কাঠমান্ডুর ত্যাগ বাহাদুর থাপা এখনো রোজ সাইকেল চালিয়ে অনেক দূরে চলে যায়।তার বয়স ঠিক বোঝা যায় না।পঁচাত্তর হতে পারে, আবার পঞ্চান্নও হতে পারে। যেতে যেতে আমাকে ইশারাতে ডেকে নেয়। তার ডাকে নিকন ডি ৫১০০ ক্যামেরাটা আমাকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে।


পর্বতমালার কোল ঘেঁষে বেড়ে ওঠা দেবদারু গাছে বরফ আর আলো একসাথে জেঁকে বসেছে। তার নিচে ছোট্ট ঘরে থাকে তার বউ ময়না আর ছেলে সূর্য থাপা। ট্রেকিং-এ গিয়ে যারা বিপদে পড়ে তাদের সেবা করে তারা। ভোর বেলা তারা শোনায় শিবের বন্দনা গান। তাদের কাছে শিব-ই সত্য, শিব-ই সুন্দর, শিব-ই মঙ্গল।


কত দিন হয়ে গেল। আর কোথাও যাওয়া হয় না।শক্তি নেই, অর্থ নেই, ইচ্ছেও নেই। কিন্তু মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে কে যেন বেরিয়ে পড়ে নেপালের পাহাড়ি রাস্তায়। বাহাদুরের সাইকেল আমাকে টেনে নিয়ে যায় তাদের আপেলের ক্ষেতে। যেখানে চারটি মানুষ প্রত্যেক বিকেলে অনন্তকাল দাঁড়িয়ে থাকে। সেইখানে জগতের আলো বুঝি প্রাণ পায়।


হিজিবিজি দাগের নিচে হঠাৎ জেগে ওঠে জীবনের আর্তি -
মনের গোপন ঠেলে জেগে ওঠে  শুদ্ধ ভালোবাসার প্রীতি,
শয়তান হীন পশুদের তুচ্ছ করে জাগে মানুষের মঙ্গল মূর্তি।