এক যে ছিল অচিন পাখি ,আসত সুদূর গগন থেকে
করত ডাকাডাকি আমার শৈশবের সময় মেপে ।
ছিল তার তীক্ষ চোখ, বড়ো বড়ো ডানা
সুতীব্র গতিতে শিকার করে হানত আঘাত টানা ।
সে ছিল একা, ছিল না তার কোনো সঙ্গী ,
নিত্যদিনের খাবারের খোজে সে উড়ে যেত দূর গগনচুম্বি ।
ছিল তার অসীম সাহস, একা একা লড়াই করার ক্ষমতা
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে তার জীবনে এখন এসে গেছে জড়তা
ক্ষুদ্র হোক কিংবা বড়ো সব শিকারকে করত সে ধাওয়া
আমার অতীতের স্মৃতিগুলিকে রোমাঞ্চকর করেছে তার হতে অনেক পাওয়া ।


জীবনের বাজি সে জিতে গিয়ে আজ সে একা
ওর অভাবে আজ নীল আকাশটা লাগছে যেন ফাকা ।
সকাল,দুপুর হোক কিংবা বিকাল,সে বসত এক বৃহত্ জাম গাছের ডালে ,
অসংখ্য বাধাবিপত্তি পেরিয়ে সে চলত নিজের তালে তালে ।
নিজের উড়ার ছন্দের দ্বারা সে জায়গা করে নিয়েছিল
আমার গোপন মনের কোঠরে
আজ সে দূরপ্রান্তে, তাই কাকে আদর করে ডাকব প্রাণভরে ।
যৌবনের জৌলুস পেরিয়ে আজ সে বৃদ্ধ জড়তার মুখে
শিকারকে সে শিকার করে নিয়ে যেত নিজের গোপন পথে ।
ছিল তার তীব্র আওয়াজ ভেসে আসত দূর দূরান্ত থেকে ,
আমার শৈশবের সঙ্গী ছিল যে থাকবে কী সর্বদা মোর সাথে ?


গাছ, জলাজঙ্গল সাফ,তাই আজ সে অজানা
জনবসতির দাপটে তাই আজকে তার নেই কোনো ঠিকানা ।
খাবারের অভাবে ধুকছে প্রাণ টিকবে কী শেষ পর্যন্ত ?
প্রকৃতির ক্ষমতা কী অপরাপর তাই আজ সে ঘুমন্ত ।
হেথায়-ওথায় কোনখানে এখন নেই তার বাসভূমি
জনবসতির অঢেল স্রোতে টিকবেনা তার কোন জমি ।
জড়তার শুষ্কতায় টিকে রয়েছে আজ তার ক্ষীন প্রাণ
এককালে সে কী ছিল আর এখন কী আছে !
সে কী ফিরে পাবে তার হারানো সম্মান ?
নেই যে তার কোনো ঠিকানা তাই আমি আজ,
অতীতের মুহুর্তগুলি জোগার করি
অনাবশ্যক কোনকিছু অপেক্ষা করে আছে তার জন্য,
সে কী এখন তৈরী ?