কবি নই আমি , তাই বোঝাতে পারিনা
কবি হতেও চাইনা কোনোদিন;
কেননা সত্যিকার কবিদের বড় দুঃখ,
যে দুঃখে আম গাছ থেকে বকুল ঝরে যায় -
যে দুঃখে বিমূঢ় রাজা আদিম উল্লাসে হঠাৎ দানব হয়ে উঠে
সে দুঃখ আমি চাইব না কোনোদিন;
চাইব না কোনোদিন তেমন কিছু।


আসলে আমিতো কোনোদিন কিছু চাইনি
কারো কাছে বলিনি আমাকে রাজ্যপাট দাও,
কলম দাও, রঙ তুলি চোখ দাও,
লোক লস্কর দাও-
দশার্ণ গ্রাম নয়,
ফ্লেক্সে ফ্লেক্সে ছয়লাপ নগর শহর দাও
আর প্রতারণার কারবারি করে দাও,
বলিনি।


কৃষকের ছোট স্বপ্ন আমার,
শ্রমিকের ক্ষুদ্র আশা,
তাই দাও দাও করে ঝগড়া করিনি কারো সাথে,
অন্ধকে বলিনি দৃষ্টিসুন্দর
এবং কারোকে টেনে হিঁচড়ে নামাবো বলে মিথ্যে বলিনি।
এই জন্য ওরা আমাকে বলে ‘অকেজো’
কখনো ‘বোকা কালিদাস’ বলে ভেঙায়
প্যারডি বানায়।
তা বানাক, প্যারডিও তো শিল্প।
আমি হাসি মুখে ওদের সঙ্গে ভদ্রতা রাখি
না পারলে দূরে সরি,
যতটুকু পারি দুহাতে কাজ করি।


আচ্ছা, কারো কাছে কেন হাত পাতব?
কারো নামে কেন মিথ্যে বলব?
কেন মিথ্যে রঙে রাঙাবো চোখ?
সত্য দৃষ্টি বন্ধ করলে
আমি কিভাবে সব দেখব?
না না, চাই না আমার রাজ্যপাট
সোনা দানা আর হীরে খেলার পুতুল
সঙ্গে থাকো তুমি আমার জীবন চেনা মাটি -
শ্রম -আমার জীবন ধন
কবিতা -কাব্যলক্ষ্মী,
হৈ হুল্লোড় থাক চির বাকী
নির্জনে জাগুক একাকী গান
দিন রাত থাকি বেঁচে
আমি কবিতা উৎসবে।