স্কুল যখন ছুটি হতো, যেতাম মামার বাড়ি,
সকাল বিকাল মামার বাড়ি, করতাম দৌড়াদৌড়ি।
মায়ের বাড়ি মামার বাড়ি, গ্রামে অনেক মামা,
গাঁয়ের হাঁটে মামা কিনতো, আমার নতুন জামা।
মামী দিত দুধ ভাত, মামায় আনতো মিষ্টি,
পুকুর জলে সাঁতার কাটতাম, যখন নামতো বৃষ্টি।


গাছে গাছে পাকা ফল, ঘুরে ঘুরে পেড়ে,
পেট ভরে খেয়ে নিতাম, কেউ আসতো না তেড়ে।
অন্য বাড়ির ফলও খেতাম, যেতাম মামার জোরে,
মামার গাঁয়ের সবাই মামা, সরাতো না দূরে ।
আম জাম কাঁঠাল লিচু, কত গাছে উঠি?
নিজের বাড়ি ভুলে ভাবতাম, এটাই আমার ঘাঁটি।


বিলের জলে জালে মাছ, মামায় টেনে তুলে,
মামা অনেক খুশি হতো, সাথে আমি গেলে ।
আমি যখন মামার সাথে, গ্রামের খেলাধুলায়,
বিস্কুট চকলেট কিনে দিত, সেদিন বিকেল বেলায়।
আমি মামার প্রতি কাজে, প্রতিদিনের সাথী,
মামায় নিত বাজারের ব্যাগ, আমি নিতাম ছাতি।


আজ কালের ছেলে মেয়ে, মামার কথায় চলে না,
মামার বাড়ি মধুর হাড়ি, এ কথা আর বলে না ।
কখন যাবে মামার বাড়ি, সময় তাহার কোথায় ?
স্কুলের পর কোচিং করে, সময় চলে যায় ।
পড়া-শোনায় ব্যস্ত থাকে, ফুসরত কোথায় পায়?
জীবন তাহার বন্দী খাঁচা পড়া-শোনায় যায় ।