সেহরির ডাক পড়ে বাজে ডামাডোল,
ধুমধাম খেয়ে নিতে উঠে শোরগোল।
প্রতিবেশী ডেকে তুলে এঁকে মায়াটান,
সেইসাথে সাধনায় হয় পূণ্যবান।


শেষ রাতে মন থাকে রাঁধুনির কাছে,
সেহরির উৎসবে আনন্দও আছে।
রমজানে নিশি রাতে ঘুম ছাড়া জাগি,
সেইসাথে হতে পারি ছওয়াবের ভাগী।


কাছাকাছি আনা হয় রাঁধুনির হাঁড়ি,
সারি বেঁধে বসে যাই নেই কাড়াকাড়ি।
কিছুক্ষণ রাখা হয় ডাকনাটা খোলা,
পেট ভরে খেয়ে নিতে মনে লাগে দোলা।


প্রীতিময় সব বোধ বিজড়িত হয়,
রমজানে মনে ঢুকে বিধাতার ভয়।
পাড়া ঘরে যারা আছে হয় একাকার,
ভালো কাজে দলবেঁধে সবাই সবার।


নিশি রাতে জেগে উঠে খাবারের ঘর,
খেয়ে উঠে শেষ হয় মুমিনের তর।
বড়দের পাশাপাশি ছোট ভাইবোন,
এটা কোন ভুল নয় সিয়ামের গুণ।


পরিবারে ছোট-বড় কেউ নেই চুপ,
সেহরিটা যেন নেয় উৎসবে রূপ।
খানাদানা শেষ করে ছাড়ে বাড়িঘর,
মসজিদ ভরে উঠে সেহরির পর।