মৃত্তিকার গাছে ফুটেছিল দুটি  খয়েরি কুসুম
তার দিকে বিষবাহী পতঙ্গরা রাখে আড়দৃষ্টি,
এ পতঙ্গ লিপ্সাচোখা মৃত্যুভুক তামস-নির্ঘুম,
মৃত্তিকার সে খয়েরি রঙে পতঙ্গের অনাসৃষ্টি।
ওই কুসুম মাঝারে থাকা শাদা মধু প্রাণময়-
প্রাণের উৎসের প্রতি  নিম্নদৃষ্টি, সে তো প্রাণক্ষয়।


সৃষ্টির শুরুটা জলে হয়েছিল বলে মনে হয়,
ব্রহ্মপুত্র নদে এক ঘোলা জল আছে কিনা ওটা;
আজ সে নদের জলে ভাঁটা ধরানোর বোধোদয়!
আহা,  এ কি নয় মহামৃত্যুপানে স্ব'কে নিয়ে ছোটা!
জগতে আঁধার এলে ধরণিটা আলোক হারায়
সাদাবিষা পতঙ্গরা জেগে রয়; প্রাণ যায় যায়!