তখনো ব্যাপারটা ঠিক মত বোঝা যায়নি
শুধুই অবাক হবার পালা,
কলকাতায় ফরিদপুরের মেয়ে
রমার মা খোঁজ নিচ্ছে শ্যামার ;
শান্তিপিসির মেয়ে শ্যামা পড়ে বেনারসে আর্ট কলেজ,
শ্যামার মাকে সে বলে তার এনে দেওয়া বাতাবি গাছে
এবার প্রচুর ফল ধরেছে
আর দুটো সিম টুনটুনি বাসা করেছে সেথা,
শ্যামা যেন তাই নিয়ে
এবার পুজোর কম্পিটিশনে একটা ছবি আঁকে।
শ্যামার বাবা একটু পরেই বুথে যাবে
আজ রবিবার,
মেয়ের সঙ্গে সাপ্তাহিক কথা বলার দিন
সাইকেল বার করতে করতে তিনি ভাবেন
শত শত কিমির ব্যবধান
কি ভাবে অতি আশ্চর্য
ভাবে দূর হয়ে গেল।


বুথে গিয়ে তিনি শুনতে পান
বুথের মালিক রহিম চাচা হেমন্ত দাদুকে বলছে
‘সকাল  বিকেল সন্ধ্যায়,
দেখেছি বুথের মধ্যেই -
হ্যালো হ্যালো বলে মানুষগুলো প্রায় পাগল হয়ে উঠছে,
এর মধ্যে কচি কাঁচা গুলোই বেশি পাকা হয়ে যাচ্ছে -
আমুদে ছেলে যখন তখন ফোন করছে প্যায়ারের মেয়েকে
হুজুকে মেয়ে পড়াশুনা ভুলে ফোন করছে বাইকওলা বয়াটে ছেলেকে,
মাঝে মাঝে দেখি তারা চোখ বুজে বুঁদ হয়ে যাচ্ছে
ছেলেরা শুনতে পাচ্ছে নাকি চুড়ির টং টং
মেয়েরা শুনতে পাচ্ছে নাকি ঝরনার কল্লোল
তাদের খিল খিল হাসির স্রোত এখানে কাঁচের দরজায়
কেবল বাধা প্রাপ্ত হয়।
কিন্তু পার্কের অন্ধকারে, গোপন ফ্রেন্ডস ক্লাবে এসব বাধা থাকেনা
মদ ড্রাগ আরো কত কিছু সেথা জেগে ওঠে,
কিছু সন্ধানী মানুষ সেই সুযোগে অনেক টাকা কামিয়ে নিচ্ছে
আর ছেলেগুলো মেয়েগুলো শুধু রসাতলে যাচ্ছে’ ।


শ্যামার বাবা শুনতে শুনতে ভাবেন
ভাবতে ভাবতে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করেন
তার আদরের মেয়ে এরূপ করে নাতো?
পরক্ষণে কপালে হাত ঠেকিয়ে বলেন
ফোনে আর কত খবর নেব?
শ্যামামা তুইই শ্যামাকে ভালো রাখিস।