হাওয়া - মাটি আর পাথরেরা জানান দিয়েছিল,
সে আসছে , সাদা করবী বুঝেছিলো-
রাখাল বালক বুঝেছিলো-
আকাশের সামিয়ানা বুঝেছিলো - আসন্ন দিন
দরিদ্রের ভাঙ্গা বেড়াটিও কিছু বুঝেছিলো,
শুধু ওনারাই বুঝতে অপারগ ছিলেন
ব্যর্থতায়, রাগে আর ক্ষোভে, ধ্বংসের ঠিকা নিয়ে
আগুনের ছুরি হাতে কুটি কুটি করেছিলেন
এইসময়ের চক্র ।


নাক উঁচু তাত্ত্বিকের দল গন্ধের নেশায় মেতে উঠে
নাম-তথ্য বাদ দিয়ে রেখেছিলেন কিছু নিমুস্কে হিংস্রতা
দরজা জানলা বন্ধ রেখে দলদাস পেয়েছিলো যৌতূক
ওদিকে কথায় কথায় রটেছিল কত বদনাম
খুব বাজে, বাজে - অসভ্য - গন্ধহীন
আভজাত্যছাড়া নাকি সবকিছু অচল !
উঠেছিল হিল্লোল এইসব মহাবাগানেই
বারোমেসে ফুলগুলি সেদিন মাথাদুলিয়েই ক্ষান্ত হয়েছিলো
ওদিকে মুখ বুজে বুজে ক্ষেত খামারেরা শীত আসার পূর্বেই
নাকি হিম হয়ে গিয়েছিল !


কিন্তু দিনান্তে তখনো সূর্য ঢলেনি অন্ধকারে
আগ্রহ তখনো ছিল, ছিল সততা এবং ন্যায়
কেননা সভ্যতার সব দরজা কোনোদিন বন্ধ হয়না,
শত দুর্নাম - ছল -শঠতা
আর ষড়যন্ত্রী ঠেকের তোয়াক্কা না করেই
তবু তো এল সেই মরশুমী ফুল
গন্ধহীন, তবুতো জাগলো কটি মুখ আমাদের সামনেই
আর মরশুম চলে যাওয়ার আগে দরিদ্রের ভাঙ্গা বেড়াটিও
মনে হয় রঙে রসে পাবে কিছু জীবনের স্বাদ।