এইতো সে দিন বলছিলে আরও অনেক দূর যেতে হবে
একসাথে, হাতে হাত মিলিয়ে চলতে হবে
জীবনে কর্মে, আর বসবাসে
পৃথিবীকে আরও সুন্দর বাসযোগ্য করে যেতে হবে
আমাদের । দায়বদ্ধ আমরা সবাই ,
এইতো সে দিন বলেছিলে - দূর্নীতি জাল ছিন্ন করে দিয়ে
ন্যায়ের সম্মান ফিরিয়ে দিতে হবে দিকে দিকে,
তাই রাজার আসন থেকেই হোক সব উদ্ঘাটন
নতুন উদ্যম,
পরিবারে পরিবারে বাজুক মঙ্গল শঙ্খ
হাসুক দেশের বায়ু
ফুটুক এ ধরণীতে নির্মল ফুল।
কিন্তু কোথায় তুমি? শূন্য যেন রামেশ্বরম,  
সমাজ-সংসার মনে হয় শূন্যময়
আচ্ছা, সব মনীষীই কি এভাবে কাঁদিয়ে চলে যায় ?


সত্যি, বেজে ছিল তোমার স্পর্শে
মানুষের মঙ্গল শঙ্খ,
হেসেছিল বাগানের অসহায় হরিণ শিশুটি
যাকে তুমি পথে পেয়েছিলে
সুস্থ করেছিলে আপন সেবায়
কর্মে-ধর্মে ও বিজ্ঞানে-বিচারে
একহাতে কোরাণ আর হাতে গীতা নিয়ে বলেছিলে
‘দেখো দেখো দেখো
পরিশ্রম করো, পবিত্র হৃদয়ে
বড় হও, ভাবো -
একটা দরিদ্র ছেলে যেভাবে কাগজ বিক্রি করেছিল
একটা ছেলে যেভাবে মিশাইল ম্যান হয়েছে
সেভাবেই চলতে হয়, স্বপ্ন দেখো,
শুধু সমন্বয় করো,
হিংসা অজ্ঞানতা ভুলে ভাইয়ের মাথায় হাত রাখো’ ।


তোমার সে পথের দিশায় কোটি ছাত্ররা আজ নির্ভয়ে চলে
দূর দিগন্তের পথে, সাগরে ও মহাকাশে।
সেই দূরকেই নিকট করার সাধনা ছিল
তোমার ব্রত, বলে ছিলে
তোমার মায়ের স্নেহ আর শিক্ষাতে,
ঈশ্বরের লাবণ্যে আশীর্বাদে তুমি ছিলে মূর্তিমান
হে দিব্য জীবন,
কতদিন শুনিনাই সে দীক্ষান্ত ভাষণ
কতদিন দেখিনাই সদাহাস্য তোমার সে প্রাণময় মুখ
তোমার বিহনে আজ কোনোখানে ভরসা না পায়।