বর্ণচোরা রক্তচোষা গিরগিটি রক্ত চুষে চুষে
হয়ে গেছে এখন দানব সরীসৃপ,
কুমিরের মত আস্ত গিলে খাচ্ছে
শ্রমিকের পুরোটা শরীর!


শ্রম বাজার ওদের পেটের ভেতর
ঠুঁটোজগন্নাথ দপ্তর আছে বটে
তারাও গিলছে অংশীদার হয়ে;
শ্রমিকের মুক্তির পথ কোথায়?


ফুলিরা গরম খুন্তির ছেঁকা খায়
বাসি-পচা-ফেলনা আহার খায়;
শৌচাগারে তালাবদ্ধ, ফোঁসকা শরীরে
যন্ত্রনায় কাতরায়; মৃত্যুই তাদের মুক্তি দেয়!
বস্তাপচা মানবতার বুলি কপচায়
বিদেশী পয়সায় রাজপথে প্লাকার্ড হাঁটে!


অনাদিকাল থেকে এভাবেই
শোষণের যাতাকলে পিষ্টিত
অসহায় সাধারণ শ্রমিকেরা
রক্ত ঝরিয়ে নিশ্চুপে করে যায়
জীবন উৎসর্গ মালিকের তরে!
খোদার আরশ কাঁপে না কী একবারও!