আমার সময় আটকে গেছে একটা দুপুরে  ...
অভিমানী সুরে
কার্তিকের মোহময় রোদে,  
কি জানি কোন অমিয় জেদে,
রিকশার হুড ফেলে,  
নীল ওড়নায় মুখ মুছে বলেছিলে,


“পিঠে হাত রাখো, আমার চোখে দেখো ...
হাত ধরো ... আমাকে স্পর্শ করো,
আমি চাই, দেখুক সবাই।


দেখুক শত্রু-মিত্রের দল, নাগরিক ব্যস্ততার ঢল,
ক্যাম্পাসের আলো বাতাস, জলহীন মনের আকাশ ...
দেখুক নব্বই দশকের বিসংগত প্রগতির চলন,
একুশ বছরের ঝকমকে মনের আবেগী দোলন।


ঝাঁঝালো দৃষ্টি মেলে দেখুক
প্রশান্ত হাবভাবের মোড়কে ঢাকা টিএসসির সেই ভাবুক ...
আর দেখলোই না হয় সেই বাজখাঁই মেজাজের ছাত্রনেতা,
অথবা ক্লাসের সেই ছেলেটা  ...
বান্ধবীর হাতে পাঠানো নোটে যে গুটিগুটি অক্ষরে লিখেছিলো,
‘চারুলতা ...  
শুধু একবার করো আমায় মনের মেহমান,
আমি আমৃত্যু করবো তোমার সাথে রোদ্রস্নান’।


চশমার আড়ালে লুকানো আক্রোশে তাকিয়ে অপলক
দেখুক বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো সেই শিক্ষক ...
আর দেখুক তোমার হ্যাঁ-এর অপেক্ষায় থাকা
রোজ যত্ন করে সেজে আসা উন্মুখ নায়িকা,
অথবা তোমার প্রাক্তন প্রেমিকা ...


আমি চাই ... দেখুক সবাই ...
তোমার ছোঁয়ায়, সুমন্দ মায়ায়
মধ্যাহ্নের রোদ চিরে, বইছে শিহরণী অনিল ধীরে,
মনের বাতায়নে ...”


আমার সময় আটকে গেছে
সেই দুপুরের আলাপনে ...


দৃষ্টি মিলনের, আর মোহগ্রস্ত স্খলনের
সেই মধুক্ষণে।