আমি নাকি ভন্ড পীর
        কয়েকজনে কয়,
আমি তো ভাই জানিই না
        ভন্ড কেমনে হয়।


নাভির নিচে লুঙ্গি পড়ে
        টাকনু রাখি ঢেকে,
ভক্তরা আমায় বাহবা দেয়
        বুকের পশম দেখে।


মাথায় দিয়ে লম্বা টুপি
        তছবীহ্ নিয়ে হাতে,
নেচে নেচে জিকির করি
        হেঁটে পথে পথে।


দাঁড়ি রাখছি ইয়া বড়
        গোঁফটাও কিন্তু চড়া,
আমার ফুঁকে বেঁচে ওঠে
         সদ্য মানুষ মরা।


বন্ধ্যা নারীর বন্ধ্যাত্ব ভাই
        কত করছি ভালো,
ছেলে হইছে মেয়ে হইছে
        যা ছড়াইছে আলো।


আমার পায়ে সিজদাহ্ দিয়ে
        কত গরীব জন,
মুহূর্তের মধ্যে ধনী হইছে
        পেয়ে অঢেল ধন।


হাজার রোগের চিকিত্‍সা করি
        আমার নিষ্পাপ হাতে,
দিনের বেলায় ছেলেদের করি
        মেয়েদের করি রাতে।


কত জনের বাবা হইছি
        তার পিতার অগোচরে,
বাবা বলেই ডাকে সবাই
        ছেলের কন্ঠস্বরে।


গভীর রাতে গাঁজা টেনে
        নিঃশ্বাস যখন ছাড়ি,
তখন মনে হয় বিশ্ব মাঝে
        আমিই সুখের হাঁড়ি।


এই হাঁড়ির পানি চুমুক দিয়ে
        কত হইলো বীর,
আর কয়েকজনে কয় কিনা
        আমি ভন্ড পীর।।