে আছে মোদের মিলন জন্মজন্মান্তর।
হয়তো একদিন সময় আসবে যেদিন তুমি বুঝবে, তোমার ভূল ,
সেই আশা নিয়ে প্রতীক্ষায় রয়েছি,
কবে যেন বাড়িতে পরবে তোমার ধূল ।