একজন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞানী
সহোযোগী অধ্যাপক কে বলছি –
তুমি কি কখনো দেখেছ মাচাঙগে কুমরো ফুল ,
হেঁটেছ কি মেঠোপথে পায় মাড়িয়ে
ঘাস লতা গুল্ম, দেখনি যে পথে নিরন্তর
মানুষ করে আসা যাওয়া সেখানে
দুর্বা জন্মায় না লতা ডালপালা মুখ
ফিরায়ে নেয় অন্য দিকে ; অথবা
লাউয়ের নরম লতার ডগার
পাশ দিয়ে কিছু দিন করো আসা যাওয়া
দেখবে লতারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে
তোমা থেকে ভিন্ন দিকে ।
কিছুদিন একটানা প্রসাব করো
একই জায়গায় – দেখবে সেখানে
ঘাসেরা হলদে হয়ে মরে গেছে ।
গবেষনাপত্র গুটিয়ে রেখে বনের ভিতর
হাঁট ইটের ভাটার কাছে
খোলা চোখে দেখ বৃক্ষের চেহারা
তাহলে বাস্তব জ্ঞান লাভ করবে ;
কেতাবী জ্ঞান দিয়ে কী শেখাবে ?
তুমি কি দেখনি তেলের জাহাজ
ডুবে সুন্দরবনের নদীপথে
কী বিপর্যয় ঘটেছিল সেখানে ;
এইতো সেদিন সার কারখানার
তরল এমোনিয়ার ট্যাংক বিস্ফোরণে
কি বিপর্যয় ঘটেছে জানো নাকি তা ?
তুমি মহা পন্ডিত বন ও পরিবেশ বিজ্ঞানী
বাহাবা দিতে হয় !
তোমার পাশে দাঁড়ানো ক্ষুদে প্রকৌশলী
তার কাছ থেকে শিখে নাও
পোড়ালে বৃক্ষের ফসিল কি কি
ঘটতে পারে তার বিবরনী ।
বর্ণান্ধ ষাঁড়ের মত কেবল বল না –
সুন্দরবন বাঁচাও বলে যারা চিৎকার করে
তারা বিশেষ কোনো মহলের দালাল ।
হে আধা অধ্যাপক , প্রতিষ্ঠা করো
রামপাল দেখবে তোমরা একদিন
হয়ে গেছ বাংলার রামছাগল !