ওরে কৈই তোরা উলুধ্বনি কর জামাই এলো গো-ক্ষণ,
ওহে বাজনা বাদক,তোমরা বাজনা বাজাও,মনের সুখে,মেয়ের বিয়ে বলে কথা,
পকেট পুড়িয়ে বকশিস দেবো নে,বাচ্ছা'রা  তোরা আঁতস বাজি ফূটাও,গাঁ ফাঁটিয়ে,
কৈই গো বরণ ঢালা  নিয়ে আসো,সবায় কে শরবত দাও মৃদুল শালাবাবু-
দেখছো না বরযাত্রীদের কেমন গলা শুকিয়ে  কাঠ হয়ে গেছে ,
আশিক তুমি রান্নার কত্দূর এগুলো সে গুলো দ্যাখো,
ওরে কবিবন্ধু বোদরুল আলম ভাই ,শহিদুল ভাই, শ্রীস্বপন দাদা ও দেখছি,
আসুন, আসুন,এসেছেন,ভালোই হলো আমার খুব খুশি  লাগছে ।
কবীর হুমায়ূন স্যার, দেবদা এবং অজিতেশ নাগ দাদা এলেন না বুঝি?
শ্রাবণী সিংহ তুমি দাঁড়িয়ে আছো কেন?তোমার ছোট্ট মিষ্টি পরীকে নিয়ে অন্দরে যাও।
মেয়েটা কে তোমার কবিতার মত নিখুদ করে বউ সাজিয়ে বিয়ের পিড়িতে বসাও।
সৌমিতা,মিতা ,মল্লিকা,সুজাতা, সোমাদ্রী, পিয়ালী কে ফোনে দাওয়াত দিয়েছিলাম,
তাঁরা যে কেন এলো না !!
পরিতোষ বন্ধু তুমি বরযাত্রীদের আপ্যায়নে থাকো,দ্যাখো যেন কোন ক্রুটি না হয়।
প্রনব দা অরুন'দা আপনারা ঐ যে ওখানে চেয়ার খালি আছে সেখান টাই বসুন,
তানজিলা আপু তুমি কোথায় থাকো বলতো ? রুম্পা তোমায় ডাকছে  কখন থেকে!!
সুবীর দা আপনি ও গিয়ে একটু বরযাত্রী দের সাথে আলাপ-সালাপ করুন-
আসরে'র সবায় কে তো নিমন্ত্রণ করলাম, মাত্র আপনারা এলেন!!
অচল পয়সা,দীপঙ্কর,কামরুল-ফারুকি,সাইদুর রহমান,সরকার মুনীর,কবি
মোঃ ইকবাল,ঝরাপাতা,দীপক কুমার আপনারা সবায় এসেছেন দেখে,
বেশ খুশি হলাম ।মৃদুল শালাবাবু-আমায় ডাকছো কেন ?
ওহ বরের বাবা ডাকছে আমায়? আগে বলবে তো !!সরো সরো......
হ্যাঁ বেয়াই মশাই বলুন,আদর সমাদরের কোন ক্রুটি হচ্ছে কোথাও ?
আপনার কোন খাঁস লোক...............।
"গহনা পাঁচ ভরি কম কেন" ? এবং মোটর বাইক কৈই ?
বেয়াই মশাই আমায় দিন কতেক সুযোগ দিন,আমি ঠিকই দিয়ে দিবো।
"আচ্ছা ঠিক আছে বিয়ে টা না হয় দিন কয়েক বাদ-ই হবে চললাম !!
ঐ বর কে উঠে আসতে বল তাড়াতাড়ি"
এমন করবেন না বেয়াই মশাই,দয়া করুন,আপনার দুটি পায়ে পড়ি ক্রন্দন চিত্তে।
বাবা হয়ে মেয়ের এমন নিদারুণ হরিত্‍‌বর্ণ রূপের সর্বনাশ আমি দেখতে পারবো না,
চলে গেলো,চলে গেলো বরযাত্রী এই তোমরা শুন, চলে গেলো বরযাত্রী,একটু বুঝাও ।
একটু বুঝাও
একটু বুঝাও
একটু বুঝাও
অ্যাঁ অ্যাঁ  ............।।


রচনাকাল
০৩।০৫।২০১৪
ইউ এ ই।