আতপ্ত শরীর ভাসাই পুলকে ধীরে বহা
স্রোতস্বিনীর বুকের’পরে; ভেসেই চলেছি হর্ষে
তার পর কোনো এক তীর বেয়ে পৌঁছে যাই
অচেনা অজানা কোনো এক লোকালয়!


কে যেন শুধালো- ‘তুমি কে হে বাপু’?
বলিলাম – জানিনাতো!
‘কোথা হতে এসেছগো তুমি’?
বলিলাম- গহীন অরণ্য হ’তে!


অবাক নয়নে তাকালো উহারা;
কহিল তাহারা-‘তোমাকে তুমি জানোনা
বেশ চমৎকার, বেশ চমৎকার’!
হাসিয়া হাসিয়া কহিল তাহারা-
‘তুমিতো দু’পেয়ে এক জীব, আমাদের জ্ঞাতি;
আমাদেরই মতন মনুষ্য প্রজাতি’!


বিস্ময়ের ঘোরে তাকালাম, দেখিলাম
উহাদের বেশ ভালো করে;
ছুঁয়ে দেখলাম-
কাহারোবা মসৃন চামড়া, কাহারোবা খসখসে;
কাহারোবা শ্বেত বর্ণ, কাহারোবা কৃষ্ণ বর্ণ;
বিবিধ বিচিত্র গড়ন গঠন চলন বলন!


সব বিমূঢ়তা কেটে গেল চুপিসারি,
আমিও যে একদা হয়ে গেলাম উহাদেরই;
মিশিয়া গেলাম মানুষের জটলায়!
গতরের মোটা চামড়ায় কাতুকুতু খেলে যায়,
করোটির ভেতর-এ চিনচিনে ব্যথা অনুভূত হয়,
চোখের পাতারা একবার নেচে ওঠে একবার বুজে আসে
মনে হয়- আমি যেন বা কাহারো নই
ক্যাবলই আমারই আমি!


                    
                       চলবে...