আমি জগতের পুরুষ, উর্বর মাটি,
তুমি জগতের নারী ,শস্যক্ষেত্র খাঁটি,
তোমার বুকেতে মাটি মিশে ফোটে
ফুল,সৃষ্টি চির-কল্যাণকর পরিপাটি।।


আমি বুকেতে রাখি বীরত্বের গরিমা,
তুমি নারী ,মমতায় ধৈর্য মূর্তিমতী,
অস্পষ্ট ভাষা বুভুক্ষা মনে রাখো না,
অত্যাচারী জেনেও মান তব পতি।


আমি পুরুষ, সূর্য-বিকিরণ ঘটে অমৃত
স্বাদে, তুমি নারী'র কোমল বক্ষে,
মাঘের প্রভাতে, কুয়াশা কেটে গেলে
সঙ্গমে, মুহূর্তেই আদিম বন্ধন সুখে।


আমি পুরুষ,বুকে অগ্নিবর্ষী গ্রীষ্মের মাঠ,
তুমি নারী'র,বুকে শীতলতার পাটি,
বৈশাখী ঝড়ের মন্থর ঝাপ্টা,ধূসর রঙের
ধুলোয় উষ্ণীষ বিচিত্র ফুলে তাঁতি।


আমি পুরুষ,গায়ে মিশে না ক্ষার কালিমা,
তুমি নারী অল্পতেই কলঙ্কিনী,
মহাসাগরের বুকে শৌর্যে সাহসে বিচরণ
আশ্চর্য নির্বাক পরশ সোহাগী ।


আমি পুরুষ,বড় রোমাঞ্চকর,আকাশ
মেঘে বিদ্যুৎ,তুমি নারী আদর্শ তীক্ষ্ণ,
আত্মবিসর্জনে, কাঁপে ঠোঁটে ঠোঁটে,
শিকলের ঝন্‌ঝন্ অসহায়ত্বে,কভু সিক্ত।


আমি বিশ্বপুরুষ,আলোর অভ্যর্থনা,
তুমি নারী,আলোর মেয়ে,পাঞ্চজন্য ধ্বনি,
কুসুম থেকে ফোটে ফুল,গৌরবস্নানে,
মুখরিত ঐকতান, তুমি সোনার খনি।


রচনাকাল
২৫।০৪।২০১৪
ইউ এ ই ।