এই মেয়ে একটু এদিকে তাকাও তো !!
তোমার চোখের পাতায় আমি কবিতা রূপে একটা  কাব্য পাহাড় সাজাবো,
হ্যাঁ আরেকটু আলতো,একটু বায়ে,ইশারা আমায় ফেলো,
হ্যাঁ ঠিক আছে,জ্যোতি টা এমন নড়বড় করছে কেন? অপলক তাকাও আমাকে,
তোমার কালো কাজল থেকে দারুণ শব্দ আসছে,উপ!!বেশ বেশ,
সুরমা মাখা আবরণে,প্রজাপতির ডানার মত চিকচিক করছে সাহিত্যের স্বরলিপি,
কালোর কালো এলোকেশী চুলো গুলো উপছে পড়ছে,
আমার কবিতার প্রতিটি লাইনে,
নড়ো না গো সুনয়না,তাহলে কবিতা লেখার ভাব টা যে নড়েচড়ে বসবে,চলে যাবে
তোমার অন্দরের অন্তর্বাসের দিকে,কি ভয় পেলে ?
তোমার অধর খানি বেশ সতেজ লাগছে গো,শব্দেরা দারুণ ভাবে খেলা করছে,
চুষে চুষে মজা নিচ্ছে কঠিন শব্দ গুলো আড়াল থেকে,
ইশ আমি যদি সেই শব্দ হতাম!!মৌমাছির মত কবিতার গায়ের বসন হয়ে,
মজা নিতাম,কি লজ্জা পেলে,ধুর বোকা মেয়ে,লজ্জা কিসের!!
আমি তো তোমার ভরাট বুক থেকে শব্দের কোষ গুলো কে
বের করার চেষ্টাই আছি সাহিত্যে,যে যন্ত্রনায় আজ তুমি অস্থির যৌবনে।
কবিতার মেদ বড্ড বেড়ে যাচ্ছে গো ...
আহা নড়ছো কেন ? শব্দের দোপাট্টা তো ঠিকই ছিলো,
যেখানটাই আছে সেখানেই থাকতে দাও না,
আমি একটু দাঁড়ি,কমা গুলো দেখি মন ভরে,
আহা হাসছো কেন,তোমার হাসির সুবাসে,আমার কবিতার গল্প তখন অনত্র,
মোড় নিবে,তোমার পায়ের গোড়ালির উপরে পরে থাকা নপুরের শব্দে,কলতানে,
সেই কলতানে খুঁজে পাবো কত শত নাম,আচ্ছা তোমার নাম কি দিবো বলতো?
বৈরাগী হলে কেমন হয়? ধুর ছাই!! কি সব বাজে  নাম ?
আচ্ছা  তোমার নাম দিলাম সুনয়না-
এই নাম টা পছন্দ হলো? মুচকোরাচ্ছো কেনো ? কি তোমার আসল নাম-ই সুনয়না-
ওয়াও দেখেছো,তোমার আঁখির পাতায় কাব্যকে কেমন স্থির দাঁড় করিয়েছি আমি।


রচনাকাল
০৯।০৫।২০১৪
ইউ এ ই।