শব্দেরা অনেকেই আজ ঘাতক,
শব্দেরা অনেকেই আজ কী ঘাতক নয়?
শক হূণ ইংরেজ বিদেশি শত্রুর মতন
হানা দিয়ে অনায়াসে ঢুকে পড়েছে
আমাদের ঘরে , স্নায়ূর তন্ত্রে ।


উচ্চনাদী দৈত্যরা আজওতো মারণ উল্লাসে
উদ্দাম পুজোতে, ঈদের উৎসবে
বিবাহে ও গণ আনন্দ অনুষ্ঠানের টানে
হৃদয়ে যে যম-ডমরুর ঘা পড়ে,
হতচেতন করে দেয় নাকি আমাদের?


অশান্ত পরানে যে অশনির দংশন,
মাথার বিষ ছোটে মাথায় – সর্বত্র,
ধর্ম ধর্ম খেলায় তার আরাধন
আমাদের শত সহস্র চমকের অন্তরালে
বাড়ে -পড়ে - চড়ে – বাড়ে ।


সত্যি ঈশ্বর বিদায় নিয়ে গেলে  
হুলুস্থূল শব্দেরাই বিষ হয়ে ঢুকে পড়ে
বোকা মানুষের তাণ্ডবে, রক্তে,
পাঁপড়ে ও পানীয়ের মত্ততায়
ধর্ম শেষ হন, গর্বিত মানুষ তবুও।


শব্দে শব্দে হৃদরোগী অসহায় হলে
কোনো দায় নেই কি আমাদের ?
আশঙ্কিত প্রসূতির গর্ভ ছিন্ন হলে গেলেও
মন্ত্রীমশাই ধন্যি হয়ে তাই বলেছেন -
বন্ধুরা, জনরুচি মান্য করে যেতে হয় ।


গর্বিত লোকালয় সংবাদ পাঠায় তবু
এখনো কি পাহারায় শিব ভক্ত চাঁদ সদাগর
প্রাণহীন লখীন্দরের পাশে এই সভ্যতার শব,
কোথা গেল মহাজ্ঞান, অনাময় হেঁতালের লাঠি,
বাড়িতে অফিসে রাস্তায় কত গরল পড়ে আছে ।