- সিরাজ আহমেদ।


খবরগুলিও দৈনিকে ঠিক ঠিকই সেটে যায়-
দৈনন্দিন দৈনিক পত্রিকা'র ঐ পাতা'য় পাতা'য়,
উনিশ-বিশ কভু'তো হয়না; দেখিনা-
কাগজের মাপজোখে ঘটছে ঘটনা,
বেশী-কম একদম; কভু কই হয়?
ঘটনার সংবাদ ছাপছেও সমানই নিঃশ্চয়,
সংবাদকর্মী ছুটছেন; তাদের নিছক সাধনা-
তাদের (সর্বনাশি) ঘটনা ছাড়া, কিছুই রোচে'না।


কোন দিন শুনি নাই, 'পাতা যুক্ত' হয়,
কোন দিন দেখি নাই, 'পাতা ফাঁকা' রয়।
আনকোঁড়া বাঁশে-ভরা; শত প্রকাশনা-
ভরাট, ভালমন্দে খাপেখাপ, পত্রিকার মূর্ছণা।
ঝড় তোলে চায়ের কাপে; নিত্য আড্ডায়
বিশ্লেষণ কিংবা মিছে সমালোচনা-আলোচনায়।
অদ্ভুত উদ্ভট, হতাশা বা সম্ভাবনা-
নতুন নতুন খবর আসছে; অচেনা অজানা।


তথ্য-তত্ব জ্ঞান-বিজ্ঞান আশা-সংশয়
উৎকন্ঠা উদ্বেগ দুঃসংবাদ'গুলি অক্ষরে সাজায়।
সকালেই চালান পৌঁছে ঘরের কোণা-
হকারের নিয়মিত আছে; এ পথে পদচারনা,
পেতে পারো সাহস বা পেতে পারো ভয়
সুসংবাদ দুঃসংবাদ, কে হারলো কারা পেল জয়।
সবার'টা পাও; নিজের'টা তো পাওনা-
হাঃহাঃ আমার স্ব-খবর; ও'তে সংকুলান হয়না।


হায় ! পাঠক চিন্তিত অন্যের চিন্তায়-
অন্যের হাসি কান্না, আনন্দ বেদনায়,
নেশা কিংবা অজানা'কে জানার তাড়না-
আমাকে-তোমাকে নিয়ে ওদের বানিজ্য আরাধনা।
অনুসন্ধিৎসা জিজ্ঞাসা পাঠকে মাতায়-
কেউ জানেনা, কে কখন নিজে খবর হয়ে যায়।
আমার খবরে নেই; কোন লেনাদেনা-
তোমার খবরে আমি হাসবো, নাকি পাবো বেদনা !!


★★★★