প্রিয়তমা, আমি লিখব
শুধু তোমার জন্য লিখব,
অনন্তকাল ধরে লিখব;
আমার বুকের সবটুকু উষ্ণতা দিয়ে
রক্ত-আখরে লিখব অবিরত
একটা কবিতা!
তুমি শুধু বলে দাও-
সে কবিতার কি রঙ হবে?
সে কবিতার কি সুর হবে?
মরা করুণ শঙ্খের মতন
অরব শব্দাবলীতে ভরা আমার এ বুক,
তুমি যে সুরে বাজাতে চাও-
তেমনি সুর লহরী বেড়িয়ে আসবে
আমার বুকের গভীর গভীরতর থেকে!
মৌন উচ্ছ্বাসে ভরা সাগরের মত আমার এ বুক,
তুমি যদি আনন্দ উচ্ছ্বাস চাও-
ছোট্ট ছোট্ট তরঙ্গমেলা
উচ্ছ্বাসের সফেদ ফেনা নিয়ে
লুটাবে তোমার বুকে!
গিরিহিমানীর জমাট বাঁধা আমার এই বুক,
তুমি যদি চাও রুদ্র খরায় ভেঙে দিতে-
আমার এ অবরুদ্ধ চোখে
নির্ঝরের মতন ঝরবে অবিরাম
উষ্ণ প্রস্রবণ!


আমি লিখব শুধু তোমার জন্য লিখব
অনন্তকাল ধরে লিখব
বুকের সমস্ত রক্ত কনিকা
শব্দে শব্দে সাজিয়ে লিখব
একটা কবিতা!
তুমি যদি চাও কবিতার বুকে রক্তক্ষরণ-
শাওণ বাদলের মতন ঝরবে বিরামহীন
কবিতার বুক থেকে
কষ্টের দানা বাঁধা নীল রক্ত!
তুমি যদি চাও
ফাগুনের রক্তিম ভোরের উচ্ছ্বাস-
কবিতার বুক থেকে হবে
উৎসারিত রঙিন ফোয়ারার মত
আনন্দ উল্লাস!


আমি লিখব অনন্তকাল
শুধুই তোমার জন্য
একটা কবিতা
হে! আমার প্রিয়তমা!