গুনাই বিবির সাথে দেখা প্রথম রোজার আগের রাতে;
তাকে বললাম আমাকে ছেড়ে চলে যাও কাল রোজা।
‘হি হি করে বেহায়ার মত বল্ল-
তোমাকে ছেড়ে যেতে আসিনি
যতক্ষণ না আমার আশ মিটে;
ওঝা-বদ্যি তুকতাক ঝাড়ফুঁক
ও সব ঝুঁট ঝামেলায় যেও না’!
গুনাই বিবির উদ্দাম আদর সোহাগে
আমার শরীরের উষ্ণতা বেড়ে যাচ্ছে!
কোবরেজ মশায় বল্লেন-
‘কি আর করবে, উনি যখন ছাড়বেন না
প্যারাসিটামল গিলো এ ছাড়া ভিন্ন গতি নাই’!
উত্তাপ বেড়েই যাচ্ছে, মাথায় জল ঢালা
ভেজা তোয়ালে দিয়ে শরীর মোছা;
বিবির খায়েশ মিটে না বরং বাড়ছেই!
শরীরের হাড়গোড় কটকট করে
হাঁটু ভেঙ্গে বসতে পারি না
আবার বসলে উঠতে পারি না
কি আর করা অগত্যা পেইন কিলার,
ক্যালসিয়াম বড়ি গেলা!
গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে,
গ্লাসে গ্লাসে লেবুর শরবত
আম, লিচু, আনারস রসালো সব ফল গিলছি!
বিবি এখন চরমে
চুমুর দাপটে জিহ্বার ছাল গেলো
দাতের গোড়া ফুলে উঠলো!
গুনাই বিবিকে বললাম-
‘এবার আমায় ছেড়ে দাও!
ফিস ফিস করে সে বলে এতো
তাড়াতাড়ি তোমাকে ছাড়া যাবে না’!
অনেক দাওয়াইর পরে তাপ কমলেও
হাড়গোড় মাংস পেশীর ব্যথা থেকেই গেল!
দাঁড়ালে মাথা ভনভন করে ঘুরে!
১৫ দিন পার হয়ে গেছে
গুনাই বিবির অত্যাচারের রেশ কাটেনি!
আহারে! কী ঝাঁজালো মধুর আদর সোহাগ!!


( বিঃ দ্রঃ চিকন গুণিয়া একপ্রকার ভাইরাস জ্বর যাকে আমি বলছি গুনাই বিবি )