যে কথাটি  তাকে বলা যায় ;
     নিভৃতে নিরালায়
জনহীন ঘরে,  শীতল হাওয়া বহে ,
    মনের মোহনায়।


সেই কথা, কেমনে করিব শুরু  
       বুকে ধুরুধুরু
তার দু'টো চোখ , মায়া ভরা মুখ
সরু নাকের বাসি, হাসি রাশি রাশি  
     যেন প্রকৃতির তরু।


তার পাগল করা হাসি, শুভ্র দাঁতের গড়ন
     বড়ই সর্বনাশী, অকালে মরণ !      
সকালে উঠেছে রবি, উজ্জ্বল সবি
   হৃদয়ে অনুভব করি যেন  
       তার জন্য হলাম কবি।  


আমি লিখেছি তারে,  পুণ্যপুকুর পাড়ে
    শ্রাবণবরিষণে ধুয়ে আহারে !
হয়নি বলা আর, বুকে যন্ত্রণা সার
    বড় ভালোবাসি যে তাহারে ।


মাঘের শীতে কাঁপে, ঘটক বয়স মেপে
    খুঁজে নিলো বর, প্রেমের যে কবর  
          কি করিব হায় !
যাকে বেসেছি ভালো, সে যে আলো
      আজ অন্যের সীমানায়।


দাদি  ক্ষেপে বলে, ওরে হতভাগা  
কেমন নাগর তুই, দিয়ে প্রেমের দাগা
পাখি  যায় উড়ে, বলনা গিয়ে তারে
  হাড়কাঁপানো শীত, গাইবো প্রেমগীত
    তুমি ছাড়া বাঁচা যাবে নারে।


ব্যাকুল মনে আজ, সাহসের তেজ  
বিজুলি চমকে গেলো, দূরে ভয় ক্লেশ।  
বলবো কথা তারে    প্রেমের অভিসারে  
এসো হাত ধরি,  রাখি চিরতরে -
একি পরিণাম ! সাহসের অভাব !
           হয়নি বলা আর,  
   প্রেমের চোখে  জল ঝরে অনিবার।  


রচনাকাল
৬।০৫।২০১৭
ইউ এ ই