আমার কাছে মিষ্ট ভাষার ঢাল তলোয়ার কিম্বা তন্ত্র মন্ত্র নেই-  
যা দিয়ে তোমাকে ঘায়েল অথবা বশীভূত করতে পারি,  
ঝুঁকে পরা কাঁধে আছে জগত সংসার উপলব্ধির রঙচটা ঝুলি  
আছে কিছু সাধের সজ্জায় লালিত,মিনতি বিজড়িত শব্দ  ।  
হয়তো শাব্দিক তাৎপর্য না বুঝেই তুমি হতে পারো আপ্লূত
নয়তো ডুবে যেতে পারো ক্রোধাগ্নির সমুদ্রে জলে,আমার প্রতি।    
কারো মনন পুরাণ রপ্ত করতে আমি আজও অভিলাষ বিমুখ
মুখ গুঁজে পরে রই নিঃশব্দ বোবা ব্যর্থতার উঠোনে,  
স্বল্প সাধ্যির জীবনে,যেটুকু সঞ্চয়, তার যৎকিঞ্চিত প্রকাশ হয়-      
ছেনী ও হাতুড়ির দীপ্ত কারুকাজে,  
এ আমার বুকের গহীনে সুপ্রাচীন শিলালিপির উৎকীর্ণ শিল্প
যা নিয়ত একে যাই পাথর মানব হয়ে,দিনে, দিনে ক্ষয়ে,ক্ষয়ে  
শৈল্পিক চিন্তার মগডালে বসে আছে আশা দুর্ভিক্ষের বাজ
সরলরৈখিক কল্পনার স্পন্দনে আজ জর্জরিত শত বিভ্রাটর  
কি করে আঁকি স্বপ্ন পুড়নের কারুকাজ ?  
ভাষার বহিরঙ্গ অধর শুষ্ক প্রাণহীন,শূন্য সঙ্কেত।    
শিলালিপির তপ্ত-রাঙ্গা লাল আগ্নেয়গিরিকে ভালোবেসে-  
কৃষ্ণচূড়া ভেবে চাইছ, শিহরণ মত্ত ছোঁয়া তার,      
এই পাথর হৃদয়ের শিল্পের শাব্দিক দেহ চিরে-  
তোমার কাঙ্ক্ষিত ফুলের ঘ্রাণ কেবলই ভ্রম।    
আমি দিনান্তে রচনা করি প্রস্তর মানব গ্রন্থ ,
শুধুই পড়ে নাও তার গল্প টুকু,আর জেনে নাও-
পাথর মানব কে ভালবাসতে নেই ।