সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মায়নি ঠিক
অতি আদরেরই ধন ছিলো সে তবু
মায়ের কাছে।


আদুরি!! আহা কী আদর মাখানো একটি নাম!
ছোট্ট এগারো বছরের এ জীবনে আদুরি
এ কী নির্মমতার স্বাক্ষ্য হয়ে র'লো!
কী যে নৃশংসতা!!


আমি লজ্জিত
দুঃখিত আমি আদুরির কাছে।


দাসপ্রথা কি হয়নি বিলুপ্ত এখনো
আদুরি গৃহদাসী ছিলো কি
কিংবা দাসেরাওতো রক্তমাংসের অনুভুতিশীল হয়।


আমি লজ্জিত
দুঃখিত আমি আদুরির কাছে।


উত্তর-আধুনিক এ সময়ে
দাসপ্রথাকেও কি আমরা গিয়েছি ডিঙিয়ে?
নদী, পুষ্পিতা, উষ্ণতা প্রমুখ নামীয়
নারী দাস-প্রভুরা কি করে পারে
হতে এতোটা নিষ্ঠুর!!
অথবা দাস-প্রভু কি তারা আদৌ
নাকি চাকরিদাতা শুধু


খুন্তি দিয়ে কিভাবে দেয় তবে স্যাকা
খুঁচিয়ে করে রক্তাক্ত ভোঁতা ব্লেডে!!
একটি কোমল শিশুকে।


আমি লজ্জিত
দুঃখিত আমি আদুরির কাছে।


আহা আদুরি
আহা সমাজ আমাদের
আহা মানবিক অনুভুতি
আহা উত্তর-আধুনিকতা
উত্তর-আধুনিক দাস-প্রথা আহা!!


আমি লজ্জিত
দুঃখিত আমি আদুরির কাছে।


ভাত এক মুঠো
তা সে যা তা দিয়েই হোক
খুব কি বেশি চাওয়া ছিলো তার
এ সমাজের শিশু আদুরির।


ঠিকানা হলো তার ডাস্টবিন শেষতক
বেড়াল, কুকুর কিংবা শকুনির খাবার!!


আমি লজ্জিত
দুঃখিত আমি আদুরির কাছে।


বেঁচে গেছে তবু আদুরি
নিজেরই জীবনী-শক্তির আধার হয়ে
বুড়ো আঙুল দেখাতে কি পারে না আদুরি
এ সমাজকে?


নদী, পুষ্পিতা, উষ্ণতা কী সুন্দর কাব্যময় নাম
কী দানবীয় হৃদয়হীনতা!!


আচ্ছা বড়ো হয়ে আদুরি
গৃহকত্রী হবেতো? নারী দাস-প্রভু
বাড়িতে তার থাকবে গৃহদাসী (!)
নাম তার ফালানিও হতে পারে।


শরীরের ক্ষত জানি শুকাবে একদিন আদুরির।
আর হৃদয়ের ??
কালের স্বাক্ষ্যি হয়ে আদুরি
গৃহদাসীকে তার বুকে তো নেবে আদরে??
আধুনিক জীবনযাপনে করবে যোগ হৃদয়ের।।


(সোআপ-২৬/৩/১৪)