আমগাছ আজ উদগ্রীব হয়ে ভিজছে
তার ঘন পল্লবগুলি
চাতকের মতন কতকাল অস্থির ছিল
উত্তাপে, আধোঘুমে, ধূলোর বিস্তারে
পাতার হরিৎ ফিকে হতে বসেছিল,
আজ সেথা স্বস্তির ঘুম?
নাকি সজীব সাধনার ধ্যান
এভাবে আরো গভীর হোল?
আকাশের আঁধার
ঘন হয়ে জমে গেছে
তার সব কাণ্ডে, গুঁড়িতে,
শাখার ঘনত্বে, সে অস্পষ্ট আঁধারের কোলে
বসে আছে
ডানাভেজা জড়সড়
সকালের শালিখ-ঘুঘু, টুনটুনি ও কাক,
সেথা হতে মাঝে মাঝে
কা-কা-কা-ঘু-ঘু রব
শুনছে প্রতিবেশি কটি ডাবগাছ ।


তেতলা বাড়ির
দক্ষিণের খোলা জানলার
কয়েক বিঘৎ দূরে
প্রাণময় এই আমগাছ, কি এক ঘোরে
আজ কিছু বলছে –
গুড় গুড় গুড়ুমের তালে
আধরূপোলি  আকাশের অসীম শূন্যে
বলীয়ান মেঘেরা চলমান - সাঁতার দিচ্ছে, ধাক্কা খাচ্ছে,
তারপর গর্জন করতে করতে দূরে চলে যাচ্ছে,


এরি মাঝে একটানা ঝম ঝম শব্দের স্রোতে
ভীষণ চমকে
বিদ্যুতের প্রভা এসে লাগে তার সারা গায়
জলের সংসক্তিতে সে দ্রুত শীতল হয়,
শোঁ শোঁ হাওয়ার আতিথ্যে সেও মাথা নাড়ে দুলে দুলে,
অসহ্য গরমের দিনগুলি এখন অতীত
সে জানে,
এই অতর্কিত রম্য জলের উৎসবে
প্রতিবেশি মানুষ গুলিও কিছু স্বস্তি পেয়েছে ।