- সিরাজ আহমেদ।


ছিমছাম শহরে; বিলাস-ব্যঞ্জনে বসবাস,
ঠাটবাটে বাবুয়ানা; সেন্ট-আতরের নির্জাস।
আভিজাত্যে এলিয়েন রূপ-
ব্যস্ত নিজস্ব ধান্দায়; ধনে-মানে অহংএ সরীসৃপ।


বৃষ্টি এলো, বৃষ্টি-
ঘটলো অনাসৃষ্টি!
পথঘাট'রা লুকোয় জলে ! -পোড়ার অদৃষ্টি।
হাঁটু জল; গলা জল; কাদা জলে কাৎ
পথচলা মনে হয়; চলছি জম'রাজের সাক্ষাত!
শহুরে রাস্তায়; কোমড় জলে সাঁতরায়-
চলতে হয় কাজের ফেরে; চলা'টাই বড্ড দায় !!
পথ যেন; সে প্রবাহিত নদীর আকৃতি-
হালকা জলে থৈ থৈ; কাদা-জলে অধঃগতি
রিক্সা কার গণ-পরিবহন। -বেকার
রাজপথ গলিপথ এঘর-ওঘর। -সবার
নাও নৌকার প্রয়োজন পরে। -চরম দরকার
বৃষ্টি এলো; এই এতটুকুন বৃষ্টি
শহুরে সভ্যতায়; অসভ্য বর্বর বিরক্তির অনাসৃষ্টি।


যতদোষ নন্দঘোষের -দোষী সরকার
সরকারই জনগণ; সে মতে দোষ'যে জনতার।
জলাবদ্ধতার মূল কারণ-
অপরিকল্পিত ড্রেনেজ আর অপরিকল্পিত আবাসন।
দূর্নীতি রন্ধ্রে-রন্ধ্রে; সর্ব অঙ্গে বেদনা-
কোথায় ঔষুধ দিবে; কোথায় পাবে শান্তনা !
এসো ভাই; চলো তাই-
নন্দঘোষেই দোষ চাঁপাই,
অবশেষে আমরাই; জল-কাদায় সাঁতরাই।
ধনবান-ধনহীনে একত্রে সাঁতরায়,
হাঁটু-কোমর-গলা জলে সকলে এক-কাতরায়।


ঢল নেমেছে; ঢল-
শহরে বান ডেকেছে; আসছে ঘোলা জল
দোষটা যার-ই হোক; সবে ভুগছে কর্মফল।


★★★