ঈশ্বর, তোমার বিরুদ্ধেও
আমার ঘোর অভিযোগ,
তোমার সৃষ্টিরাই বলে -
সব কারনের কারন তুমিই,
তুমিই সৃষ্টি -তুমিই লয়।তোমারই ইচ্ছেই
জীবনের সুখ, আবার আঁধারেতে
পরাজয়।
তবে কি, তুমিই গড়েছো রাক্ষস?
দিয়েছো কি, লুটেরাকে অধিকার?
এ শ্যামল ধরিত্রি লোভে -লালসায়
করে দিতে ছাড়খার!
ষোড়শী তন্বী বোধহীন বোবাকালা
যে বোঝে না এ ভূবণ
বলো, -তবু কেন তুমি তার
শরীরে সাজিয়ে দাও ভরা যৌবন?
রাক্ষস যখন হয় লুটেরা
সে অবোধ জনেরেও করেনা রেয়াৎ,
খামচে -খুবলে ছিঁড়ে রক্তাক্ত করে  খায়,
সে অবোধ ও পায়না রেহাই
ভয়ে-আতঙ্কে অশ্রু ঝরিয়ে যতই কাঁদে,
যত ধরে তার পায়।
হে ঈশ্বর, স্রষ্টা বিধাতা করি অনুনয় -
মানুষকে  তুমি গড়ো না রাক্ষস  -
যন্ত্রনাদাতা, রাখি প্রার্থনা তোমা সমুখে।
আর, কোনও তন্বীরে করোনা
অন্ধ-অবোধ -বোবাকালা
সে যে যন্ত্রণা, বড় অসহায় হায় হায়।


"সহমর্মিতার সংবেদন "
কাব্য গ্রন্থের জন্য,শ্যামল কুন্ডু, নৈহাটি, উত্তর ২৪ পরগনা,পোস্ট-গরিফা,কে ডি রোড,পশ্চিম বঙ্গ,ভারত , পিন কোড-৭৪৩৪৬৬,
জন্ম-৬/০৮/১৯৫৩, বানিজ্যে স্নাতক ১৯৭৬
লেখার বিষয় -ছোট গল্প,ছোটদের ছড়া,অন্ত্যমিল কবিতা,গদ্য কবিতা,নাটক,আবৃত্তি ভালোবাসি, দূরদর্শনে আবৃত্তির অনুষ্ঠানে যোগদান।
দুটি কবিতার বই, আরও দুটির কাজ চলছে -প্রকাশের পথে,একটি ছোট  গল্প সংকলন আপাতত।