তুমিও আদর্শ হে মহাবলশালী বীর পরমদাতা,
দিবাকরআত্মজ সূর্যবরণ কর্ণ --
অগ্নিতেজবীর্য
জ্যেষ্ঠ  কুন্তীনন্দন,
পঞ্চ পাণ্ডবের অগ্রজ
কী কঠিন দুঃখের সাধন
তোমার জীবন –
মহাপৌরুষ সুকৃতির খনি।


ভাবলে অবাক হতে হয়
সাধ ছিল, সাধ্য ছিল,
ছিল অধ্যবসায় আর ত্যাগের সাধন
তবু নিয়তির খেলায়
সারাটা জীবন শুধু অপমানিতই হলে
বার বার তোমার চোখের জল
চরিত্রের নদী হয়ে মিশে গেল
কাল থেকে কালান্তরে জন মানসের সাগরে।


সূতপূত্র তুমি নও।
তবু সূতপূত্র হলে।


তোমার দুঃখে একালে আমরাও
কখনো কখনো বেদনাগ্রস্ত হয়ে উঠি
সমারোহ পূর্ণ অস্ত্র পরীক্ষার দিনে
তোমার হৃদয় যেমন বেদনায় কুঁকড়ে গিয়েছিল।
আর দ্রৌপদীর স্বয়ম্বরের দিনে
উন্নত মাথাখানি নিয়তিই যেন মিশিয়ে দিয়ে ছিল মাটিতে,
হাজার হাজার বছর পরেও
করুণায়, তোমার কথা ভেবে
আঘাতে আঘাতে আমরা মুষড়ে পড়ি।
কি কঠিন অদৃষ্ট
অভিমন্যু-হত্যা তোমার শৌর্যকে কালিমালিপ্ত করে দিয়ে গেল
আর জীবনের শেষ দিনে তোমার রথের চাকা
অর্জুনের সম্মুখে মেদিনী গ্রাস করে নিল
অসহায় তবু
হে কর্ণ, ভারতের বীরদলে তুমি অগ্রগণ্য ।