“সোনাবীজ অথবা ধুলোবালি ছাই
একফোঁটা লালটিপ কপাল
চুলের প্রগাঢ় আঁধারে হাসনাহেনা ঘ্রাণ
হৃদয়ের কিশলয়ে গন্ধকুসুম
কপোলে একফোঁটা তিল কারুকার্যে ভরা
আনমনে হাঁটে অপর্ণার মতো
দূরের বাসনা দিগন্তে মেলে  দৃষ্টি
মৃণ্ময়ী গ্রীবায় কবিতার ঘ্রাণ
দু’ চোখে  স্বপ্নের ভিড়
অনসূয়া অরুন্ধতী
কবিতার মতো অবিরাম স্রোতোস্বিনী
নীলকণ্ঠ প্রেমের  নিবিড় কামিনী
অরিহ অলকার একখণ্ড অনাঘ্রাত সুখ
ভালোবাসে হারিয়ে যেতে
দুর্বোধ্য কবিতার মতো
জন্মের আগে কিংবা পরে
কবিতার সবটুকু জুড়ে
যারা কথা রাখে নি
এবং যারা রেখেছে
আমি ব্যবধান রেখে দৃষ্টিকে সন্ন্যাসী করি
নিয়তি আমার সুতো ছেড়া ঘুড়ি
জল নেমে গেলে
আত্মাকে স্পর্শ করে
একযুগলের স্বপ্ন নিয়ে
কবিতার মতো মেয়েটি
গোধূলির লজ্জার মতো স্নিগ্ধ
সন্ধ্যা নামে তার  শুভ্র ও সুন্দর
সিঁথির নিক্কণে
সে  কবিতা ভালোবাসে
কাশবনে হাঁটে; তার মিহিসুরে ঝরে মাধুরী;
কমনীয় ফুলের নিঝুম বনে ভোরের দোয়েল
পেলব হাতে মেহেদির আলপনা
কবিতার মতো দুর্জ্ঞেয়
কবিতা ও কাকলির
শাশ্বত প্রমীলা
রেখে  ফিরে যাবো
ব্যক্তিগত রাজ্যপাটে...
সংগোপনে শেষ পর্যন্ত!”
               - স্বপ্নময় স্বপন©