হায়! কেমন আছো তুমি?
কেমন আছে কলাগাছ গুলো?
ভালো আছে তো ফুল পাখি তরুলতা সব?
খুব জানতে ইচ্ছে করে আজ,
খুব জানতে ইচ্ছে করে।


আজো কি সর্বনাশা পদ্মার খণ্ডাংশের হাওয়ায়
তোমার এলো চুলে দোলা দিয়ে যায়?
আজো কি তোমার কাছে কোকিল আসে?
আসে কি পানকৌড়ি?
ডাহুক কি আজো রাত জেগে কেঁদে কেঁদে রক্ত চক্ষু করে?


জসীম আসে নদীর ঘাটে, তাই না!
তুমি কি চেয়ে থাকো চুল গুলো দখিণা হাওয়ায় ঊড়িয়ে দিয়ে আগের মত?


জানো, বন্দি জীবনের এই গণ্ডিটা পেড়িয়ে আজ বড় স্বাদ জাগে,
চলে আসি তোমার কাছে।
ইচ্ছে হয়, আগের মতো কলেজের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে
গ্যাণ্ডারি ক্ষেতের পাশ দিয়ে নদীতে ইচ্ছা মত ডুবাই।
আর তুমি চেয়ে থাকো, মুসকি মুসকি হাসো।


জানি তুমি ভুলে গেছো,
আর ভুলবেই না কেনো,
আমি তো মিত্রসেন পট্টির স্থায়ী কেউ নই।
অস্থায়ী এক যাযাবর কে কি তুমি ভালবাসতে পারো?
কোনোদিনই না।


স্থায়ী বলে তুমি ভালবাসো জসীম, আনিস, মিযান কে।
কিন্তু মনে রেখো হে মিত্রসেন পট্টির সুন্দরি,
ওরা তোমায় ভালবাসে না।


রচনাকাল :-
১২ নভেম্বর ২০১৬ খ্রী.
তালুকদার বাড়ি, রাজগঞ্চ।


প্রকাশ :-
১৫ নভেম্বর ২০১৬ খ্রী.
দৈনিক আমাদের নাঙ্গলকোট