প্রচারের অসুখটা তোমারই দেয়া ...  
হৃদয় সড়কে হর্ণ-মাইক বসানো হুডতোলা রিকশাটাও তোমারই পাঠানো ...
মনের অন্ধগলির খসে পড়া প্লাস্টারের দেয়ালে
অভিমানী লিফলেট সেঁটেছিলে ...


“একটি নিঁখোজ বিজ্ঞপ্তি, আমার মন হারিয়েছে।
সন্ধানদাতার জন্য আছে এক জনমের ভালোবাসার পুরষ্কার!”


ছাব্বিশ  বর্ষায় ভেজা প্রেমাতুর সুডৌল বুকের আড়ালে লুকানো মনে
জমিয়েছো তুমি বুনো কামবিলাস ...
নেশারী দৃষ্টিতে বলেছো,
দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে অসুর থাবায় চুলের মুঠি ধরে
অরণ্য সুখের আদর,
রোদে পোড়া সিগারেট-খেকো পুরুষালী ঠোঁটে চেপে ধরা
মহুয়া মাতাল চুমু,
ছোঁ মেরে আঁচল নামানো গ্রাস, ব্লাউজ-ছেঁড়া রুক্ষ খাবল, আর
শিহরণী ত্বকে যত্নে ঢাকা অনুভূতিদের
অক্টোপাসের মতো কিলবিলে স্পর্শে মুক্তির স্বাদ দিলেই
সেই মনটাকে খুঁজে পাওয়া যাবে।


তাই হয় তো বৃষ্টি হলেই তুমি ছাদে আসো  ...
বর্ষাবরণের ভান করে দুই হাত মেলে ধরো আকাশের দিকে।
ওড়না লেপ্টে বসে তোমার বুকে,
জলের ছাঁটে স্পষ্ট হয় তোমার নারীত্বের কাঁপন।


আশপাশের বারান্দায় তখন জমে ছেলে-যুবক-ব্যাটা-বুড়োদের ভিড়,
কারও চা-সিগারেট, মন খারাপ, উদাস ...
ফেসবুক স্ট্যাটাস আপডেটে হঠাত উথলে ওঠা বৃষ্টিপ্রেম ...
অথবা নেটওয়ার্ক সমস্যা ...
কেউ বউ নিয়ে আড়চোখে, কেউ প্রেমিকার সাথে ফোনে কথা হারিয়ে,
আর কোনো বেহায়া গবেট
হা করেই ড্যাবড্যাব দৃষ্টিতে আটকা।


তুমি খেয়াল করেছো সবই, উপভোগও করেছো ...
কিন্তু বিফল ইস্তিহারের অসিদ্ধ আক্ষেপে  
অনিয়ত অস্থিরতায়, তরল উপেক্ষার অনুভবে,
উড়ুউড়ু অবহেলার অপমানে, চোরা দীর্ঘশ্বাসে,
অথবা গুপ্ত কোনো সিক্ত অভিমানে ...
মনের অন্ধগলিতে, বর্ষাস্নাত জলছাদে,
আর হৃদয় সড়কে হর্ণ-মাইকের রিকশায় উন্মুখ হয়ে ...
খুঁজেছো আমাকেই।


আর আমি,
তোমাকে ভেবে কবিতা লিখেছি ...


ভাবনার বুনো কামবিলাসে, শব্দের আরণ্যক আদরে
ইচ্ছের অসুর থাবায়, লেখনীর মাতাল চুমুতে
কলমের আঁচল-ব্লাউজ ছেঁড়া রুক্ষ খাবলে ...
অক্টোপাসের মতো কিলবিলে
কবিমনের স্পর্শে।


কি করবো বলো  ...
প্রচারের অসুখটা তোমারই তো দেয়া।