চাঁদ  উঠেছে আলো জ্বলেছে ভেন্না পাতার ঘরে,
মাগো আমি  আজ ও ছোট  তোমায় মনে পড়ে।
মিঠা  আলোর  জোছনা রাতে গাইতে কত গান,
হরেক  রকম  গল্প বলে ভাঙ্গাতে আমার মান।


চন্দ্রবিন্দুর  সকল  ভরসা  তোমার আঁচল তলে,
কেন  অসময়ে চলে গেলে আমায় একা ফেলে।
নতুন মায়ের  ঐ  মুখখানি  একটু  তোমার মতন,
তাঁর  মাঝে  তোমায়  খুঁজি ফিরি , অমুল্য রতন।


মাগো  নতুন  মায়ের মনের দরজা খুবই যে নাজুক,
বেজায় রাগে স্বরে ফাটায় যেন আমি কাজের লোক!  
তোমার সাজানো ঘরে রাজত্ব চলে ও মা তাঁর হুকুমে,
বাবা ও  যেন পড়েছেন ফাঁদে  তাঁর ভুলের  ত্বরনে।  


মাগো তুমি কত খাবার দিতে,তৃপ্তি ভরাট হত বক্ষে,
এখন সুস্বাদু  খাবারে চেয়ে থাকি,টগবগ করে চক্ষে।
মাগো দেয় না খেতে,পেট মেপে,অনাহারে কাটে রাত,
ক্লান্ত শরীরে ঘুমের ঘোরে,লাটির আঘাতে শুরু প্রভাত।  
    
মাগো  আর  সয় না প্রাণে ব্যাথা মনে ভাঙা জীবন,
কালো  দাগে পিঠ  ফেটেছে  ঢের কষ্টে  খুঁজি মরন।  
মাগো চোখের কোণে দাগ পড়েছে,কান্নার  মহাপ্লাবন,
মণের যন্ত্রণা কষ্টের ঘরে  চোখে মুখে বেদনার শ্রাবণ।  


মাগো অতি অবুঝ আমি,বুঝ তুমি কেন সে বুঝে না,
তোমার স্থানে রেখেছি তাঁকে ,সে  তো আরেক মা।    
পাঁচ  বচরের শিশু  আমি, বল  কি  করে রাঁধি ভাত,
কথা  ছিলো  বই হাতে  পাঠে যাব, রাঙ্গা প্রভাত।


মাগো  টিকলি পিকলি খেলার ছলে করে বাহানা,
তা দেখে  নতুন মা ক্রোধে আগুন ,ভাঙ্গে আয়না।
যে আয়নায় স্বপ্ন টুটে জীবন বাঁকে ছেঁড়া মোহনায়,
মাগো দেখে যাও আমি আছি কেমন কষ্ট যন্ত্রণায়।


তোমার  মত  হয় না কেনো ঐ  নতুন মায়ের মন,
কষ্টে বক্ষ  ভাসে  দিন রাতে,ক্ষত চোখের অনুরণ।
মাগো  ছেড়া  বসনে তোমার মেয়ে লজ্জায় কাতর,
আমায়  দেখে শোকে কাঁদে যেন ঐ অবুঝ পাথর।  


মাগো তুলে নাও আমায় তুমি ঐ আদরভরা  কোলে,
একবার এসে দাও না দেখা, হউক না খেলার ছলে।
মাগো আমার মত জনম দুঃখী  নেই কেউ সংসারে,
অসময়ে কেন ছেড়ে  গেলে,এই দুঃখিনী অভাগীরে।    


রচনাকাল
০২।০৯।২০১৫  
ইউ এ ই ।