‘মিত্রবর, আমি কি মানুষ?
বস্তুত আমার শরীর মাংস দিয়ে গড়া,
আমি কি তামসিক শকুনের খাদ্য?’


‘না না, তুমিতো আত্মা
তোমার পিতা আত্মা
তার পুত্রের পুত্র
তোমার পুত্র আত্মা,
কালান্তরে সময় ধায়,
কেবল বেশ বদল’


তবু চারিদিকে বিভ্রম- গুপ্ত শত্রুতা
টালমাটাল এই সময়েও
তাদের শরীরে এ কিসের সুঘ্রাণ
তবে আমি পাই?


পিতা বললেন, ‘চিত্ত সংস্কার-
শত্রুকেও ভালবাসো’


আমি বললুম, ‘এসো ভালবাসা
আমার হৃদয়ে দাও স্নিগ্ধ অনুভুতি’,


পিতা বললেন, ‘সত্যভাষণ, সংযম -
নিরামিষ আহার -
অহিংস বিহারে দেখো,
আর একটু এগিয়ে যাও
সামনের রাস্তায়
দেখো কত আলো’।


সত্যি, এত করুণা কোথায় ছিল?
মাগো, আমায় মনুষ্যত্ব দাও।


কিন্তু মিত্রবর, আমিও কি সোনার হরিণ ?
কারো লোভের মাংস হয়ে উঠলুম?
কখন, কেন, বুঝিনি।


দেখি, মাথার উপরে উড়ছে কটি শকুন
আমাদের মাংস ছিঁড়ে খাবে বলে
শ্যেণ দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে রয়েছে


উৎকট গন্ধে আমার খুব বমি পায়।